সরকার পতনের একদফা দাবিতে দুই একদিনের বিরতি দিয়ে টানা দশম দফার অবরোধ-হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এলডিপিসহ অন্য শরিকদলগুলোও জাতীয়তাবাদী দলটির (বিএনপি) সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। একই দাবিতে টানা কর্মসূচি দিয়ে চলেছে বিএনপিকেন্দ্রীক সমমনা দলগুলো। এবার তাদের আরও শক্ত অবস্থান প্রত্যাশা করেছে বিএনপি।
নির্ভরযোগ্য
তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ২৮
অক্টোবরের পর লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপিসহ
মিত্ররা। এরপার এক মাসের বেশি
সময় ধরে চলমান কর্মসূচির
বিকল্প খুঁজছেন নীতিনির্ধারকরা। সেইসঙ্গে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে
একদফা আন্দোলনের গতি বাড়াতে চায়
বিএনপি। তফসিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। তবে, এই নির্বাচন
ঠেকাতেই মরিয়া অংশ না নেওয়া দলগুলো।
তথ্যসূত্রগুলো বলছে,
২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে সরকারের পদত্যাগ
ও একদফা নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে যুগপৎভাবে লাগাতার আন্দোলন করছে বিএনপিসহ ৩৯টি
রাজনৈতিক দল এবং সমমনা
জোট। পৃথকভাবে ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে সক্রিয়
আছে জামায়াতে ইসলামী এবং চরমোনাই পীরের
দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্ট
সূত্রের দাবি, আগামী দিনের কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচন বয়কট করা সব
দলকে নিয়ে একযোগে মাঠে
নামতে চায় বিএনপির হাইকমান্ড।
এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন
বাংলাদেশকে বিশেষভাবে পাশে চায় দলটি।
এদিকে নিবন্ধিত
দল হয়েও আসন্ন দ্বাদশ
সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে ইসলামী আন্দোলন। সেইসঙ্গে দলীয় সরকার নয়,
জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে দলটি। ফলে এসব দলের
শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন এবং
যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। সেইসঙ্গে নির্বাচন বয়কট করা অন্যান্য
রাজনৈতিক দলকেও একই মঞ্চে আনার
লক্ষ্য বিএনপির। মূলত দ্বাদশ সংসদ
নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হলে এই সময়ের
মধ্যে সব দলের মধ্যে
সমঝোতাও হবে এবং একটি
অভিন্ন লক্ষ্যে আন্দোলনের রূপরেখার ঘোষণা আসতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা
বলছেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্তমান দলীয়
সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে
অনড়। নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মিলিয়ে ৬৪টি রাজনৈতিক দল
নির্বাচন বয়কট করেছে। আসন্ন
নির্বাচন ঠেকানোর কৌশল নিয়ে গত
২৮ নভেম্বর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের
শীর্ষ নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। সেখানেও
প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম
খান। তার মতে রাজনৈতিক
আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ইস্যুতে এসব দলও ঐক্যবদ্ধ
থাকবে।
এরই অংশ হিসেবে,
সম্প্রতি জাতীয় সংলাপের
আয়োজন করেন চরমোনাই পীর।
সেখানে সরকার পতনের আন্দোলনে ঐক্যের আহ্বান নিয়ে এক টেবিলে
বসেন বিএনপি এবং দেশের ডানপন্থি
ও বামধারার কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। ওইদিন বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের
অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম আজ বাম-ডান
সবাইকে এক কাতারে নিয়ে
এসেছে। মজলুমদের ঐক্য হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বস্ত নেতৃত্ব চায়, এ দায়িত্ব
নিতে হবে।
অন্যদিকে নির্বাচনবিরোধী
একাধিক দলের নীতিনির্ধারকরা জানান,
নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর ৭ জানুয়ারির
ভোট ঘিরে নতুন কর্মসূচি
নিয়ে মাঠে নামতে চান
তারা। এক্ষেত্রে বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে একসঙ্গে শক্তভাবে
কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।
বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ
আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ৭ জানুয়ারির
আগেই আশা করি বিএনপিসহ
সব বিরোধী দল এক ব্যানারে-এক মঞ্চে আন্দোলনের
মোহনায় মিলিত হবো। সম্মিলিত আন্দোলনের
মাধ্যমেই এই সরকারের পতন
নিশ্চিত হবে। অসহযোগ আন্দোলনের
ঘোষণা কবে?–এমন প্রশ্নের
জবাব তিনি বলেন, আগে
সবাই এক কাতারে শামিল
হচ্ছি, তারপর সবাই মিলে ক্রমান্বয়ে
সম্মিলিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের
সুযোগ দিতে চাচ্ছে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ভোট থেকে সরে এসে ক্ষমা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
বরাবর আবেদন করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে তার
সরে আসার খবর জানাতে হবে।
গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর শান্তিনগরে বিএনপির উদ্যোগে
পথচারীদের মধ্যে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা নির্বাচন থেকে
সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনো সুযোগ আছে যারা নির্বাচন
থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল
শনিবার আরো তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষৃ্কতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর
জেলার হালুয়াঘাট বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর
পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির
উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।
একই কারণে এর আগের দিন শুক্রবার ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় পৌরসভায় একজন এবং ইউনিয়ন পরিষদে আটজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন রুহুল কবীর রিজভী
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।