আওয়ামী
লীগের প্রার্থী হওয়ার পর প্রথমবার নিজ
এলাকায় অর্থাৎ মাগুরা-১ আসনে এসেছেন
জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব
আল হাসান। সারা দিন নানা
ব্যস্ততায় দিন কেটেছে তাঁর।
নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস
দেখে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। জেলা
আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘আমি
১৭ বছর ধরে ইন্টারন্যাশনাল
(আন্তর্জাতিক) ক্রিকেট খেলছি। সংবর্ধনা অনেকবারই পেয়েছি। তবে এবারের যে
সংবর্ধনা, আমার জীবনে এর
চেয়ে বড় কিছু এখনো
নেই।’
দলীয়
কর্মীরা বলেন, আজ বুধবার দুপুর
১২টার দিকে সড়কপথে গাড়ির
বহর নিয়ে মাগুরায় পৌঁছান
সাকিব। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গড়াই সেতু এলাকায়
ভিড় করে হাজারো মানুষ।
সেখান থেকে ১২ কিলোমিটার
পথ পেরিয়ে মাগুরা শহরে পৌঁছাতে প্রায়
দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়
তাঁর। এ সময় রাস্তার
দুই পাশে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি হাজারো ভক্ত ও সমর্থক
ভিড় করেন। এতে কয়েক কিলোমিটার
যানজটের সৃষ্টি হয়।
মাগুরায়
এসে প্রথমে শহরের জামরুলতলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যান
সাকিব। সেখানে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে
কথা বলেন তিনি। এ
সময় মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি আ ফ ম
আবদুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু ও মাগুরা-২
আসনের সংসদ সদস্য বীরেন
শিকদারের পাশাপাশি দলীয় নেতা–কর্মীরা
উপস্থিত ছিলেন।
এ
সময় সাকিব বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, মাগুরা-১ আসনের সংসদ
সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর গত পাঁচ
বছরে অনেক কাজ করেছেন।
তাঁর এখানে আমি যদিও মনোনয়ন
(নমিনেশন) পেয়ে থাকি, এটা
আসলে তাঁরই আসন। আমরা দুজনই
একসঙ্গে কাজ করব। আমরা
দুজনে সামনের পাঁচ বছরে মাগুরাকে
আরো
এগিয়ে নিয়ে যাবো’।
আওয়ামী
লীগের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব বলেন, ‘আমি এখনো সবার
পদ-পদবি ও নাম
জানি না। আমি এখানে
রাজনীতিতে ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। তাঁরা (জেলা আওয়ামী লীগের
জ্যেষ্ঠ নেতারা) সবাই রাজনীতিতে পিএইচডি
করে ফেলেছেন। তাঁদের দিকনির্দেশনা (গাইডেন্স) ছাড়া আমি এক
পা–ও এগোতে পারব
না। আমি যখন ব্যাট
ধরেছি, আমাদের কোচরা তখন শিখিয়ে দিয়েছেন।
এখানে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই যদি আমাকে
সহযোগিতা করেন, তাহলে আমি যেমন বিশ্বে
এক নম্বর অলরাউন্ডার হয়েছি, আশা করি মাগুরাকে
ওই রকম একটা জায়গায়
নিয়ে যেতে পারব।’
দলীয়
কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জেলা
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মাগুরা পৌর গোরস্থানে যান
সাকিব। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের শান্তি কামনায় দোয়া করেন। এরপর
বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাতীয়
দলের অধিনায়ক। এ সময় মাগুরাবাসীর
পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলের
তোড়া উপহার দেন আওয়ামী লীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র খুরশীদ
হায়দার।
প্রার্থী সাকিব মাগুরা-১ আসন সংবর্ধনা আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।