গতকাল বিকেলে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল তিন দিনের সফরে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। এই প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে প্রথম বৈঠক করেছেন বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার সঙ্গে। তবে বৈঠকের পর বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। বিএনপির এই নীরবতা নিয়ে নানা রহস্য এবং প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক শেষ করে সাংবাদিকদের কোনও কিছু না জানিয়েই তড়িঘড়ি করে গাড়িতে উঠে যান। গাড়ির জন্য অপেক্ষারত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তোমরা যতক্ষণ আমার গাড়ি না আসবে আমাকে প্রশ্ন করবে, যত প্রশ্ন করবে আমি কিছু বলব না।
বিএনপির এই নীরবতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকেও এই বৈঠকের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এই বৈঠকে তারেক জিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে কিছু স্পর্শকাতর প্রশ্ন উঠে আসতে পারে। মার্কিন প্রতিনিধি দল একজন দণ্ডিত ব্যক্তি বিদেশে থেকে কী ভাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই প্রশ্নটি করেছেন। বিএনপির যারা ঢাকায় রাজনীতি করছেন তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কতটুকু সক্ষম, সেই প্রশ্নটিও উঠে এসেছে। তবে বিএনপির দুজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য রাখতে অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত যে, এর আগেও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং মার্কিন প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বিএনপিকে প্রশ্ন করেছিল যে, তারা যদি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবে? উত্তরে সে সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন যে, বেগম খালেদা জিয়া হবেন অথবা তার অবর্তমানে তারেক জিয়া হবেন। কিন্তু এই দুই বক্তব্যই আইনসিদ্ধ ছিল না। কারণ, বেগম খালেদা জিয়া এখন নির্বাচনে অযোগ্য এবং নির্বাচনের অযোগ্য কোনও ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করতে পারেন না।
একইভাবে তারেক জিয়াও দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। একটি মামলায় উচ্চতর আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছেন। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এর কারণে তারেক জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। এই কারাদণ্ড এড়ানোর জন্যই তিনি দেশে আসছেন না। দেশে না এসে বিদেশে বসে নেতৃত্ব দেওয়াটা কতটুকু যৌক্তিক, সেই প্রশ্নটি বারবার বিভিন্ন কূটনৈতিক মহল থেকে বিএনপির সামনে করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বিভিন্ন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন বটে কিন্তু এই বৈঠকের পর তারা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। কোন প্রশ্ন বা কোনও সমাধানের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার ব্যাপক ক্ষমতা তাদের নেই। আর এটি নিয়েই বিব্রত হচ্ছেন বিদেশি বিদেশি কূটনীতিকরা। আর এ কারণেই গতকালের বৈঠকেও বিএনপির কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, বিএনপি কী করবে? তারা আগামী নির্বাচনে যাবে কি না বা কোন পদ্ধতিতে নির্বাচনে যাবে ইত্যাদি কোনো বিষয়ে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করতে পারেনি। কারণ, বিএনপির যারা আফরিন আক্তারের সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন তারা কেউই আসলে বিএনপির নীতিনির্ধারক না। বিএনপির সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে এবং সেই সিদ্ধান্ত প্রতিপালন করাই বিএনপি নেতাদের একমাত্র কাজ। অবশ্য আপনার ডাক্তারের সাথে বৈঠকেও নেতৃত্ব পরিবর্তনের বিষয়টি এসেছে। তারা দণ্ডিত এবং বিদেশে অবস্থানরতদের বাদ দিয়ে দেশে যারা সক্রিয় রাজনীতি করছেন তাদের মধ্যে থেকে নেতৃত্ব আনার কোন চিন্তাভাবনা করছে কি না এরকম প্রশ্ন এসেছিল মার্কিন প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে। আর এই বিষয়টিতে ব্রিবত বিএনপি তিন নেতা। তাই সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেননি, কোন কথাও বলেননি।
তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, বৈঠকের বিষয় নিয়ে মুখ খোলার ব্যাপারে দুই পক্ষেরই একটি নীতিগত অবস্থান ছিল। তারা জানিয়েছিল যে, মার্কিন প্রতিনিধিদল তাদের সফর শেষে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশের ব্যাপারে সবকিছু বলবে। তার আগে কোন পক্ষই যেন বক্তব্য না রাখেন সেই ব্যাপারে তাদের মধ্যে একটি নীতিগত সমঝোতা ছিল। সেই প্রেক্ষিতেই তারা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বা মার্কিন দূতাবাস এ নিয়ে কোন কথা বলেননি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। তা হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
রোববার
(১২ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
গত
বুধবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করে বিএনপি।
বিএনপি
মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর
তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা কারাগারে
রয়েছেন। বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসারস্থল হচ্ছে
কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
সাংবাদিকের
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে
একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র তখন
ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে যায়, রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট
হয়ে যায়। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার
ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে, অথচ বাংলাদশের
মানুষের অবস্থা খারাপ।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে আসলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুবই খারাপ। তাকে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র চার সংসদ সদস্যের চার স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। ওই চার সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতা। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাররা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে কুমিল্লার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগম হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। রেহানা বেগম কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জানতে চাইলে রেহানা বেগম বলেন, ‘২০১৯ সালেও আমি চেয়ারম্যান হয়েছি নৌকা প্রতীক নিয়ে। এবার দল সবার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। নেতা-কর্মীদের চাপে প্রার্থী হয়েছি।’
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালেও আহসানুল চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। আহসানুল আলম সরকার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এম এ জাহেরের বড় ভাইয়ের ছেলে আবু তৈয়ব ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হয়েছেন। আবু তৈয়ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
স্বজনদের প্রার্থী হওয়া বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবদুল মজিদ ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারে ভাষ্য, প্রার্থীরা গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। তাই এবারও তাঁরা প্রার্থী।
সংসদ
সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, দল প্রার্থিতা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। সারা দেশে বড়
নেতাদের ভাই, ছেলে, স্ত্রী, সন্তানেরা প্রার্থী হয়ে ইতিমধ্যে অনেকে জয়ী হয়েছেন। দেবীদ্বারের
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মামুনুরকে চান। অনেকটা একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন সংসদ সদস্য এম
এ জাহের।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৪ ও ১৫ মে দুদিনের ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে তাঁর। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম গুঞ্জন বা এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করলেও এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিতে তেমন কোন উত্তেজনা বা আতঙ্কও নেই যেমনটি ছিল নির্বাচনের আগে আগে। তবে ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে নতুন করে আশার বুক বাঁধছে বিএনপি। রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির মধ্যে। এরই মধ্যে বিএনপি গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী দেশের সব সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করেছে দলটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধ নিরসন না হতেই উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিভক্তি বাড়ছে, বাড়ছে সহিংসতা। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকায় নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি দলটি কেন্দ্রীয়ভাবেও কাউকে সমর্থন দেয়নি। এর ফলে নির্বাচনে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু সে নির্দেশনা মানছেন আওয়ামী লীগের কেউই। বরং মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্য বা মাই ম্যানদের পক্ষে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। এর ফলে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। আর যার ফলে বাড়ছে কোন্দল, বাড়ছে সহিংসতা। সংসদ নির্বাচনের পর পরই দলীয় প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যেমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই রকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।