নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৬ অগাস্ট, ২০১৮
ড. কামাল বা অধ্যাপক বি. চৌধুরী নন, জাতীয় ঐক্যের নেতা হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা কে হবে, এনিয়ে দুই নেতার মতদ্বৈততার পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম সামনে এসেছে। মার্কিন দূতাবাস এই দায়িত্ব গ্রহণের জন্য শান্তিতে নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদকে অনুরোধ করেছেন। খুব শিগগিরই ড. ইউনূসের সঙ্গে ড. কামাল হোসেন দেখা করবেন বলেও জানা গেছে। একটি সূত্র বলছে, আগামী ২৮ আগস্ট জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই বৈঠকেই জাতীয় ঐক্যের নেতা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করা হতে পারে বলে জানা গেছে। তাছাড়া জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সুশীল সমাজও থাকবে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্য কেবল রাজনৈতিক দলের ঐক্য নয়, সকল নাগরিক, পেশাজীবী এবং শ্রেণী পেশার মানুষের প্লাটফর্ম।’ তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার চায় তাদের একসঙ্গে দাঁড়াবার মঞ্চ হলো এটা।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম,আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে জেএসডি, মাহামুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় থাকছে এটা নিশ্চিত। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় থাকবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে ড. কামাল হোসেন বাম এবং প্রগতিশীল দলগুলোকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে চাইছেন। কিন্তু বামফ্রন্ট নেতারা ড. কামাল, বি. চৌধুরীর উদ্যোগকে মার্কিন ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন। এক্ষেত্রে, ঐ প্রক্রিয়ায় তাদের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম। ড. কামাল এবং অধ্যাপক চৌধুরী দু’জনই বিএনপিকে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে চান। কিন্তু বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসে বিএনপি মহাসচিব জানিয়ে দিয়েছেন যে, জামাত এবং ২০ দলকে বাদ দিয়ে কোনো ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপি যাবে না। অন্যদিকে বিকল্পধারার নেতা মাহী বি. চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘জাতীয় ঐক্যে জামাত থাকবে না।’
জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির একটি বড় অংশ এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে। তবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম চাইছেন, তাঁর দল এই ঐক্য প্রক্রিয়াকে সমর্থন দেবে। ঐক্য প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি যুগপৎ ভাবে পালন করবে। কিন্তু ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্তরা বলছেন, ‘আন্দোলন নির্বাচন এবং ক্ষমতায় গেলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করবে জাতীয় ঐক্য। এতে যুগপৎ আন্দোলনের কোনো সুযোগ নেই। তাঁরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির মূল অংশ জামাতকে বাদ দিয়েই এই ঐক্যে শামিল হবে। ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কেউ কেউ বলছেন, শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগের অনেকেই এই প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ও উৎসাহী।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।