আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে আছে ১৪ দল। ১৪ দলের আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বহীন, দলের চেয়ে নেতারা। ১৪ দলের যে শরিকগুলো আছে সেই শরিকগুলোর সবগুলোর নাম ঠিকঠাকমতো জনগণ বলতে পারে না। এই সমস্ত দলের কোনও কাউন্সিল হয় কিনা? নেতা নির্বাচন কীভাবে হয়? সে সম্পর্কেও সাধারণ মানুষের কাছে কোন তথ্য নেই। এই সমস্ত দলের নেতারা জন্ম-জন্মান্তরের জন্য দলের নেতৃত্বে আছেন এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন জাতি-গোষ্ঠীকে নিয়ে তারা দল গড়েছেন। আর এই দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তি এমন দুর্বল যে, সারা দেশে তাদের কমিটি আছে কি না, তা তারা নিজেরাও বলতে পারবেন না।
একটি সমাবেশ বা যেকোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে এই সমস্ত দলগুলো গড়ে ১০০ জন কর্মী জোগাড় করতে পারবে কি না, সে নিয়েও কারও কারও সংশয়-সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু ভোট এলেই দলগুলোর আবদার বারে, বারে দরবার।
এবার ১৪ দলের শরিকরা বিশটি আসন চেয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদে ১৪ দলের শরিকদের দশটি আসন ছিল। ওই দশটি আসনে তারা কীভাবে জয় পেয়েছিলেন সেটা তারা নিজেরাও জানেন।
একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব আদর্শ থাকে, নিজস্ব দলীয় প্রতীক থাকে। তারা নির্বাচন কমিশনে যখন নিবন্ধিত হন তখন তারা দলীয় প্রতীক নির্ধারণ করে দেন এবং সেই প্রতীক নিয়ে তাদের নির্বাচন করার কথা। কিন্তু, ১৪ দলের শরিকরা কেউই নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে আগ্রহী নন। কারণ তারা জানেন যে, নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করলে তাদের কি হাল হবে। তারা চান আওয়ালী লীগের প্রতীক নৌকা।
আওয়ামী লীগ দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দল, বৃহত্তম রাজনৈতিক দলও বটে। এই দলটির তৃণমূল পর্যন্ত কমিটি রয়েছে, রয়েছে কর্মীবাহিনী। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের সংখ্যাও বাড়-বাড়ন্ত। লোভেই হোক আর অন্য কোনো প্রাপ্তির আশাই হোক, দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংখ্যা অনেক। কাজেই একটি আসনে যখন আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া হয় বা জাসদ কিংবা ওয়ার্কার্স পার্টির কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়, তখন সেই এলাকায় সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, নেতারা মনোক্ষুণ্ণ হন এবং পরবর্তীতে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাই সবসময় চান যে, যারা শরিক আছেন তারা নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করবেন তাদের অবস্থান থেকে।
যেমন ধরা যাক, ১৪ দলের শরিক জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল)। হাসানুল হক ইনু যদি কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন, তাহলে কেন তিনি মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন না? কেন তাকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে? এবার নির্বাচনে যেহেতু বিএনপি-জামায়াত অংশগ্রহণ করছেন না, কাজেই এই নির্বাচন যদি আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য শরিকরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে করতো তাহলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হত, ভোটারদের অংশগ্রহণ হত। কিন্তু, শরিকরা সেই ঝুঁকি নিতে রাজি নন, কারণ কী?
কারণ একটাই যে, তারা জানেন এরকম নির্বাচন করলে তাদের কারও-ই জয়ী হওয়া নিঃসংশয় নয় বরং তারা জয়ী হতে পারবেন কি না; এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আর এই কারণেই তারা এই অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে চান না। তাদেরকে সব প্রতীকে নির্বাচন করতে গেলে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হবে, কষ্ট করতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে। কিন্তু, এই কষ্ট করতে তারা রাজি নন। তারা চান কষ্ট ছাড়া এমপি হতে।
কষ্ট ছাড়া এমপি হওয়ার জন্য তাদের বাহানার ফর্দ দীর্ঘ হচ্ছে। তারা নৌকা প্রতীকে যেমন প্রার্থীকে বসিয়ে দিতে চান, ঠিক তেমনই ওই আসনে যেন আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকে সেটিরও নিশ্চয়তা চান। এমনকি নির্বাচনে যেন তাদেরকে প্রশাসন এবং অন্য মহল সহায়তা করে সেটিও চান।
অর্থাৎ এমন একটি পরিস্থিতি তারা চান, যেখানে তারা বাধাহীনভাবে এমপি হতে পারবেন। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে কি এমন ভাবনা থাকা উচিত?
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা আজ সোমবার বিকেল
৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক
কার্যালয়ে এ সভা ডাকা হয়েছে।
রবিবার (৫ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সৃভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য দলের পক্ষ থেকে
অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন