আসন্ন দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়
পার্টির (জাপা) মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ চলছে। আজ শুক্রবার সকালে
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার পর্ব শুরু হয়।
পাশাপাশি দলের মনোনয়ন ফরম
বিক্রিও চলছে।
সকালে জাপা পার্লামেন্টারি বোর্ডে
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু হয়।
জাপার
চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের,
মহাসচিব মুজিবুল হক (চুন্নু), সিনিয়র
কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ
বি এম রুহুল আমিন
হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ,
সৈয়দ আবু হোসেনসহ বোর্ডের
সদস্যরা সেখানে উপস্থিত আছেন।
দলের
মহাসচিব মুজিবুল হক উপস্থিত সাংবাদিকদের
বলেন, দু-একটি বাদে
৩০০ আসনেই একাধিক প্রার্থী দলের মনোনয়ন ফরম
সংগ্রহ করেছেন। প্রার্থীদের এলাকায় প্রভাব, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার বিষয়গুলো মাথায় রাখা হচ্ছে। ২৭
তারিখ জাপার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হতে পারে।
সকাল
থেকে রংপুর বিভাগের জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। দুপুরের পরে রাজশাহী বিভাগের
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বনানী কার্যালয়ে জড়ো হন। তেমনই
একজন নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির
সাধারণ সম্পাদক এ কে এম
সাজ্জাদ পারভেজ। তিনি নীলফামারী-২
আসন থেকে মনোনয়ন পেতে
চান।
সাজ্জাদ
পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, সাক্ষাৎকারে কেন নির্বাচন করতে
চাই, মাঠের পরিস্থিতি, মনোনয়ন দেওয়া না হলে দলের
প্রার্থীর পক্ষে কাজ করব কি
না—এসব বিষয়ে জানতে
চাওয়া হয়েছে। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তিনি আশাবাদী বলে
জানান।
গত সোমবার থেকে জাতীয় পার্টি
মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু
করেছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ফরম বিক্রির
শেষ দিন। তবে গতকাল
রাতে জানানো হয় আজ বিকেল
পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও
জমার সময় বাড়ানো হয়েছে।
জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা
দিলেও জাপার অভ্যন্তরীণ সংকট কাটেনি। দলের
প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ আজ
দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন
ফরম সংগ্রহ করেননি। ফরম নেননি তাঁর
ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদও
(সাদ এরশাদ)।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন,
‘রওশন এরশাদ ফরম নেননি, তবে
নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। গতকালও তাঁর
সঙ্গে কথা হয়েছে। রওশন
এরশাদের জন্য কোনো সময়ের
বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি বললে
মনোনয়ন ফরম তাঁর বাসায়
পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
জাপার
একটি সূত্র বলছে, রওশন এরশাদ দলীয়
কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন ফরম
সংগ্রহ করবেন না। তিনিসহ তাঁর
অনুসারী চার থেকে পাঁচ
নেতার নামে ফরম সংগ্রহ
করতে একটি তালিকা আজ
দলীয় কার্যালয়ে পাঠানো হতে পারে।
নির্বাচন জাতীয় পার্টি মনোনয়নপ্রত্যাশী সাক্ষাৎকার বনানী
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।