ইনসাইড পলিটিক্স

‘ম্যাচিউর ছেলে ভোটের সিদ্ধান্ত নিলে কী করার আছে’

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমার ছেলেকে ভোট না দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে না’ এই শব্দটা কোন লিঙ্কের মধ্যে এসেছে, কোন কথার মধ্যে এসেছে আমি জানি না। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের চাপে আমি আমার ছেলেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলি। আমার ছেলে জিতবে কি জিতবে না সেটা বড় কথা নয়। আমি যেহেতু এই এলাকার নির্বাচিত এমপি আমি প্রতিটি জায়গায় উন্নয়ন করে যাব। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে আমার নির্বাচনি এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি তুলনামূলক অন্য আসনগুলোতে কমই হয়েছে। কাজেই আগামী পাঁচ বছরও আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ নিয়ে উন্নয়ন করে যাব’।

তিনি বলেন, ম্যাচিউর ছেলে ভোটের সিদ্ধান্ত নিলে আমার তাকে সমর্থন দিয়ে বক্তব্য দেওয়া ছাড়া আর কী করার আছে? গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) বেসরকারী এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী

একরাম চৌধুরী নিজের কাছেই প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে, এমপি-মন্ত্রীর পুত্ররা ভোট করতে পারবে না। এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে। এ প্রশ্ন অন্য কারও কাছে নয়, আমার নিজের কাছে। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার সন্তান যদি রাজনীতি না করে তাহলে ভবিষ্যতে রাজনীতি করবে কারা? রাজাকারের সন্তানরাই কি আওয়ামী লীগকে গ্রাস করে তারাই নেতৃত্ব দেবে আগামী প্রজন্মের? আমার আরেকটি প্রশ্ন। এই আজকে নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের বাবা হলেন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আর তার মা হলো জামায়াতের রোকন। যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সে যে বাড়িতে থাকে সম্পূর্ণ বাড়ি বিএনপির ঘাঁটি। তার আপন আত্মীয়স্বজন, চাচাতো ভাইয়েরা সবাই ছাত্রদল, বিএনপি, যুবদলের সঙ্গে জড়িত। এরাই কি আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে? এরাই কি শেখ হাসিনার পথ? নতুন প্রজন্মের ধারা হবে? এই আমরা যারা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী তাদের ছেলে-সন্তানরা কি রাজনীতি করতে পারবে না? তারা কি সংবিধানের বাইরে? তারা কি সংবিধানের আওতায় থাকবে না? তাহলে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? আমার প্রশ্ন এখানে।

আগামীকাল (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত আমি আমার বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে বলেছি, আমি খায়রুল আলম সেলিম ভাইয়ের বিচার চেয়েছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিম ভাই নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছেন। উনি ৩৫ বছর একটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন ওখানকার হিন্দুদের এবং হিন্দু পরিবারের নারীঘটিত ব্যাপারগুলোতে উনি যেভাবে ওখানে শোষণ করেছেন এলাকায় যদি গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে রিপোর্ট নেওয়া হয় সবকিছুই জানতে পারবে। নেত্রীর নির্দেশের পরও ২০০০ একরের ওপরে সরকারি জমি এখনো ওনার আয়ত্তে আছে। যা নেত্রীর নির্দেশকে উপেক্ষা করে। আমার মনে হয় ওনাকে একবার ভোট করা উচিত। এই ভোটে আমার ছেলেও প্রার্থী। সেলিমও প্রার্থী। ভোটে যদি আমার ছেলে জিতে এরপর নেত্রী যদি পদত্যাগ করতে বলেন, তাহলে পদত্যাগ করবে। কিন্তু ভোটের রেজাল্ট কী হয় এটা সারা বাংলাদেশ নয়, নেত্রীরও জানা উচিত, আমার নেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়েরও জানা উচিত।

এক প্রশ্নের জবাবে একরাম চৌধুরী বলেন, আসলে রাজনীতি করব এমন কোনো চিন্তাভাবনা আমার ছিল না। আমার বাবা রাজনীতিবিদ ছিলেন। আমি ছিলাম ক্রীড়াঙ্গনের লোক। ক্রীড়াঙ্গনে থাকাকালীন পায়ের হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ায় থমকে যায় খেলাধুলার পথচলা। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী জগতে ফিরে যাই। আমার বাবার সঙ্গে একসময় আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের ভুল বোঝাবুঝি হয়। এর সূত্র ধরেই আমার রাজনীতিতে প্রবেশ কিংবা পথচলা। আমি সে সময় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপি নেতা মওদুদ সাহেবের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটে অংশগ্রহণ করি। ফলাফল আমার খুবই ভালো ছিল। কিন্তু সেবার ভাগ্য সহায় হয়নি। জয়ী প্রার্থী হতে পারিনি। সে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে। সারা দেশে ক্লিন হার্ট অপারেশনের নামে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতন, বিএনপি-জামায়াতের নেতারা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন শুরু করে। সে সময় আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাকে ডেকে নেন। আওয়ামী লীগের পতাকাতলে স্থান দেন।

