ইনসাইড পলিটিক্স

পাঁচ কারণে নির্বাচনে যেতে পারে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৬ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি গতকালের সমাবেশ থেকে বলেছেন যে একটাই কথা তত্ত্বাবধানে সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না—এমন বক্তব্য বিএনপি নেতারা প্রতিদিনই দিচ্ছেন। গতকালের চট্টগ্রামে রোড মার্চ থেকে ৯ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এই কর্মসূচির ধরন দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, বিএনপি আসলে নির্বাচনে যাওয়ারই প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি আসলে সাংগঠনিক ভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে। পাঁচ কারণে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এর মধ্যে-

১. বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া: প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপি যাই বলুক না কেন এরকম একটি বিশ্বাসযোগ্য গুঞ্জন রয়েছে যে বেগম খালেদা জিয়া যদি বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষ শর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। আর এ ধরনের গুঞ্জনের বার্তা রাজনীতির বাতাসে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন মহল মনে করেন, এখনো আলাপ আলোচনা শেষ হয়নি। এখনো আশা আছে। আর সে কারণেই বিএনপি এরকম একটি সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে যেতে পারে। 

২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আর তাই তারা ভিসা নীতি সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গুলো প্রয়োগ করেছে। এরকম নীতি প্রয়োগ করা বা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রধান কারণ হলো ক্ষমতাশীল সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্টরা যেন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধ্য হয়। আর শেষ পর্যন্ত যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে আশ্বস্ত করে যে নির্বাচনে কোনো কারচুপি হলে তারা এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিবে না বা গ্রহণ যোগ্যতা দেবে না তাহলে সেক্ষেত্রে বিএনপি মার্কিন পরামর্শে নির্বাচনে যেতেই পারে।

৩. দলের নির্বাচন মুখী নেতাদের চাপ: বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতায় নাই। তিনটি নির্বাচনে তাদের স্থানীয় পর্যায়ের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে গেছে। যারা দলের স্থানীয় পর্যায়ে নেতা এবং যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে তারা নির্বাচন ছাড়া আর টিকতে পারছেন না। এই কারণেই তারা পরামর্শ দিয়েছেন দলের নেতাদেরকে যে, আন্দোলনের চেয়ে নির্বাচনে শক্তি পরীক্ষা করাটাই ভালো এবং এ ধরনের নির্বাচন করলে দলটি দলের সাংগঠনিক শক্তি আরও বাড়বে।

৪. আন্দোলন জমিয়ে তুলতে না পারা: বিএনপি যেভাবে প্রত্যাশা করেছিল যে আন্দোলনের সঙ্গে জনগণ সম্পৃক্ত হবে এবং একটি গণবিস্ফোরণ ঘটবে বাস্তবে তেমনটি ঘটেনি। আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ত না হওয়ার কারণে কৌশলগত অবস্থান থেকে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে।

৫. নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা একটি কৌশল: নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা একটি কৌশল হিসাবেও নিতে পারে বিএনপি। শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারকে একের পর এক বিতর্কিত করবে, প্রশ্নবিদ্ধ করবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে নানা রকম চাপ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা করা হবে। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেতে চেয়েছিল। শেষ মুহূর্তে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। তখন বিএনপির সামনে আর কোনো পথ ছিল না। বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, সেই মডেলেই বিএনপির আন্দোলন করা উচিত। বিএনপি যদি শুরু থেকেই বলে যে তারা নির্বাচন করবে না তাহলে সেটি অন্যরকম একটি বার্তা পেতে পারে। কিন্তু বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় এবং শেষ মুহূর্তে যদি নির্বাচনে কারচুপি হচ্ছে, অনিয়ম হচ্ছে ইত্যাদি অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় তাহলে সেটি হবে তাদের জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক। আর এ কারণেই  বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএনপি   রোডমার্চ   নির্বাচন   আন্দোলন   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মা দিবস উপলক্ষে খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত পোস্টার লাগিয়েছে বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে তার ছবি সম্বলিত একটি বড় ব্যানার টানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উদ্যোগে এ ব্যানার টানানো হয়।

মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর রোববার (১২ মে) পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার উন্মোচন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আশপাশের এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দেয়ালে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার টানান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী হবার অফার: মান্নার নতুন স্টান্টবাজি

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। 

বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মাহমুদুর রহমান মান্না ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। শুধু মিথ্যা কথাই নয়, পুরো ঘটনাটা ছিল উল্টা। আমরা যদি নির্বাচনকালীন সময়ে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করি তখন সেই সময় দেখব মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে বেশ কিছু রহস্যময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হঠাৎ করেই পর্দার আড়ালে চলে যান মাহমুদুর রহমান মান্না। বিএনপি নেতারাও তাকে খুঁজে পাননি। যুগপৎ কর্মসূচির জন্য তাকে অনুরোধ জানানো হলেও তাদের ডাকে মান্না সাড়া দেননি। এসময় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল যে মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচনে যাবেন এবং নির্বাচনে যাওয়ার জন্য তিনি জোট করছেন না। আর এই রকম জোটের জন্য তিনি সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করেছিলেন। 

মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এরকম একজন কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে থেকে নিশ্চিত করেছেন যে, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বা সরকারের কোন সংস্থা যোগাযোগ করেননি। বরং মান্নাই উপযাচক হয়ে তিনশ আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং এজন্য তিনি তিনশ কোটি টাকার একটি বাজেটও চেয়েছিলেন। কিন্তু মাহমুদুর রহমান মান্নার এই প্রস্তাব যখন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলকে দেওয়া হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দিয়ে ভোটের রাজনীতি হবে না। তাকে এই মুহূর্তে দরকার নেই। সে যদি নির্বাচন করতে চায় তাহলে নিজ দায়িত্বে নির্বাচন করুক। আর এখানেই মাহমুদুর রহমান মান্নার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সত্যি সত্যি মাহমুদুর রহমানকে প্রস্তাব দেওয়া হত তাহলে মাহমুদুর রহমান মান্না কেন সেই সময়ে সেটি প্রকাশ করলেন না। মাহমুদুর রহমান মান্না কেন ২৮ অক্টোবরের পর ঘরে বসেছিলেন এবং তাকে নিয়ে যে গুঞ্জন হয়েছিল, সেই গুঞ্জনে জবাব তিনি দেননি। 

মূল বিষয় হলো মান্না ওই সময় সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছিলেন নিজ উদ্যোগে। এই সময়ে যারা যারা নির্বাচনে গেছেন বা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, তারা প্রত্যেকেই নিজ উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে আপোষ সমঝোতা করতে চেয়েছেন। এই সময় জেনারেল ইবরাহিম নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং ইবরাহিম এর এই ঘোষণার বিষয়টি মাহমুদুর রহমান মান্না জানতেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। 

মাহমুদুর রহমান মান্নাই জেনারেল ইবরাহিমকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আপনি যান। আমরা পরিস্থিতি দেখি, তারপর কী করা যায়। ভাববো। মাহমুদুর রহমান মান্না হলেন সেই পঁচা বামদের একজন যিনি বারবার ভোল পাল্টিয়েছেন, মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন এবং পর্দার আড়ালে থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনের আগে এরকম একটি অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেই তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। আর এটি বিএনপির নেতারা ভালো করেই জানেন। আর এজন্যই নির্বাচনের পর মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বিএনপি এড়িয়ে যাচ্ছে। বিএনপিতেও এখন তাঁর আগের কদর নেই। রাজনীতিতে তিনি এখন আবর্জনা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন। আর এরকম উদ্বাস্তু জীবন থেকে নিজের দাম একটু বাড়ানোর জন্যই মাহমুদুর রহমান মান্না মন্ত্রিত্বের স্টান্টবাজি করছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।




মাহমুদুর রহমান মান্না  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্বেচ্ছা নির্বাসনে ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। 

সাধারণত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশ থেকে ফেরার পর ফুরফুরে থাকেন, স্বতঃস্ফূর্ত থাকেন এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। যেমন- দলকে কীভাবে পরিচালিত করতে হবে, তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য কী ইত্যাদি।

প্রতিবারই দেখা গেছে, বিদেশ থেকে ফেরার পরপরই তিনি পরের দিন দলীয় কার্যালয়ে অথবা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গেছেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন, সিনিয়র নেতাদের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, অতীতে বিদেশ থেকে ফিরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব নেতাকে ফোন করতেন, তাদের খোঁজখবর নিতেন এবং আন্দোলন সংগ্রামের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য হালনাগাদ করতেন। কিন্তু এবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় ফেরার পর সেই যে বাড়িতে গেছে এখন পর্যন্ত তিনি কারও সঙ্গে দেখা করেননি। আজ বিএনপির দলীয় কার্যালয়েও তাকে দেখা যায়নি। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তখন পর্যন্ত তিনি দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে যাননি।

