ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতের দুই নৌকায় পা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৫ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জামায়াত দুই নৌকায় পা দিয়েছে। একদিকে তারা বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছে, বিএনপি সঙ্গে এক সাথে সমান্তরাল কর্মসূচি ঘোষণা করছে অন্যদিকে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সাথে সুর মিলিয়ে জামায়াতও শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করতে পারেনি। আরামবাগ মোড়ে তারা মহাসমাবেশ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিএনপি সহিংস তৎপরতা জড়ালেও জামায়াত সহিংস তৎপরতা জড়ায়নি। বরং তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে ঘরে ফিরে গেছে। 

জামায়াতের এই আচরণকে রহস্যময় মনে করছেন বিএনপি নেতারা। ওই ঘটনার পর জামায়াত আবার প্রকাশ্যে বিএনপির ২৯ অক্টোবরের হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধও সমর্থন দিয়েছে। এসব অবরোধ বা হরতাল কর্মসূচিতে জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে দেশের কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। বরং পিকেটিং বা গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে জড়িত যারা ধরা পড়েছেন তারা সবাই বিএনপির কর্মী। বিএনপির বিভিন্ন স্থানের কর্মীরাই অগ্নিসংযোগ করেছে, বাসে আগুন দিয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস করার জন্য বিক্ষিপ্ত ভাবে চেষ্টা করেছে। অথচ সন্ত্রাসী, ফ্যাসিস্ট সংগঠন জামায়াতে ইসলাম এ ব্যাপারে ছিল সম্পূর্ণ নীরব। জামায়াত তাহলে কেন এই নীরবতা পালন করল। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, জামায়াত একদিকে যেমন বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজ করতে চাইছে অন্যদিকে তারা গোপনে গোপনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি ওপর যখন ধরপাকড় চলছে সেই সময় জামায়াত নিজেদেরকে গুছিয়ে নিচ্ছে
নির্বাচনের জন্য। তাহলে কি জামায়াত বিএনপিকে ধোঁকা দিচ্ছে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, না, জামায়াত এখন দ্বিমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জামায়াত একদিকে বিএনপিকে মদদ দিচ্ছে, তাদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলছে, অন্যদিকে জামায়াত মাঠে না নেমে তাদের যারা সম্ভাব্য প্রার্থী হবে তাদেরকে নির্বাচনে প্রস্তুত হওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। 

২৮ অক্টোবর বিএনপির এই তাণ্ডবের ফলে এখন পুরো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি বিএনপির ওপর। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, যারা সন্ত্রাসী তৎপরতার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বা এ সমস্ত ঘটনা নির্দেশদাতা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আর এসব থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছে জামায়াত। 

কিছুদিন আগেও এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির মধ্যে সশস্ত্র গ্রুপগুলো সোচ্চার ছিল এবং তারা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এখন বিএনপিকে সামনে দিয়ে তারা সংগঠন গোছাতে চেষ্টা করছে। জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন যে এতদিন সরকারের প্রধান দৃষ্টি ছিল জামায়াতের বিরুদ্ধে। এখন সরকার বিএনপির ব্যাপারে বেশি নজর দিচ্ছে। ফলে জামায়াত সংগঠন গোছাতে পারে। এছাড়াও এটি একটি কৌশলগত অবস্থানও বলে অনেকে মনে করছেন যে জামায়াত বিএনপিকে সামনে দিয়ে নিজেরা ভালো সেজে সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ এমন একটি ভাব আন্তর্জাতিক মহলে দিতে চাচ্ছে। যার ফলে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের অনৈতিক সম্পর্ক সেটিও চেয়েও বড় হয়ে উঠছে হচ্ছে যে সরকার কি তাহলে জামায়াতকে প্রশ্রয় দিচ্ছে? অর্থাৎ সরকার সম্বন্ধে একধরনের বিভ্রান্তি এবং নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টির কৌশল হিসেবেই জামায়াত এইরকম দ্বিমুখী আচরন করছে এবং দুই নৌকায় পা দিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে বোঝা যাবে জামায়াতের আসলে রাজনৈতিক কৌশল কি।

জামায়াত   নির্বাচন   বিএনপি   সরকার   ২৮ অক্টোবর   অবরোধ   হরতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং অফিসার দিতে পারবে ভোট

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।

সেগুলো হচ্ছে…

১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।

২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।

৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।

৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।

৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।

আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।

প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


নির্বাচন কমশিন   ইভিএম   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বহিষ্কৃত হয়েও ভোটে অটল বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় প্রায় দেড়শ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। যারা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বহিস্কার করে বিএনপি।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৮০ জনকে বহিষ্কারের পর শনিবার (৪ মে) দ্বিতীয় দফায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে ৬১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তবে দলের পদ হারালেও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে হারতে চান না বহিষ্কৃত নেতারা। তারা নির্বাচনে জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ কেউ আশা-নিরাশার দোলাচলেও রয়েছেন। কারণ জয়ী না হলে দুকূলই হারাতে হবে তাদের।

এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে সর্বশেষ ফাঁদ পেতেছে সরকার। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছিল; ভেবেছিলেন বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে পারবে; কিন্তু বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই।’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে (সংসদ) ভোট দিতে গিয়েছিল লোকজন? এবারও যাবে না।’

দলটি থেকে বহিস্কৃত কয়েক নেতা জানান, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতাশ এবং দ্বিধান্বিত। তা ছাড়া এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বিএনপি সুবিধা করতে পারত।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপেই অধিকাংশ নেতা এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন; কিন্তু বিএনপি তাদের বহিষ্কার করেছে।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রমিজ উদ্দিন (লন্ডনি) বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভালোই আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী; কিন্তু বিএনপি তো আমাদের বহিষ্কার করেছে।’

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বাবর আলী বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীদের পরামর্শে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছি। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো। আশা করছি জয়ী হব।’ তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল, আমার সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি।’

শেরপুরের নকলা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুকশেদুল হক শিপলু বলেন, ‘১১ বছর কারাগারে ছিলাম। এখনো ঠিকমতো বাড়িঘরে থাকতে পারি না। এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও ভোটের মাঠে আছি, থাকব।’

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। তবে ভুল স্বীকার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদকে দলে ফেরানো হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। সবমিলিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রায় দেড়শ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এমন পরিস্থিতেও তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। তারা এলাকায় প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন। ফলে চার দফার উপজেলা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারের সংখ্যা তিন শতাধিক হতে পারে বলে মনে করছে বিএনপির হাইকমান্ড।

বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন আমরা তাদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ ও বৈঠক করে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাদের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে দল এখন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘দলের নির্দেশ অমান্য করে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা লোভী। তারা দেশ, দল ও জাতির শত্রু। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এ ধরনের সুবিধাবাদীদের দলে আর স্থান দেওয়া হবে না। তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধেও দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দ্বিতীয় ধাপে যারা বহিষ্কৃত হলেন তারা হল..

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, লাইলী বেগম, দেবীগঞ্জ উপজেলার রফিকুল ইসলাম বুলবুল ও আব্দুর রহিম, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার মো. হযরত আলী, নীলফামারীর সৈয়দপুরের রিয়াদ আরফান সরকার রানা, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ফিরোজা বেগম সোনা, বীরগঞ্জ উপজেলার রিয়াজুল ইসলাম রীজু ও মামুনুর রহমান মামুন, গাইবান্ধায় শিল্পী খাতুন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার মমতাজ বেগম, নাটোরের লালপুরের ভিপি আরিফ, বাগাতিপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জিয়াউর রহমান ও নাসরিন পারভিন মুক্তি, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুলফিকার আলী ভুট্টো, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইন্দোনেশিয়া শিতু, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান, খুলনার দীঘলিয়ায় এনামুল হক মাসুম, ফুলতলা উপজেলার সাব্বির আহমেদ রানা, বরগুনা সদর উপজেলার অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, সানাউল্লাহ সানি ও জয়নুল আবেদীন রাফি মোল্লা, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মো. আব্দুল মান্নান ও খন্দকার লিয়াকত হোসেন, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মাহমুদুল হাসান রবিন, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও তাসলিমা জেসমিন পাপিয়া, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মাহবুবুর রহমান বাচ্চু হাওলাদার, রাজবাড়ী সদর উপজেলার শাহিনুর আক্তার বিউটি, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আসাদ মাতব্বর, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার হোসাইন নুর মোহাম্মদ আনির, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রোকসানা বেগম, শেরপুরের নকলা উপজেলার মোকসেদুল হক শিপলু, রেজাউল করিম, দেওয়ান মামুন ও দেওয়ান কোহিনুর, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলার আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হারুনুর রশিদ দুলাল, মোহন মিয়া বাচ্চু ও মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলায় নুরুল হক আফিন্দি ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ছাদ উদ্দীন সাদ্দাম ও পলিনা রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা শাহ আলম স্বপন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাওলানা আব্দুল হেকিম, রাজনগর উপজেলার ডলি বেগম, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলার মজিবুর রহমান সেফু ও আব্দুল আলিম ইয়াছিন, নোয়খালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আবু বক্কর সিদ্দীকি রুবেল, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাফায়েত আজিজ রাজু, বান্দরবানের লামা উপজেলার জাকের হোসেন মজুমদার, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কামাল উদ্দীন, হামিদা চৌধুরী এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার আবু সুফিয়ান রানা ও রাবেয়া আক্তার রুবি।


বহিষ্কৃত   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির লক্ষ্যই হলো চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে।

শনিবার (৪ মে) রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে অভিযোগ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে ফাঁদ মনে করে, আর সে কারণেই তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়।  তিনি বলেন, বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাঁক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে।’

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না। বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। 


বিএনপি   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া পাঁচ নেতাকর্মী হলেন, পঞ্চগড় জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও বোদা উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব এবং বোদা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কলস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, বোদা ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল।

নোটিশে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সকল নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের সকল নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলমান। কিন্তু এর মাঝে যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বহিষ্কার করেছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন