ইনসাইড পলিটিক্স

বিভেদ সামনে আনলেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভেদ এখন প্রকাশ্যে আসছে বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতারা। অনেক সংসদ সদস্য বিভেদ কমাতে উপজেলা নির্বাচনে দলের পক্ষে একক প্রার্থী চেয়েছেন। নতুবা সংসদ সদস্য ও তৃণমূলের নেতারা কাকে সমর্থন করবে—এই নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ওই অঞ্চলের অনেক সংসদ সদস্য দলের পক্ষ থেকে উপজেলায় একজন প্রার্থী ঠিক করে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের দলীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে এসব প্রস্তাব করা হয়।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তিনি জানিয়েছেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে বিষয়টি অবহিত করবেন। সময়মতো দলের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (৩১ মার্চ) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর দলীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক হবে।

আগামী ৪ এপ্রিল খুলনা বিভাগের জেলা নেতা ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের তারিখ ঠিক করা হয়েছে। ওই বৈঠকে দলীয় বিভেদের পাশাপাশি ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, ঈদের পর বরিশাল বিভাগের বৈঠক হবে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে কোনো বিভেদ বা মনোমালিন্য থাকলে তা মিটিয়ে দেওয়া।

ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, তার বিভাগের বৈঠক হবে ২২ এপ্রিল। ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বৈঠকও ঈদের পর অনুষ্ঠিত হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দলীয় বিভেদ এবং উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে নির্দেশনা দিতে এসব বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে দলের তৃণমূলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠন ও দল পুনর্গঠনের কাজও চলবে। এই রমজানে সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়েও বৈঠক করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগের বৈঠকে তৃণমূল এবং সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে টাকাওয়ালাদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার অভিযোগও করেন কোনো কোনো জেলা নেতা।

গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) রংপুর বিভাগের বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র বলছে, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের অংশ নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা। তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছেন, দলীয়ভাবে না হলেও বিএনপি-জামায়াত ব্যক্তিগতভাবে ভোটে অংশ নেবে। অন্যদিকে একেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাঁচ-সাতজন করে। ফলে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের সহজ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, এ পরিস্থিতিতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজন ও নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না থাকলেও দল–সমর্থিত প্রার্থী দেওয়ার বিশেষ অনুরোধ করেন। 

নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, উন্মুক্ত থাকায় দল বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা কার পক্ষে কাজ করব? কেন্দ্র থেকে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথা বলে প্রতীক না থাকলেও একজনকে সমর্থন দেওয়া হলে তাঁর জন্য সবাই কাজ করতে পারবে।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, কেন্দ্র, জেলা ও উপজেলা একজনকে সমর্থন দিলে নেতা-কর্মীদের কাজ করতে সুবিধা হবে, তা না হলে জামায়াত জিতে যাবে। নীলফামারী সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর কারণে জামায়াত–সমর্থিত প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় রংপুর বিভাগের রাজনৈতিক সমস্যার কথা শোনেন ওবায়দুল কাদের। তিনি দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ ও সুজিত রায় নন্দীকে নির্দেশনা দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, ‘বিরোধী দল নির্বাচনে এলে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা সময়ই বলে দেবে। কারণ, সেখানে বিজয়ের জন্য আমাদের ভালো ও জনপ্রিয় নেতাকে প্রার্থী করতে হবে। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। তবে সেখানে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করবে না, জেলা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, একজন সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, তৃণমূলের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের সুযোগ দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, ভোটাভুটি ছাড়াই মতামতের ভিত্তিতে কমিটি হয়ে যায়।

এ বক্তব্য সমর্থন করে লালমনিরহাটের একজন সংসদ সদস্য বলেন, আমরা আদর্শের রাজনীতি করব, নাকি টাকার রাজনীতি? এটা আগে ঠিক করতে হবে। ওই সংসদ সদস্য বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সহযোগী সংগঠনের কমিটি কেনাবেচা হচ্ছে। সহযোগী সংগঠনের নেতা নির্বাচনে জেলা নেতাদের মতামত নেওয়া হয় না। ফলে জেলা নেতাদের কোনো মূল্য দেন না সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, আমার আসনে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এক এমডি প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি অনেক টাকাপয়সা খরচ করেছেন। নেতা-কর্মীদের মাঝে টাকার লোভ ঢুকিয়েছেন।