বেশ কয়েকদিন পর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর আমি অনুধাবন করি- নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের অবস্থা খুবই করুণ। আওয়ামী লীগের অবস্থা এতটা নিম্ন পর্যায়ে ছিল যে, বড়রা তো সমর্থন করতই; এমনকি ছোট শিশুটির মুখেও ছিল বিএনপির নাম। আমি যখন কাজ শুরু করি, তখন আমি ১০ জন লোককেও পাশে পেতাম না। মিছিল-মিটিংয়ে সমর্থক খুঁজে পেতাম না। ভীষণ কষ্টের ছিল রাজনীতি জীবনের সূচনা। পুলিশের মার খেয়েছি, কিন্তু পিছপা হইনি। আন্তরিকতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচারণা চালিয়ে গেছি। ধীরে ধীরে সংগঠনকে সাজিয়েছি। গুছিয়ে নিয়েছি নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে। এক পর্যায়ে নোয়াখালী জেলার ১০৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০২টি ইউনিয়ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে (প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন) উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এরপর নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সক্ষম হয়েছি। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল সে সময়। নোয়াখালী জেলার মেয়রের আসনে আমি আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। সেটাও আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়েছি। ২০০৮ সালে আমার নির্বাচনি এলাকা ছিল ওবায়দুল কাদের সাহেবের এলাকা। তবুও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আমাকে নোয়াখালী-৪ আসনে (সদর সুবর্ণচর) নির্বাচনি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ প্রধানের নির্দেশ মোতাবেক আমি সেখান থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ভোটে অংশ নিয়ে আমি বিজয়ী হই। আপনার গড়ে তোলা নোয়াখালীর সেই সংগঠন থেকে আপনি এখন সাধারণ সম্পাদক নন কেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল হক চৌধুরী বলেন, পরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে আমাদের নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলন হয়। সেখানে আমি আবার পুনর্নির্বাচিত হই। আমাদের বর্তমান সভাপতি, ওনাকে আমি নিজ চেষ্টায় সভাপতি করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রিন সিগন্যালের মাধ্যমে আমরা দুজন প্রার্থী হয়েছিলাম। দুঃখের বিষয় হলো- কমিটি দেওয়ার আগে আমাদের মির্জা কাদের, আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের ভাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার করেন। আমাকে নানাভাবে কটূক্তি করেন। বিভিন্ন ইঙ্গিত-ইশারায় উনি আমাকে নিম্ন পর্যায়ের কথাবার্তা বলেন। এসব ঘটনার পর নেত্রী আবার সম্মেলন ডাকেন। সেই সম্মেলনে আমি আর উপস্থিত ছিলাম না। সম্মেলনে আমি যোগ দিইনি। কারণ, আমার মনে ক্ষোভ ছিল, দুঃখ ছিল। এরপর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত নতুন কমিটির কোনো কার্যক্রম আমার চোখে পড়েনি। এ কমিটি এখনো পাস হয়নি। তারপর গত নির্বাচনে আমি জানতে পেরেছি আমাকে আমার আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দেওয়া হবে না। সবাই মিলে সেই প্রচেষ্টাটিই করেছেন।

তবে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালী জেলায় আমাকে যোগ্য মনে করেছেন, আমার অভাবটা বুঝতে পেরেছেন, আমাকে আবার নমিনেশন দিয়েছেন। আমি প্রায় ৮৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে বিজয়ী হই। তখনকার ভোটের কার্যক্রম আমাদের নোয়াখালীর নেতৃবৃন্দ এবং আমাদের নোয়াখালী আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছিলেন। ভোটের মাঠে আমাকে হারানোর চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসায় আমি জয়ী হই। এখন উপজেলা ভোট এসেছে। এ ভোটকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ভোটে আমাদের কোনো মার্কা থাকবে না। এখানে যে কেউ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সে অনুযায়ী আমি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের চাপে আমার ছেলেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলি। দুই মাস আগে থেকে সেই প্রস্তুতি নিতে নিতে আজ এমন এক পর্যায়ে এসেছে যে, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের প্রবীণ- নবীন সবাই সাবাব চৌধুরীর প্রাণের স্পন্দন হয়ে গেছেন।


নোয়াখালী-৪   সংসদ সদস্য   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা আজ সোমবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা ডাকা হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সৃভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আওয়ামী লীগ   সম্পাদকমণ্ডলী   সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

২৬ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। এরপর একই দিনে আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয়। তবে প্রকৃতির বৈরি আচরণের কারণে আপাতত পিছু হঠছে বিএনপি। চলমান তাপদাহ ও হিট অ্যালার্টের কারণে এই সমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে আবার সরকার পতন আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা ছিল দলটির। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

দলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান তাপদাহ কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থগিত হওয়া সমাবেশ কর্মসূচি করবে বিএনপি। একই সঙ্গে চলমান বিভিন্ন সংকট বিশেষ করে লোডশেডিং ইস্যুতে আন্দোলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচন বর্জনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। এভাবে ধীরে ধীরে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে দলটি। তবে অতীতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে স্বাগত জানানো হলেও এবার তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুতের দাম ইত্যাদি ইস্যুতে আন্দোলনে স্বাগত জানিয়েছিল সরকার। তবে এবার সরকার হয়তো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এমন ধারণা কারও কারও। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এ ধারণা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমি পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। অথচ ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদেরই মার খেতে হয়েছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তো আমার মনে হয় আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা চাইলে গ্রহণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে দেশের বাইরে বসেও আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করে করুক, তাতে আমরা বাধা দিচ্ছি না। এখন আন্দোলন দমাতে আমেরিকান স্টাইল ফলো করা যেতে পারে। আমেরিকান পুলিশ যেভাবে আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের দমন করে, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পুলিশ তা অনুসরণ করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে কিনা সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। এখন দেখার বিষয় বিরোধী দলগুলো সেরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে কিনা আর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সেক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কী হয়।

আন্দোলন   সরকার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  

রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ আহ্বান জানান।

বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।  

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এসব কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, কালকের (সোমবার) সমাবেশ বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ। পৃথিবীর সব স্বাধীনতাকামী রাষ্ট্রের পক্ষে ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কালকের সমাবেশ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, মারধর ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার কারণে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ এসব অব্যাহতি ও হেনস্তার বিরুদ্ধে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   ফিলিস্তিনের পতাকা   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মামলা গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-

১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন

২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল

৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   শাহদাত হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন