যেকোনো সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটি সম্প্রসারিত হতে পারে। স্থায়ী কমিটির পাঁচটি শূন্য পদে আনা হতে পারে যারা মাঠে আন্দোলন করছেন এবং দলের জন্য সক্রিয় এমন নেতাদের। বিএনপির একাধিক নীতি নির্ধারণী সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তারের পরেই স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তবে সেই সময় এই ব্যাপারটি থমকে গিয়েছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সিনিয়র গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের কারাবরণের কারণে। এখন তারা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।
স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠনের বিষয়ে দুটি ব্যাপার বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রথমত, যে পাঁচটি পদ খালি রয়েছে সেখানে নতুন স্থায়ী কমিটির সদস্য নিয়োগ দেওয়া। আর দ্বিতীয়ত, যারা অসুস্থ, বার্ধক্যজনিত কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম তাদেরকে অন্যত্র আলঙ্কারিক পদে নিয়ে গিয়ে স্থায়ী কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং সক্রিয় অন্তর্ভুক্ত করা।
বিএনপির মধ্যে এখন স্থায়ী কমিটিতে কারা আসতে পারেনে তা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা চলছে। বিএনপির নীতি নির্ধারণীর সর্বোচ্চ এই পদে আসার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং তারা লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। স্থায়ী কমিটিতে কারা আসতে পারেন এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে চলছে নানামুখী আলাপ-আলোচনা এবং জল্পনা-কল্পনা।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, বিএনপির এই সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সংস্থায় আসার জন্য যাদের নাম নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রুহুল কবির রিজভী এই মুহূর্তে বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। দলে তার জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। এমনকি কোনো কোনো কর্মীরা মনে করেন যে, বিএনপির এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি তিনি। কাজেই তিনি যদি স্থায়ী কমিটিতে না আসেন সেটা হবে অঘটন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা। তিনি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিভিন্নভাবে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত। তবে তারেক জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক তেমন ভালো নয়। তারেক জিয়ার সাথে সম্পর্কের টানাপোড়নের কারণেই যদি শেষ পর্যন্ত তিনি স্থায়ী কমিটিতে না আসেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের একজন। সাম্প্রতিক সময়ে তাকে অত্যন্ত সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। গতকালই তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তার স্থায়ী কমিটিতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাকে বিএনপির ক্যাশিয়ার মনে করা হয়। তারেক জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, এ কারণে তারও স্থায়ী কমিটিতে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে নারী সদস্যের অন্তত একজনের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এক্ষেত্রে তিন জন নারী নেতাকে নিয়ে আলোচনা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রুমিন ফারহানা, শামা ওবায়েদ এবং নিপুণ রায় চৌধুরী। এই তিনজনের মধ্যে যেকোনো একজন স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে বিএনপির বিভিন্ন নেতারা মনে করছেন। তবে এক্ষেত্রে শামা ওবায়েদ এর চেয়ে রুমিন ফারহানা এগিয়ে আছেন বলে অনেকেই মনে করেন। বিভিন্ন টকশোতে তার অংশগ্রহণের জন্যই রুমিন ফারহানার নাম আলোচনায় বেশি আসছে।
অন্যদিকে রাজপথে লড়াই করার জন্য আলোচিত নিপুণ রায় চৌধুরী যদি স্থায়ী কমিটির অন্তর্ভুক্ত হন তবে অবাক হবার কিছু থাকবে না। ড্যাবের সভাপতি ড. জাহিদের স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। ড. জাহিদ খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া দুজনেরই খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন এখন আইনজীবীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি যদি স্থায়ী কমিটির অন্তর্ভুক্ত হন তবে অবাক হবার কিছু থাকবে না।
বিএনপিতে জনপ্রিয় তরুণ নেতা হাবিব-উন-নবী সোহেলেরও স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিএনপির বিভিন্ন মহল মনে করছেন, এখনি এত তরুণদের স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা নাও হতে পারে। তবে বিএনপি ঈদের আগেই স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করতে চায় এবং স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে সংগঠনকে গোছানোর পাশাপাশি আন্দোলনেও নিজেদেরকে সক্রিয় করতে চায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। তা হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
রোববার
(১২ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
গত
বুধবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করে বিএনপি।
বিএনপি
মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর
তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা কারাগারে
রয়েছেন। বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসারস্থল হচ্ছে
কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
সাংবাদিকের
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে
একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র তখন
ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে যায়, রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট
হয়ে যায়। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার
ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে, অথচ বাংলাদশের
মানুষের অবস্থা খারাপ।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে আসলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুবই খারাপ। তাকে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র চার সংসদ সদস্যের চার স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। ওই চার সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতা। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাররা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে কুমিল্লার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগম হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। রেহানা বেগম কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জানতে চাইলে রেহানা বেগম বলেন, ‘২০১৯ সালেও আমি চেয়ারম্যান হয়েছি নৌকা প্রতীক নিয়ে। এবার দল সবার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। নেতা-কর্মীদের চাপে প্রার্থী হয়েছি।’
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালেও আহসানুল চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। আহসানুল আলম সরকার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এম এ জাহেরের বড় ভাইয়ের ছেলে আবু তৈয়ব ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হয়েছেন। আবু তৈয়ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
স্বজনদের প্রার্থী হওয়া বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবদুল মজিদ ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারে ভাষ্য, প্রার্থীরা গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। তাই এবারও তাঁরা প্রার্থী।
সংসদ
সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, দল প্রার্থিতা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। সারা দেশে বড়
নেতাদের ভাই, ছেলে, স্ত্রী, সন্তানেরা প্রার্থী হয়ে ইতিমধ্যে অনেকে জয়ী হয়েছেন। দেবীদ্বারের
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মামুনুরকে চান। অনেকটা একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন সংসদ সদস্য এম
এ জাহের।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৪ ও ১৫ মে দুদিনের ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে তাঁর। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম গুঞ্জন বা এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করলেও এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিতে তেমন কোন উত্তেজনা বা আতঙ্কও নেই যেমনটি ছিল নির্বাচনের আগে আগে। তবে ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে নতুন করে আশার বুক বাঁধছে বিএনপি। রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির মধ্যে। এরই মধ্যে বিএনপি গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী দেশের সব সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করেছে দলটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধ নিরসন না হতেই উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিভক্তি বাড়ছে, বাড়ছে সহিংসতা। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকায় নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি দলটি কেন্দ্রীয়ভাবেও কাউকে সমর্থন দেয়নি। এর ফলে নির্বাচনে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু সে নির্দেশনা মানছেন আওয়ামী লীগের কেউই। বরং মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্য বা মাই ম্যানদের পক্ষে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। এর ফলে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। আর যার ফলে বাড়ছে কোন্দল, বাড়ছে সহিংসতা। সংসদ নির্বাচনের পর পরই দলীয় প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যেমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই রকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।