নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ৩০ জুলাই, ২০১৮
‘হাসতে নাকি জানেনা কেউ কে বলেছে ভাই’! এই যে দেখুন কত হাসির খবর বলে যাই। সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষদের সবাই পছন্দ করে। তবে এই হাসিতেও বাঁধা আছে জানেন তো! সব পরিস্থিতিতে হাসি কিন্তু সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। হাসি যদি কারো বিড়ম্বনার কারণ হয় তখন এই সুন্দর হাসি হয়ে ওঠে কুৎসিত।
হাসি নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময় বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিভিন্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে এমন আচরণ যেন মেনে নেয়া যায় না। তাই, যতবারই এমন ঘটনা ঘটেছে, ততবারই বিতর্কিত হয়েছেন তাঁরা।
বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। ২০০১ সালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাবার কোলে বাচ্চা মেয়ের নিহত হওয়ার ঘটনায় তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে’। সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন হাসি সে সময় বিকট লেগেছিল জাতির কাছে। আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সেই হাসিতে জাতি শুধু নিন্দাই করেনি, তীব্র সমালোচনাও করেছে সুশীল সমাজ।
এ হাসির বিড়ম্বনার মধ্যে আরো রয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কেলানো হাসি। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি হাসি নিয়ে পড়েন ব্যাপক সমালোচনায়। যখন ভাঙ্গা রাস্তায় স্যুট টাই পরা অবস্থায় মন্ত্রী দাঁত কেলিয়ে হাসেন আর সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ সড়কই যান চলাচলের উপোযোগী’।
হাসি নিয়ে এবার বিড়ম্বনার মুখে পড়লেন নৌমন্ত্রী ও পরিবহন নেতা শাজাহান খান। গতকাল বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় যখন সারা দেশের মানুষ মর্মাহত, তখন নৌমন্ত্রীর মুখে অট্টহাসি। হাসতে হাসতে জানান দোষীদের শাস্তির কথা। কারো মৃত্যুর খবরে একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর এমন চওড়া হাসি যেন মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। ইতোমধ্যেই নৌমন্ত্রীর হাসি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে সমালোচনার তুমুল ঝড়।
আসলে হাসতে কোন বাঁধা নেই। মনের সুখকর অনুভূতিকে জানান দেয়ার জন্য হাসির বিকল্প নেই। তবে সকল অবস্থায়ই হাসি কি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। সময় সুযোগ বুঝে নিয়ন্ত্রন করা না গেলে এই হাসিই হতে পারে বিপত্তির কারণ।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়ার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারেক জিয়া তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। অপছন্দের ব্যক্তিদেরকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে এবং এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা দলের ভিতরে চলছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।
সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচিত হয়েছিলেন। দল তাকে আদেশ করেছিল দায়িত্ব গ্রহণ না করার জন্য। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদটি গ্রহণ করেন। আর তার এই পদ গ্রহণের কারণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল। কিন্তু এই অব্যাহতি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। এখন তাকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তারেক জিয়ার এই সিদ্ধান্তে বিএনপির আইনজীবীদের একাংশ যারা মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলীসহ সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, তারেক জিয়ার নির্দেশেই তারা খোকনের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবার তারেক জিয়াই তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মাঝখান থেকে তারেক জিয়া তাদেরকে অসম্মান করবেন বলেও এই সিনিয়র আইনজীবী মনে করেন।
তারেক জিয়ার পরামর্শেই তারা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে দায়িত্ব না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারেক জিয়াই এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে কথা বলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে যেমন আছেন, তেমনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদেও বহাল থাকছেন।
বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে মাহবুব উদ্দিন খোকন যদি নির্বাচন করে এবং জিতে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে তাহলে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা কী দোষ করল? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত হল বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। আর এই ধারাবাহিকতায় বিএনপির বিভিন্ন পেশাজীবীদের নির্বাচনও বর্জন করছে। এর আগে বিএনপি নিয়ন্ত্রিত ড্যাব চিকিৎসকদের বিএমএ নির্বাচনও বর্জন করেছিল।
প্রকৌশলীদের নির্বাচনেও বিএনপি সরে গিয়েছিল। আর এরকম একটি পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কেন বিএনপি অংশগ্রহণ করল? সেটি যেমন একটি বড় প্রশ্ন, তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল যে- একই সিদ্ধান্ত একেক জনের ব্যাপারে এক রকম হবে কেন? এ নিয়ে বিএনপির নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ দলের কিছু বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন, এই সমস্ত কীভাবে হচ্ছে আমি জানি না। আপনাদের যদি কোনও কিছু বলার থাকে আপনারা লন্ডনে যোগাযোগ করেন। এখন বিএনপিতে কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না। কেউ জানছেও না যে কাকে কখন কীভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। যার ফলে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে দলটির মধ্যে।
উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন সে রকম ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, উপজেলা নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি নির্দলীয় ধরনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তারা ব্যবহার করবে না।
অনেক বিএনপি নেতা মনে করেন যে, দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তটাই সঠিক ছিল। কিন্তু কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি তার নিজস্ব ব্যাপার। এ জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় নয় বলেই বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা মনে করেন। আর একারণেই বিএনপির সব নেতারাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন এবং তারা এখন তিক্ত-বিরক্তও বটে।
বিএনপি রাজনীতি মির্জা ফখরুল তারেক জিয়া ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়ার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারেক জিয়া তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। অপছন্দের ব্যক্তিদেরকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে এবং এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা দলের ভিতরে চলছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।