এবারের ঈদুল ফিতরে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা, এমপি, মন্ত্রীরা ঢাকার বাইরে নিজ এলাকায় থাকবেন। অনেকে আবার ঢাকায় ঈদ করবেন। নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজে অংশ নেবেন এবং সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ঈদ উদযাপন করবেন। ঈদ উপলক্ষে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ঢাকায় ঈদ করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঢাকায় ঈদ করবেন। এদিন বিকেলে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীতে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান ঢাকার বাইরে নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন বলে জানা গেছে।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকায় ঈদ করবেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ঢাকায়, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকার বাইরে নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সস্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ঈদ উদযাপন করতে ঢাকার বাইরে নিজ নিজ এলাকায় যাবেন। অনেকেই ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী ওবায়দুল কাদের একরামুল করিম চৌধুরী
মন্তব্য করুন
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী।