নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০১৮
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ সোমবার নড়াইলের মানহানির মামলায় ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা কুমিল্লার নাশকতা মামলার বিষয়েও গতকাল রোববার সুখবর পেয়েছেন খালেদা। ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। মানহানি ও নাশকতা মামলায় জামিন পাওয়ার পর আদালতে খালেদা জিয়ার মামলা রইলো কেবল দুটি। ওই দুটি মামলায় জামিন পেলে ঈদের আগেই সম্ভব হতে পারে খালেদা জিয়ার মুক্তি।
এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, তাঁরা এই দুটি মামলা হাইকোর্টে নিয়ে আসছেন এবং আশা করছেন ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই হাইকোর্ট থেকে বেগম জিয়ার জামিন আদেশ নিয়ে আসতে পারবেন। এই দুটি মামলায় যদি খালেদা জিয়ার জামিন হয়ে যায় এবং সরকার আবার আপিল ডিভিশনে আবেদন না করে তবে ঈদের আগেই খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
এই মুহূর্তে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করার বদলে আইন-আদালতের বিষয়গুলো সম্পন্ন করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। আমেরিকাসহ অন্যান্য দাতা দেশের পরামর্শ এর পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে জানা গেছে। দেশগুলো বিএনপিকে বলেছে আদালতের বিষয়গুলো আগে সমাধান করতে। তাই বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়ার পরও যদি সরকার মামলাগুলোকে আপিল বিভাগে নিয়ে যায় অথবা অন্য কোনোভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বাধা সৃষ্টি করে তখনই বিএনপি আন্দোলনের বিষয়টি মাথায় নেবে।
আন্দোলন প্রসঙ্গে দাতা দেশগুলো বিএনপিকে বারবার বলেছে, দলটি আর যাই করুক না কেন সহিংস আন্দোলনে যেন না যায়। আর প্রত্যুত্তরে বিএনপি বলেছে সহিংসতা ছাড়া বাংলাদেশে কখনো সরকার পতন সম্ভব হয় না। তখন বিএনপিকে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং দলের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। সবকিছুর আগে বিএনপি যেন আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে। তাই এই মুহূর্তে কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দিকেই জোর দিচ্ছে বিএনপি।
খালেদা জিয়া ইতিমধ্যে দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আর দুটি মামলায় জামিন হলেই আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। এরপর সরকার কেবল দুটি কাজ করতে পারে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাগুলো আবার আপিল বিভাগে দিতে পারে। তবে আপিল বিভাগ আবার বেগম জিয়ার জামিন বহাল রাখতে পারে যেটি কুমিল্লার নাশকতা মামলার ক্ষেত্রে হয়েছে। অবশ্য এটি আদালতের বিষয়, সরকারের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর খালেদা জিয়ার মুক্তি নির্ভর করবে।
আপিল না করে খালেদা জিয়ার মুক্তি বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে সরকার আরেকটি কাজ করতে পারে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দিতে পারে সরকার। এখন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে নতুন মামলা হলে তাঁর মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে বিএনপি আশা করছে এমন কিছু হবে না। ঈদের আগেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। আর জামিন পাওয়ার পরও যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি বাধাগ্রস্ত করতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয় তবে বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলনে যাবে বলে বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।