ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেটকে ঘিরে নতুন করে সরকার বিরোধী আন্দোলনের ইঙ্গিত

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৫ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে এদিন বাজেট পেশ করবেন বলে জানা গেছে। অর্থনীতির সংকট, নানারকম অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে এবারের বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশবাসী। আর বিরোধী দলগুলো এই বাজেটকে ঘিরেই সরকার বিরোধী মুখ থুবড়ে পড়া আন্দোলন নতুন করে শুরু করার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গেছে। বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একের পর এক বিএনপি বৈঠক করছে এবং একটি যৌথ আন্দোলনের রূপ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে৷ 

বিরোধী দলগুলো সূত্রে জানা গেছে যে, তীব্র অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, অর্থ পাচার ইত্যাদি বিষয়গুলোকে একাট্টা করে বাজেট ঘোষণার পর পরেই সরকার বিরোধী আন্দোলন নতুন করে শুরু করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। 

উল্লেখ্য, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দু বছর আগে থেকেই বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো স্ব স্ব অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু করেছিল এবং এই আন্দোলনে যথেষ্ট গতি এসেছিল। কিন্তু গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির ভুল রাজনীতি এবং আকস্মিকভাবে হঠকারিতার দলটিকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। এই ভুল রাজনীতির কারণে
আন্দোলনের প্রতি সাধারণ মানুষের যে সমর্থন এবং সহানুভূতি ছিল তা উবে যায়। 

২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির আন্দোলন বিপর্যস্ত এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ব্যাপারে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিএনপি নেতাকর্মীরাই অনাগ্রহ দেখান। তারা এখন হতাশাগ্রস্ত। কিন্তু আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপি গত কিছুদিন ধরে চেষ্টা করছে। বিএনপির পক্ষ থেকে সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করেছিল, তারা নতুন করে আন্দোলনের জন্য একে অপরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছে এবং সেই আলাপ আলোচনায় সরকারের বিরুদ্ধে কী কী বিষয় নিয়ে আন্দোলন করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 

বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে একটি লিয়াঁজো কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও বিএনপি এই ধরনের লিয়াঁজো কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত একমত পোষণ করেননি। তবে সফল রাজনৈতিক দলগুলোই বাজেটকে সামনে রেখে নতুন পরিসরে আন্দোলন করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে তারা পাঁচটি বিষয়কে সামনে আনবে আনতে চায়। 

প্রথমত, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মুদ্রাস্ফীতি- এই বিষয়টিকে তারা সবচেয়ে সামনে। দ্বিতীয়ত, সারা দেশে বিদ্যুৎ সংকট, তৃতীয়ত, ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য (তাদের ভাষায় লুটপাট), চতুর্থত, দুর্নীতি এবং পঞ্চমত, অর্থপাচার। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা সারাদেশে সমাবেশ, বিক্ষোভ, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিগুলো পালন করতে চায়। তবে কর্মসূচির ধরন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের অনৈক্য রয়েছে। 

কেউ কেউ মনে করছেন যে, বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বৈচিত্র্য আনা দরকার। এমন ধরনের কর্মসূচি দেওয়া দরকার যে ধরনের কর্মসূচিতে জনগণ সম্পৃক্ত হতে পারে। কৌশলগত কারণে বিএনপি এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটিকে সামনে আনতে রাজি নয়। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়ে তারা জনগণের ভোগান্তি এবং জনদুর্ভোগের বিষয়গুলোকে সামনে আনতে চায়। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে এক ধরনের হতাশা, নেতাকর্মীদের মধ্যে আন্দোলন নিয়ে অনীহা এ সব কিছু মিলিয়ে বাজেট কেন্দ্রিক আন্দোলন কতটুকু ফলপ্রসূত হবে তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই এক ধরনের সন্দেহ রয়েছে। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, এখনই চূড়ান্ত আন্দোলন নয়। তারা ধাপে ধাপে আন্দোলন শুরু করতে চায়। সেই নতুন আন্দোলন শুরুর ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হবে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

বাজেট   সরকার বিরোধী আন্দোলন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক তাণ্ডবে বিভক্ত বিএনপি, হতাশ খালেদা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

