বিএনপির মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। এর আগে মির্জা ফখরুলকে
তুলে নিতে তার বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিল বলে দাবি
করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
রোববার সকাল
৯টা ৩০ মিনিটে তাকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
এর আগে গতকাল
২৮ অক্টোবর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করে দলটি। কিন্তু মহাসমাবেশ শুরুর
আগেই বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ঢাকার
বিভিন্ন স্থানে সহিংস তৎপরতা চলায়। তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে
সাতটি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায়, এছাড়া বিভিন্ন
জায়গায় বাস ভাংচুর এবং বিএনপি
ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের হামলায় একজন পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনাও ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মহাসমাবেশ স্থগিত করে হরতালের ঘোষণা দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ
করেন।
এরপর বিএনপির এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে এবং নেতারা গ্রেফতার হতে পারেন বলেও বাংলা ইনসাইডার গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন: কঠোর অবস্থানে সরকার, গ্রেপ্তার হতে পারে বিএনপির শীর্ষ নেতারা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।