বিএনপি যখন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার একদফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে তখনও দলটির নেতাকর্মীদের নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এস এ কে একরামুজ্জামান একজন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন গুঞ্জন উঠেছে। একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন এস এ কে একরামুজ্জামান। তবে এর আগেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
২০০১ সালে অনুষ্ঠিত
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র
প্রার্থী হিসেবে ‘কুলা’ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেও
সংসদ সদস্য হতে পারনি। তাকে নিয়ে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে।
এস এ কে একরামুজ্জামান
গণমাধ্যমকে বলেন, আমি দেশের বাইরে
ছিলাম, দেশে এসে এখনো
অবসর হতে পারিনি। আমার
বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে,
আপাতত মামলা নিয়েই ভাবছি। ২ থেকে ৩
দিন পরে নির্বাচনের ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত নিব, আমাকে ভাবতে
দিন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান
বলেন, আমি লোকমুখে উনার
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ব্যাপারটি
শুনেছি। এ ছাড়া নির্বাচনের
প্রস্তুতি হিসেবে উনার লোকজন এক
শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরও সংগ্রহ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
আমরা আমাদের দলের সিদ্ধান্তে এক
দফার দাবিতে আন্দোলনে আছি এবং নির্বাচন
বর্জন করছি। কেউ যদি স্বতন্ত্র
প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে আসে
সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
নির্বাচন বিএনপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।