নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৩ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৮
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়দলই বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া গঠন করতে গ্রহণ করছে নানা উদ্যোগ। এর মধ্যে ড. কামাল হোসেনকে ঘিরে আবার নতুন এক আলোচনার জন্ম নিয়েছে। ড. কামাল হোসেনের শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জানা যায়, কামাল হোসেনের শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁকে বলেছেন বিএনপিতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ড. কামাল।
ড. কামালের এই শুভাকাঙ্ক্ষী সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলে জানা গেছে। ড. কামাল হোসেনকে বিচারপতি সিনহা বলেছেন, ‘আপনি যদি বলেন তাহলে আমার সঙ্গে বিএনপির লোকজনের যোগাযোগ আছে, আমি আপনার বিএনপিতে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আপনি বিএনপিতে যোগ দিলে, প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। পরের তিন বছর বিএনপির কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারে। এমন একটি প্রস্তাব আমাকে (সিনহা) দেওয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী একসময় ড. কামাল হোসেনের সহকর্মী ছিলেন। সুব্রত চৌধুরী বিচারপতি সিনহারও খুবই কাছের লোক। সাবেক বিচারপতি সিনহার অপর একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিতাই রায় চৌধুরী, যিনি আবার বিএনপির নেতা। নিতাই রায়ের সঙ্গে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ভালো যোগাযোগ আছে এখনো। জানা গেছে, নিতাই রায়ের পক্ষ থেকে সিনহার মাধ্যমে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ড. কামাল হোসেনকে।
ড. কামাল হোসেন বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য হলো, ‘তিনি একাতো কিছুই করতে পারবে না। তাঁকে হয় আওয়ামী লিগে যোগ দিতে হবে না হয় বিএনপিতে। তিনি যেহেতু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন তাই বিএনপিতে যোগদান করতে চাইলে আমরা ব্যবস্থা করে দেব।’
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনেক আত্মীয়স্বজনও থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। বিচারপতি সিনহার মেয়েও থাকেন এইখানে। এখানে অবস্থান করা উল্লেখিত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বাইরে কোনো জোট না করে ড. কামাল হোসেনকে বিএনপিতেই নিয়ে নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে তিনিও একটি প্লাটফরম পান।
গণফোরাম নেতা ড. কামাল এখনো এসব প্রস্তাবে কোনো উত্তর দেননি বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে অচিরেই তাঁর পদক্ষেপে জানা যাবে প্রস্তাব সফল না বিফলে গেল।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।