আওয়ামী
লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।
সমাবেশের আলোচনা অনুষ্ঠান শুরুর এখনো ঘণ্টাখানেক সময় বাকি। এরই
মধ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে
নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায়
কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থল।
সরেজমিনে
দেখা যায়, দুপুর বেলা
১২টার দিকে ঢাকা বায়তুল
মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে এই সমাবেশ শুরু
হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
ও উত্তর আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশটি
আয়োজন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু করেন।
আওয়ামী
লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের
উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন লোকসংগীত শিল্পী
লিপি সরকার। তারপর ফকির শাহাবুদ্দিনসহ আরও
কয়েকজন শিল্পী গান পরিবেশন করেন।
এর
আগে নির্ধারিত সময়ের আগেই সমাবেশস্থলে জড়ো
হন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড
ও থানা থেকে নেতারা
মিছিল নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত
হন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট, জিরো
পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে গুলিস্তান ছড়িয়ে পড়ে সমাবেশে আসা লোকজন।
এরইমধ্যে
দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা সমাবেশ মঞ্চে
উপস্থিত হয়েছেন। একই সঙ্গে মিছিল
নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন কর্মীরা।
মঞ্চে
রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মোফাজ্জল হোসেন
চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল
মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর
রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম
বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক,
মির্জা আজম, এসএম কামাল
হোসেন, বন ও পরিবেশ
বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস। এছাড়া পানি
সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তার
আগে সমাবেশমঞ্চে আসেন মহানগর দক্ষিণ
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ কয়েকজন নেতা।
আওয়ামী লীগ শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ সাংস্কৃতিক আলোচনা অনুষ্ঠান ২৮ অক্টোবর
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।