তবে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে শারীরিক ভাবে অসুস্থ। বিদেশ ভ্রমণের সময় তাঁর একটা ধকল গেছে। বিশেষ করে ওমরা পালনের সময় বেশ কিছু শারীরিক কাজ করতে হয়। একারণেই তিনি একটু অসুস্থ বোধ করছেন। দু একদিনের মধ্যেই তিনি আবার স্বরূপে ফিরবেন এবং রাজনীতির মাঠে তাকে দেখা যাবে। তবে বিএনপি নেতারা এমনটি মনে করছেন না। 

এর আগেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন সিঙ্গাপুর থেকে ফিরলেন তখনও তিনি নীরবে ছিলেন এবং যে ক দিন তিনি দেশে ছিলেন সে কয়েকদিন রুটিন দু একটি কাজ ছাড়া কোন কাজেই তাকে খুব একটা উৎসাহী এবং আগ্রহী দেখা যায়নি। 

বিএনপির ঢাকা মহানগরীর একজন নেতা বলেছেন, আগের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেন মরে গেছেন। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আগের মতো সপ্রতিভ উদ্যোমী দেখা যায় না। তাঁর মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা একেবারেই নেই।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরপরই মির্জা ফখরুল বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার কাছে দলের মহাসচিব পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি এখন আর দায়িত্ব পালন করতে চান না- এমন বক্তব্য দেন। কিন্তু সেই বক্তব্য আমলে নেননি তারেক জিয়া। আর এ কারণেই নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন এবং আস্তে আস্তে দলে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় প্রমাণের জন্য তিনি যেন চেষ্টা করে চলছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি, তবে...

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি। তবে  সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সমাবেশের অনুমতি নিতে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের আবদুস সালাম জানান, সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ। আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাবো।

বিএনপি সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করি।’

তিনি বলেন, ‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বিএনপিকে বলা হয়েছে। শর্ত মানলে তাদের নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।’

বিএনপি   সমাবেশ   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় আরও বিভক্ত হল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের মধ্যে লড়াই করে জিতেছে। এর ফলে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি আরও তীব্র আকার ধারণ করলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনদের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা পরাজিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় ত্যাগী পরীক্ষিত নেতারা বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই বিজয় বা পরাজয় আওয়ামী লীগের কোন্দল মেটাতে পারেনি। বরং অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে আওয়ামী লীগের কোন্দল এবং বিভক্তি আরও বেড়ে যাবে। উপজেলা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক ছিল নোয়াখালীর সুবর্ণচর। সেখানে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম পরাজিত হয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র সাবাব চৌধুরীর কাছে। এটি তৃণমূলের মধ্যে একটা বড় ধরনের নাড়া দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং এমপিদের সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাচন গুলোর মধ্যে যেখানে যেখানে মন্ত্রী এবং এমপিদের স্বজনেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেখানে নির্বাচন হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ এবং এই উত্তেজনার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মুখ দেখাদেখি রীতিমতো বন্ধ হয়ে গেছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বীকার করেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী যে কৌশল গ্রহণ করেছিলেন, সেই কৌশল যদি বাস্তবায়িত হত তাহলে আওয়ামী লীগে বিভক্তি থাকত না। এসময় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচন থেকে দূরে থাকবেন। তৃণমূলের নেতারা যে যার মতো করে নির্বাচন করবেন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি বিজয়ী হবেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় মন্ত্রী-এমপিদের ভূমিকা। মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন অথবা নিজস্ব লোককে জেতানোর জন্য শুরু থেকেই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। অনেক জায়গায় তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যে আওয়ামী লীগের অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারণার জন্য সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত উপজেলাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোটার উপস্থিতি কম হয়। তারচেয়েও বড় কথা হলো এ ধরনের অবস্থান গ্রহণের ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটি পক্ষ হয়ে গেছে এবং তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণের ঘটনাও ঘটিয়েছে কোথাও কোথাও। উপজেলা নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি জায়গায় সহিংসতার ঘটনাও খবর পাওয়া গেছে। এই বিভক্তি আওয়ামী লীগ কীভাবে মেটাবে সেটি হলো দেখার বিষয়।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   দলীয় কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন