ঘুম থেকে জাগেন, নইলে বাংলাদেশকে ওরা ধর্ষণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, জাতির জনকের কন্যা বুধবার শোক দিবসের সভায় ভাষণ দিয়েছেন। ওই ভাষণ ফলো করলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে ঘটনা কোন দিকে মোড় নিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমাদের কৈশোর হারিয়ে গেছে। ওই দিন থেকে বাংলাদেশ পেছনে যেতে থাকে। আমাদের রাজনীতিতে আসতে হয় গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে ফতুল্লা উপজেলা গেট ব্যাংকের মোড় কুতুবাইলের যুবলীগ নেতা আজমত আলীর উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা মাত্র ৩১ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। ওরা কিন্তু ক্ষ্যান্ত হয়নি। জাতির জনকের কন্যাকে ২২ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে ২০০১ সালে বোম ব্লাস্ট হয়েছিল। তখন একটা কথাই বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। কারণ আমি মারা গেলে কিছু হবে না। শেখ হাসিনা না থাকলে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে না।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছিল আমাদের স্বপ্নকে। আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমরা যারা রাজনীতি করছি, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশটা অন্য রকম থাকতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি মানুষের অধিকার চাই।’
তিনি সারাজীবন জেলে কাটিয়ে জনগণকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ ওরা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে জাতির জনককে হত্যা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, জাতির পিতা জাতিসংঘ যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা তার মৃত্যুর কারণ। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শোষক নয়, শোষিতের পক্ষে।’ এ কথাটা বিশ্ব মোড়লরা ভালোভাবে নেয়নি। যারা স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, তারা এটা ভালোভাবে নেয়নি। তখনও তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল, বঙ্গোপসাগর চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, কারো কাছে আমি দেশের জমি বিক্রি করবো না।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, ১৬ জুন বোমা হামলার পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমরা নাকি শেখ হাসিনার পরিবারের নিরাপত্তা আইন পাশ করানোর জন্য বোমা মেরে আমাদের ২০ জন লোককে হত্যা করেছি। এতো নোংরা ও নৃশংস তারা। ২০০১ সালের পর আমাদের কত মানুষ তারা মেরেছে আপনারা জানেন। এই হাত দিয়ে ৫০ জনের লাশ দাফন করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে খুন করিনি। আমরা কারো বাড়িতে আগুন দেইনি, কারো অর্থ সম্পদ লুট করিনি। কারণ আমাদের কাজ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।