তারেক জিয়া এখন বিএনপিতে রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেছেন। দলের ভেতর এখন চলছে একধরনের অজানা আতঙ্ক। কে কখন দল থেকে বাদ পড়বেন, কোন কমিটি কখন বিলুপ্ত হবে—এ নিয়ে দলের ভেতর তীব্র অস্থিরতা বিরাজ করছে। আর এই অস্থিরতায় বিএনপির নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। 

বিএনপির কোন নেতা মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যেটা করেছেন এটা দরকার ছিল। বিএনপিকে গোছানো এবং আন্দোলনের গতি আনার জন্য এর কোন বিকল্প নেই। তবে অন্য নেতারা মনে করছেন, এটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক অন্যায় এবং এভাবে দলে স্বৈরচারী কায়দায় রদবদল করলে বা কমিটি বাতিল করলে দলের অস্তিত্ব সঙ্কটের মধ্যে পড়বে। এ নিয়ে বিএনপি এখন স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। দলের ভেতর স্থায়ী কমিটির সিংহভাগ সদস্যই তারেক জিয়ার এই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে। 


তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজন নেতা এই সিদ্ধান্তের পক্ষে। তারা মনে করছেন যে, যারা দলের জন্য কাজ করছে, যারা দলের জন্য সময় দিচ্ছে তাদেরকে নেতৃত্বে আনা উচিত। তবে সকলে একমত যে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এটি হচ্ছে না। 

গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বেগম খালেদা জিয়াও তারেক জিয়ার এই স্বৈরচারী আচরণে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিরুপায় বলেও উল্লেখ করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন যে, এই বিষয়গুলো সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে করা উচিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারো সাথে আলাপ আলোচনা না করে এটি করা নিয়ে তার মধ্যে এক ধরনের দীর্ঘশ্বাস আছে। তবে কোন প্রতিবাদ নেই। 


বিএনপির বিভিন্ন নেতারা বলছেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে দল করছেন, দলের ভেতরে রকম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কখনও দেখেননি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খান এ ধরনের সিদ্ধান্তের ঘোরতর বিরোধী। তারা মনে করছেন যে, এটির ফলে দলে একটি নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে, দলে আতঙ্ক বিরাজ করবে এবং কেউই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উৎসাহী হবে না। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছেন, টকশো দেখে দেখে যদি কমিটি করা হয় তাহলে সংগঠন টিকবে না। মজার ব্যাপার হল, এবার যারা কমিটিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে দু ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটি হল যারা নিয়মিত বিভিন্ন টকশোতে উপস্থিত থাকেন তারা। অন্যটি হল যারা এক এগারোর সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। 


জহিরউদ্দিন স্বপন বাম রাজনীতি থেকে আসা। তিনি এক এগারো সময় সংস্কারপন্থিই শুধু ছিলেন না, বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার জন্য যে গ্রুপটি সক্রিয় ছিল সেই গ্রুপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি এক এগারোর পর বিএনপি থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছিলেন কিন্তু এখন তিনি তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে জায়গা পেয়েছেন এবং এবার তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন।


একই অবস্থা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের। তিনি একজন সংস্কারপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার জন্য বিএনপির মধ্যে যে সংঘবদ্ধ চক্র সে চক্রের অন্যতম অংশীদার ছিলেন। এমরান সালেহ প্রিন্স আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে বিএনপিতে পরিচিত। তাকেও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এক এগারোর সময় যারা সংস্কারপন্থি ছিলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল তারাই এখন ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপিতে এখন তোলপাড় চলছে। কার্যত বিএনপি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আর এর ফলাফল কি হয় সেটা বুঝা যাবে অদূর ভবিষ্যতে।

তারেক জিয়া   রুহুল কবির রিজভী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   জহিরউদ্দিন স্বপন   সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উচ্চমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তরাও কোরবানির সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন: রিজভী

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, উচ্চমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তরাও এখন পশু কোরবানি করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন। সরকার মানুষের ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। তাই গরুর হাটে লোক নেই। এরপরে যারাও আছেন, হাটে গরু কিনছেন তাদের বেশির ভাগ সরকারের দুর্নীতিবাজ লোক।

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় কোরবানির বাজারে পশুসহ নানা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারকে দায়ী করেন রিজভী।

রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শেয়ারবাজার থেকে আরম্ভ করে পাড়া-মহল্লার কাঁচাবাজার পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরেই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অসহায় সাধারণ জনগণ। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা, এলাচির কেজি চার হাজার টাকা, লবঙ্গের কেজি প্রায় দুই হাজার, দারুচিনির কেজি প্রায় ৬০০ টাকা, তেজপাতার কেজি ৩০০ টাকা। জনগণ যেন খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এক আগ্নেয়গিরির ওপর বসে আছে।

তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে ব্যাংকগুলো শূন্য হয়ে গেছে। তারল্য সংকটে সাধারণ গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছে না। বুথে টাকা নেই। ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা বিদেশে যেতে পারছেন না। ব্যাংকগুলোকে অনিরাপদ করে তোলা হয়েছে।

মিয়ানমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন সীমান্তে মিয়ানমার যা করছে তা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। সরকার এহেন কাণ্ডে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।

আজিজ-বেনজীরদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে সরকারি আরও দুর্নীতিবাজদের তথ্য বের হয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


বিএনপি   রিজভি   কোরবানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘সেন্টমার্টিন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি-জামায়াত’

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো নতজানু আচরণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখছেন। ‘কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দখল হয়ে যাচ্ছে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে,' বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোববার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা ইস্যু নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখেছেন। তিনি কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও কৌশলের বাইরে গিয়ে এমন কথা বলেছেন যা শুনে মনে হয় পরিস্থিতি নিয়ে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই। 

মির্জা ফখরুল ইসলামের বলার আগেই আমি বলেছি সরকার এখানে নিষ্ক্রিয় নয়। আক্রান্ত হলে পাল্টা আক্রমণে প্রস্তুত আছে সরকার। সেখান থেকে যুদ্ধজাহাজ এরইমধ্যে প্রত্যাহার হয়েছে। যান চলাচল নিয়মিত হয়ে গেছে, লোকজন যাওয়া আসা করছে। আমরা গায়ে পড়ে ঝগড়া করব না। মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই এখানে উসকানি দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধাব? সারা বিশ্ব রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চায় সরকার। 

রোহিঙ্গারা যখন দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছিল ওইদিক থেকে তখনও কিছু উসকানি ছিল, আমরা উসকানিতে পা দেইনি। গায়ে পড়ে যুদ্ধ বাঁধানোর ইচ্ছে নেই। আলাপ আলোচনার দরজা এখনও খোলা আছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী শেখ হাসিনার সরকার। ভিশনারি লিডার শেখ হাসিনা জানেন কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে বিএনপি বেহুদা মন্তব্য করেছিল। এখনো তারা সেটাই করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা সতর্ক আছে। সেন্টমার্টিন সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তবে আমরা সতর্ক আছি। সেন্টমার্টিনে গুলিটা আরাকানরা করেছে, মিয়ানমার সরকার করেনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের উপর বোঝা হয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রথম বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েছিল বিএনপি সরকার। রোহিঙ্গাদের জঙ্গি কাজে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গারা বোঝা হয়ে আছে তাদের ফিরে যেতেই হবে। সে প্রয়াস অব্যাহত আছে। আমরা নতজানু আচরণ কখনো করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। 

মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।


ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হস্তক্ষেপ চাইলেন ফখরুল: খালেদা নিরুপায়

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির গঠনতন্ত্রের একটি কপি নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে রাত টার দিকে ফিরোজায় প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে উদ্বিগ্ন, বিমর্ষ এবং ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। আগে থেকেই বেগম জিয়ার সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা ছিল তার। বেগম খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, অত্যন্ত জরুরি তাকে আসতেই হবে। বেগম জিয়াও সম্মতি জানান। রাত টার দিকে তাকে আসতে বলেন।

