নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৭ জুন, ২০১৮
ভারতের সঙ্গে বিএনপির তিন নেতার বৈঠকের পর ২০ দলে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের দিন রাতেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে জামাত জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে, বিএনপির একাংশ ‘ভারতের এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করা হয়। এতে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে দেন দরবারে ২০ দলের চেতনার পরিপন্থী। ঐ বৈঠকে জামাত, আসন্ন তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অন্তত একটিতে মেয়র পদে জামাত প্রার্থী চেয়েছে। জামাত ঘোষণা করেছে যে, জামাতকে যদি ২০ দল থেকে রাজশাহী বা সিলেট সিটিতে মেয়র পদ না দেওয়া হয়, তাহলে তারা একক ভাবে প্রার্থী দেবে। তবে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়াও এখানে ভারতের সঙ্গে বিএনপির কয়েক নেতার বৈঠকের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। জামাত ২০ দলের বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে বিএনপির আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানতে চেয়েছে। এলডিপি এবং বিজেপি ছাড়া গতকালের বৈঠকে জোটের অন্যসব শরীক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, জুনের শুরুতে আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমীর খসরু মাহমুদ এবং হুমায়ূন কবীর ভারত সফর করে দেশে ফেরেন। ১০ দিনের সফরে তাঁরা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং থিংক ট্যাংকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে জামাতকে ত্যাগ করার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। ভারত গত ১০ বছর ধরেই বিএনপিকে জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে আসছে। জামাত বলছে, তাঁদের কাছে খবর আছে, বিএনপির নেতারা দিল্লিতে জামাতকে ত্যাগ করার মুচলেকা দিয়ে এসেছে। জামাত বলছে, ‘আমাদের কাছেও বিএনপির অনেক গোপন তথ্য আছে। বিএনপি কোথায় থেকে টাকা পায়, সেকথাও জামাত জানে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানকে টেলিফোন করে জামাত বলে দিয়েছে, ‘প্রয়োজনে বিএনপির সব গোপন তথ্য তারা (জামাত) ফাঁস করে দেবে।’ এরপরই জামাত ঈদের দিন ২০ দলের বৈঠক করে। সেই বৈঠকে, ভারতের ব্যাপারে জামাত এবং ২০ দলের শরিকরা কঠোর মনোভাব পোষণ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জামাত মনে করে ভারত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে মূল কলকাঠি নেড়েছে। ভারত জামাতকে ধ্বংস করতে চায়। এজন্য তারা এখন বিএনপিকেও ব্যবহার করতে চাইছে। গতকালের বৈঠকে জামাত বলেছে, ‘ভারত এখন ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র করছে।’
তবে বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেছেন, ’২০ দলীয় জোটের ঐতিহাসিক প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। আমরা নির্বাচনে বৃহত্তর জোট গঠনের কাজ করছি। সেই জোটে জামাতের না থাকার সম্ভাবনা বেশি।’
বিএনপির অনেক নেতাই এরকম মন্তব্য করলেও, এখনো বিএনপির ভেতর শক্ত ভারত বিরোধী গ্রুপ রয়েছে, যারা জামাতকে ২০ দল থেকে বেরুতে দেবে না বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।