বিএনপি আবার
তার সহিংস রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০১৩-১৪ সালে যে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য এবং আগুন সন্ত্রাসের
রাজনীতি শুরু করেছিল আজ হঠাৎ করে সে ধারায় ফিরে এলো দলটি। প্রথম থেকেই বিএনপি মারমুখী
ছিল। বিএনপিকে যখন নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল
ঠিক সেই সময় বিএনপির অনড় অবস্থান অনেকের মধ্যে এই ধারণা তৈরি করেছিল যে বিএনপি এবার সহিংস রূপে আবার ফিরে আসবে।
নির্বাচনের
জন্য আর মাত্র ৯০ দিনের সংবিধান বেঁধে দেয়ার সময় রয়েছে। তবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এর আগেই যদি বিএনপি বড় ধরনের কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি
না দিতে পারে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচন প্রতিরোধ করা বিএনপির জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আর এ কারণেই বিএনপি বড় ধরনের সহিংস এবং পুরনোরূপে ফিরে যেতে পারে এমন ইঙ্গিত ছিল।
আজ তার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো।
আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার মুচলেকা দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু যখনই
বিএনপির কর্মীরা সমবেত হতে শুরু করে, তারা একের পর এক বিভিন্ন ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি
তৈরি করার চেষ্টা করে। প্রথমে তারা কাকরাইলে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এরপর প্রধান
বিচারপতির বাসভবন আক্রমণ। অডিট ভবন আক্রমণ করে ফলে ক্রমশ পরিস্থিতি আতংকজনক হয়ে যায়।
এরকম পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল হেফাজতের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি
বিজিবিকে মাঠে নামানো হয়। বিজিবি মাঠে নামানোর পরেই বিএনপির মূল পরিকল্পনা ভেস্তে
যায়।
কিছুদিন ধরেই
গুঞ্জন ছিল যে বিএনপি নয়া পল্টনে এসে অবস্থান গ্রহণ করবে এবং ঢাকা দখল করবে। ঢাকার
সব প্রবেশমুখ বন্ধ করে দিয়ে তারা সরকার পতনের জন্য একটা অচল অবস্থা তৈরি করবে। কিন্তু
হঠাৎ করেই তাদের সহিংস আচরণের ফলে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়।
বিএনপির পরিকল্পনা
ছিল যে সরকারি ভবনগুলোতে ভাংচুর জ্বালাও-পোড়াও করে তারা একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে
এবং বিভিন্ন পয়েন্টে নেতা-কর্মীরা অবস্থান গ্রহণ করবে। ফলে এই আন্দোলন টানা আন্দোলন
হিসেবে বিবেচিত হবে।
মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর এর আগে বলেছিলেন যে এটি হবে আন্দোলনের মহাযাত্রা। ঠিক সেরকম একটি পরিকল্পনা
বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই বিএনপি ছক এঁকেছিল। কিন্তু বিএনপির নেতারা চিন্তা করেননি যে
সরকার এত দ্রুত সময়ের মধ্যে বিজিবিকে মাঠে নামাবে বিজিবিকে মাঠে নামানোর পরপরই বিএনপি
নেতারা বুঝতে পারেন যে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করেছে। তখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাস্থল ত্যাগ করেন এবং আগামীকাল হরতালের ঘোষণা দেন। এর ফলে আবার
বিএনপি সহিংস রাজনীতিতে ফিরে গেল।
তবে কোন কোন
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন যে গত কয়েকদিন ধরেই জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির নতুন করে
সম্পর্ক হয়েছে। এই সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে জামায়াত বিএনপির সাথে সমান্তরালভাবে আবার
আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা শুরু করেছে। আজ জামায়াত শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ ডেকেছিল।
কিন্তু জামায়াত যেহেতু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, সেই জন্য শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ
করার অনুমতি দেয়নি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেখানে কঠোর অবস্থানের কারণে
জামাত শেষ পর্যন্ত আরামবাগ এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে। যেহেতু জামায়াত বিএনপির প্রধান
মিত্র এবং তারা শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে পারছে না, সে কারণেই একটা ঘোলাটে পরিস্থিতি
তৈরি করার জন্য বিএনপি চেষ্টা করেছে।
তবে ধারণা করা
হচ্ছে যে, বিএনপির এই হরতালের ফলে টানা কর্মসূচির ধারা শুরু হলো এবং বিএনপি এখন সহিংস
আক্রমণাত্মক কর্মসূচির পথে যাবে। সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে কিভাবে দেশকে নির্বাচনমুখী
করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
২৮ অক্টোবর সহিংস রাজনীতি বিএনপি মহাসমাবেশ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।