রাতের খাবার শেষে বেগম খালেদা জিয়া শুয়ে ছিলেন। শোবার আগে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলো চলছিল। একজন নার্স বেগম জিয়ার প্রেশার মাপ ছিলেন। তার জ্বর, ব্লাড সুগার সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। এরপর হুইল চেয়ারে করে বসার ঘরে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে দেখে দাঁড়িয়ে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার পর তাদের মধ্যে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দলের সর্বশেষ সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কিন্তু এই আলোচনায় কোন ফলাফল হয়নি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য যে, গত দুদিনে তারেক জিয়ার তাণ্ডব চলছে বিএনপিতে। বিএনপিতে তিনি ইচ্ছামতো কমিটিগুলো বাতিল করছেন, নতুন করে কমিটি করছেন, অনেকে পদোন্নতি দিচ্ছেন। আবার কাউকে বাদ দিচ্ছেন। সবচেয়ে মজার ব্যপার হল যে, এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে তিনি দলের মহাসচিবকে রাখছেন অন্ধকারে। মহাসচিবের কোন ক্ষমতা নেই। মহাসচিব সংবাদপত্রের পাতায় দেখছেন যে, কাকে পদোন্নতি দেওয়া হল, কাকে বাদ দেওয়া হল কিংবা কোন কমিটি বাতিল হল। লন্ডন থেকে রুহুল কবির রিজভীর ব্যক্তিগত -মেইল পাঠানো হচ্ছে এসব কমিটির সংবাদ। তারপর রিজভীর কাছে ফোন আসছে। ভাইয়া, এই কমিটি এখনই ঘোষণা করতে বলেছেন।

রুহুল কবির রিজভীর নির্ঘুম রাত কাটছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দলীয় প্যাডে এই নির্দেশনামা টাইপ করছেন এবং সংবাদপত্র দিচ্ছেন। রুহুল কবির রিজভীর কাছে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোন অবস্থাতেই যেন এটি গণমাধ্যমে যাওয়ার আগে ফাঁস না হয়ে যায়। কারণ ফাঁস হলে অন্যরা ব্যবস্থা নেবে। অন্যরা দেনদরবার তদবির করবে, এটি নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ হতে পারে বা লন্ডনে ফোন যেতে পারে। আর এই কারণেই একেবারে গোপনে হচ্ছে এই সমস্ত রদবদলের কাজ। সামনের দিনগুলোতে আরও রদবদল হবে।

রুহুল কবির রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। কিন্তু দলের মহাসচিবকেও তিনি কোন কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না। রিজভী ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এটি ভাইয়ার নির্দেশ, যেন কেউ ঘুণাক্ষরেও কোন কিছু না জানতে পারে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটাই যে গঠনতন্ত্রবিরোধী এটি বলার জন্যই বেগম জিয়ার কাছে গতকাল গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন যে, এভাবে একটি দল চলতে পারে না। একটি দলের কমিটি পরিবর্তন বা কমিটি বাতিল স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করতে হয়। আর দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে কোনো পদ নেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ধরনের কর্মকাণ্ড করতেই পারে না। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।তিনি বলেন যে, বিএনপিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে খালেদা জিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খালেদা জিয়া ধীর স্থিরভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সব কথাই শোনেন। তারপর তিনি বলেন যে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান আমি, এটা সত্যি কথা। কিন্তু চেয়ারম্যানের সব ক্ষমতা আমি লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দিয়েছি অর্থাৎ তারেক জিয়াকে দিয়েছি। তাই এখন আমার কিছু করার নেই। তবে তিনি মনে করেন, যেভাবে কমিটিগুলো হচ্ছে তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত।

দুজনের এই আলাপ-আলোচনায় কোন ইতিবাচক ফলাফল হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিষয় নিয়ে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে আলাপ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে তার অসুস্থতার কথা এবং অক্ষমতার কথা জানান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানান।


খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১০:৫৪ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।

শনিবার (১৫ জুন) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল। আধা ঘণ্টা অবস্থান শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফিরোজা ভিলা ত্যাগ করেন তিনি। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি দেশের চলমান রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতি তাকে অবহিত করেন মির্জা ফখরুল।

এদিকে শনিবার (১৫ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ৪৫ জন নেতাকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির বদলে ২৯ সদস্যের দুটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল দলে এই রদবদলের বিষয়টিও খালেদা জিয়াকে অবহিত করেন বলে ওই সূত্রের দাবি।

খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন