গণঅধিকার পরিষদের
আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রেজা কিবরিয়া। তিনি দলটির সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি)
রাতে রেজা কিবরিয়া নিজেই সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
রেজা কিবরিয়া
স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি
যে, আমি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার পদত্যাগপত্র কেন্দ্রীয়
কার্যনিবাহী পরিষদ বরাবর জমা দিয়েছি। এছাড়া আমি গণঅধিকার পরিষদের দলীয় সদস্যপদ থেকেও
ইস্তফা দিয়েছি। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক
হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করছি।
এতে আরও বলা
হয়, আমাকে দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি গণঅধিকার
পরিষদের নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। গত ২ বছর ২ মাস আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে
পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।
বিজ্ঞপ্তিতে
রেজা কিবরিয়া বলেন, আপনারা জানেন যে আমি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা
তহবিল (আইএমএফ) ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেই। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে গণঅধিকার
পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পূর্বে
আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি নীতি নিয়ে কাজ করি। এক পর্যায়ে আমার মনে হয়েছে যে
নিজ দেশের জনগণের জন্য কাজ করার সময় এসেছে। এ ধরনের সুযোগ হয়তো ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে।
আমার বাবা শাহ এ.এম.এস. কিবরিয়ার মতো, আমি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
তিনি বলেন,
বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে আমি তাদের
সঙ্গে কাজ করে যাব। আমি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে অনেক আশাবাদী। আমি মনে করি তরুণরা
বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সম্পর্কে ধীরে ধীরে সচেষ্ট হয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান
গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন,
এটি সত্য। ভালো খবর আসছে,
শিগগিরই জানতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।