একটি জেলার নেতা অভিযোগ করেন, জীবনবৃত্তান্ত আর চিঠি দিয়ে তৃণমূলের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এতে প্রকৃত নেতারা বঞ্চিত হচ্ছেন। আরেকজন নেতা অভিযোগ করেন, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৃণমূলে ইচ্ছেমতো কমিটি দিয়ে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন।

জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে বিভিন্ন জায়গায় নৌকার প্রার্থীরা যে বেকায়দায় পড়েছিলেন, সে বিষয় নিয়েও বৈঠকে কথা উঠেছিল। সেখানে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আমার আসনে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এক এমডি প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি অনেক টাকাপয়সা খরচ করেছেন। নেতা-কর্মীদের মাঝে টাকার লোভ ঢুকিয়েছেন।’

পঞ্চগড়-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত। নির্বাচনের আগে তাঁর স্থলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজন।

এ বিষয়ে সুজন বলেন, স্বতন্ত্র ভোট করার কারণে সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। যার জন্য সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তুমি তো (সুজন) নির্বাচন করেছ, কাকে দায়িত্ব (সভাপতি) দিয়েছ?’ জবাবে সুজন বলেন, ‘আমি তো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেছি।’ জবাবে কাদের বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য তো মাঠ ওপেন রাখা হয়েছিল।’

গাইবান্ধায় দুটি আসনে শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এ দুটি আসনে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী লাঙ্গলের ভোট করেছেন। কিন্তু সেখানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর জন্য এখন দলের নেতারা বিপদে আছেন বলে গাইবান্ধা জেলার একজন নেতা জানান।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

২৬ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। এরপর একই দিনে আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয়। তবে প্রকৃতির বৈরি আচরণের কারণে আপাতত পিছু হঠছে বিএনপি। চলমান তাপদাহ ও হিট অ্যালার্টের কারণে এই সমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে আবার সরকার পতন আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা ছিল দলটির। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

দলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান তাপদাহ কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থগিত হওয়া সমাবেশ কর্মসূচি করবে বিএনপি। একই সঙ্গে চলমান বিভিন্ন সংকট বিশেষ করে লোডশেডিং ইস্যুতে আন্দোলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচন বর্জনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। এভাবে ধীরে ধীরে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে দলটি। তবে অতীতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে স্বাগত জানানো হলেও এবার তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুতের দাম ইত্যাদি ইস্যুতে আন্দোলনে স্বাগত জানিয়েছিল সরকার। তবে এবার সরকার হয়তো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এমন ধারণা কারও কারও। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এ ধারণা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমি পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। অথচ ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদেরই মার খেতে হয়েছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তো আমার মনে হয় আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা চাইলে গ্রহণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে দেশের বাইরে বসেও আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করে করুক, তাতে আমরা বাধা দিচ্ছি না। এখন আন্দোলন দমাতে আমেরিকান স্টাইল ফলো করা যেতে পারে। আমেরিকান পুলিশ যেভাবে আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের দমন করে, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পুলিশ তা অনুসরণ করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে কিনা সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। এখন দেখার বিষয় বিরোধী দলগুলো সেরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে কিনা আর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সেক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কী হয়।

আন্দোলন   সরকার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  

রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ আহ্বান জানান।

বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।  

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এসব কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, কালকের (সোমবার) সমাবেশ বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ। পৃথিবীর সব স্বাধীনতাকামী রাষ্ট্রের পক্ষে ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কালকের সমাবেশ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, মারধর ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার কারণে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ এসব অব্যাহতি ও হেনস্তার বিরুদ্ধে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   ফিলিস্তিনের পতাকা   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মামলা গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-

১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন

২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল

৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   শাহদাত হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং অফিসার দিতে পারবে ভোট

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।

সেগুলো হচ্ছে…

১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।

২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।

৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।

৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।

৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।

আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।

প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


নির্বাচন কমশিন   ইভিএম   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন