ইনসাইড পলিটিক্স

অবশেষে ১৪ দলকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির ভারত বিরোধী কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলকে আবার নতুন করে সাজানো এবং সক্রিয় করার জন্য দলটির সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। আগামী ঈদের পরপরই ১৪ দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাবে এবং দলটির ভিতর যে মান অভিমান, ক্ষোভ, হতাশা ইত্যাদি দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কাজ শুরু করা হবে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই ১৪ দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এই সময় ১৪ দলের মিত্ররা আসন ভাগাভাগি নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট হন। ১৪ দলকে শেষ পর্যন্ত অল্প কিছু আসন দেওয়া হয় এবং অসন্তুষ্ট হয়েই ১৪ দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তবে ১৪ দলের শরিকদেরকে নৌকা প্রতীকে অল্প কিছু আসন দেওয়া হলেও তাতে তারা যতটা অসন্তুষ্ট বা হতাশ হয়েছেন তার চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। ওই নির্বাচনে ১৪ দলের হেভিওয়েট নেতা হাসানুল হক ইনু, ফজলে হোসেন বাদশাসহ অনেকেই পরাজিত হন। এরপর ১৪ দলের পক্ষ থেকে বার বার আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আওয়ামী লীগ তাদেরকে এড়িয়ে গেছেন বলেই একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এমনকি নারী সংসদ সদস্য মনোনয়নের সময়েও ১৪ দলকে আমলে নেওয়া হয়নি। ১৪ দলের কোন সদস্য ছাড়াই আওয়ামী লীগ আটচল্লিশটি আসনে নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন দিয়েছে। যারা সবাই তাদের দলীয় প্রার্থী। এরকম বাস্তবতার ১৪ দল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।

অন্যদিকে নির্বাচনের পর হতাশগ্রস্ত বিএনপি হতাশা কাটতে নানা রকম উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে তারা হঠাৎ করেই ভারত বিরোধী মনোভাব চাঙ্গা করেছে। মালদ্বীপের ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচির মতো ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রকাশ্যে ভারতীয় চাদর পুড়িয়ে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, এটি জনগণের কাছে এখন সবচেয়ে সমাদৃত দাবি।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ভারত বিরোধিতা, সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্র মৌলবাদের উস্কানি সৃষ্টি হয়েছে। ভারত বিরোধীরা আড়ালে পাকিস্তানপন্থী রাজনীতিবিদরা সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। এরকম বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়টি সামনে এনেছে বলে জানা গেছে। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ১৪ দল গঠন করে। এটি একটি আদর্শিক জোট। এখন যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, নতুন করে ভারত বিরোধিতা শুরু হয়েছে তখন আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে আবার ১৪ দলকে সক্রিয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেছেন যে, ১৪ দলের মধ্যে মান অভিমান থাকবে, নানা রকম ভুল বোঝাবুঝি থাকবে। কিন্তু আদর্শের প্রশ্নে আমরা এক। এখন যখন ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে নতুন করে অরাজকতার সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আর এ কারণেই ১৪ দল আবার সক্রিয় হচ্ছে এবং ঈদের পরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী এই জোটকে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় দেখা যাবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন।

১৪ দল   আওয়ামী লীগ   ভারতীয় পণ্য বর্জন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আগে বহিষ্কার, পরে সাধারণ ক্ষমার কৌশলে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে এখন টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছে সেই তালিকা তৈরি করে ৭৩ জনকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে বা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যারা সহযোগিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এই ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে ঢালাওভাবে নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপিতে বহিষ্কার অবশ্য এটাই প্রথম নয় এর আগেও যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বিশেষ করে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাদেরকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে তাদের বেশির ভাগকেই দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সাধারণ ক্ষমতার আওতায় এ সমস্ত স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আবার বিএনপির জন্য কাজ করছেন।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, উপজেলা নির্বাচনে যাদেরকে বহিষ্কার করা হলো তাদের ভবিষ্যত কি? তারা কি শেষ পর্যন্ত বিএনপি থেকে বহিষ্কারই থাকবেন নাকি বিএনপি তাদেরকে আবার ফিরিয়ে আনবে?

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এ ব্যাপারে বিএনপি কৌশলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। উপজেলা নির্বাচনে যেসমস্ত নেতাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, যারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদের নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে অনেক কিছু।

বিএনপির একজন সদস্য বলেছেন, আমরা যেহেতু দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। কাজেই যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেই হবে। তবে তার মধ্যে যদি ভবিষ্যতে এ সমস্ত নেতারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং শাস্তি প্রত্যাহারের বিষয়ে আবেদন করেন তাহলে সেটি দলের হাই কমান্ড বিবেচনা করতে পারে। এর আগেও বিএনপিতে ৩ শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। এর মধ্যে বেশীর ভাগই আবার বিএনপিতে ফিরে এসেছেন বলে বিএনপির এই স্থায়ী সদস্য জানান। তিনি বলেন, যারা ক্ষমা করেছেন এবং যারা ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড করবে না বলে অঙ্গীকার করছে তাদেরকে দল ফিরিয়ে নিয়েছে। দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে এটা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা নির্বাচনেও একইরকম ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সূত্রে জানা গেছে। যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং যারা বিজয়ী হবেন তারা স্থানীয় পর্যায়ে আবার দলের জন্য কাজ করবেন বলে ধারণা করা হয়েছে। তবে সর্বক্ষেত্রেই এটি হবে না বলে মনে করেন অনেকেই। বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, কথায় কথায় বিএনপিতে বহিষ্কার এটি রাজনৈতিক দলের জন্য সুষ্টু চর্চা নয়। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলে বহিষ্কারের নানারকম প্রক্রিয়া থাকে। একজন নেতাকে বা একজন কর্মীকে বহিষ্কার করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। তার দাবী এসব কিছুই এখন অনুসরণ করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র বহিষ্কারাদেশের একটি চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন তারা নির্বাচন করলেন বা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কি ইত্যাদি জানিয়ে তাদেরকে কোন ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ও প্রদান করা হচ্ছে না।

এসমস্ত কারনেই বিএনপিতে এখন এক ধরনের অসন্তোষ এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্যে বিএনপির নেতারা কিছু না বললেও তৃণমূলের নেতারা বলেছেন, বহিষ্কার আতঙ্ক বিএনপিকে আরো নিষ্ক্রিয় এবং হতাশাগ্রস্থ করবে।  


বহিষ্কার   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অবস্থানে যাবে না আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এনিয়ে একাধিকবার বক্তব্য রেখেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, যদি মন্ত্রী-এমপিরা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আগামী ৩০ শে এপ্রিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। এই বৈঠকে দলের সিদ্ধান্ত যারা লঙ্ঘন করেছে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, নানা বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ এখনই মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে না। কোন মন্ত্রী-এমপিকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের জন্য বহিষ্কার করা হবে না বলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা মনে করছেন। তারা বলছেন, বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি মনে রাখবেন, ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢালাও বহিষ্কার বা একটি সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করলেই তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে বের করে দেওয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ এক্ষেত্রে সংযত ও গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখার নীতি অনুসরণ করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ৩০ এপ্রিলের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা তাদের বিভাগ অনুযায়ী প্রতিবেদন দিবেন। কোন কোন বিভাগে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এবং কোন প্রেক্ষাপটে তারা প্রার্থী হয়েছেন সে বিষয়টিও সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্টে উপস্থাপিত হবে। এরপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ‘কারন দর্শানো নোটিশ’ জারি করা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এরপর ‘কারন দর্শানোর নোটিশ’এর জবাবের প্রেক্ষাপটে তাদেরকে সতর্ক করা বা স্বজনদেরকে পদ-পদবী থেকে সরিয়ে দেয়ার মতো পদক্ষেপগুলো নেয়া হবে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন না। তিনি সিদ্ধান্ত নেন ধীর স্থীর ভাবে। আর একারণেই দীর্ঘ মেয়াদী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরবেন এমপি-মন্ত্রীরা।

যেসমস্ত এমপি-মন্ত্রীরা দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন পরবর্তীতে দলীয় কমিটিগুলোতে তাদের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে। অনেকে কমিটি থেকে বাদ পড়বেন। যেসমস্ত মন্ত্রীরা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, ভবিষ্যতে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির আস্থাভাজনের তালিকা থেকে বাদ যাবেন। অনেক এমপি হয়তো পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন।

তবে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তারা শেখ হাসিনার সু-নজর থেকে সরে গেলেন। আওয়ামী লীগে এদের ভবিষ্যৎ ধূসর এবং কুয়াসাচ্ছন্ন হয়ে গেল। আওয়ামী লীগ সভাপতি বহিষ্কার করেন খুব কম। তবে দলের রেখে তাদের এমনভাবে গুরুত্বহীন করে ফেলা হয় যে শাস্তি বহিষ্কারের চেয়ে অনেক বেশী। আর এই কৌশলটি অধিকতর কার্যকর বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মনে করে। তাই ৩০ এপ্রিল বৈঠকে আওয়ামী লীগ দলের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে হুলুস্থুল কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।


মন্ত্রী-এমপি   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির সাংগঠনিক শৃঙ্খলা অটুট রাখতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল ও অঙ্গসংগঠন থেকে নতুন করে আরও তিনজনকে শুক্রবার বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করছেন। শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা (সোনাহার)। তিনি ২নং পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

অপর একজন হলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।


বিএনপি   বহিষ্কার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন

মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।






ওবায়দুল কাদের   ক্ষমতায়   বিদেশি   দাসত্ব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

এর আগে ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর রিয়াজ মাহমুদকে সভাপতি ও সাগর আহমেদ শামীমকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং রাজিবুল ইসলাম বাপ্পীকে সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন