নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৫ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বিএনপিকে কূটনীতিকরা দুটি বিষয় স্পষ্ট করতে বললো। প্রথমত; তারেক জিয়ার ব্যাপারে বিএনপির সিদ্ধান্ত কি, দ্বিতীয়ত; জামাতের ব্যাপারে তাদের অবস্থান কি? গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ১৪টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ ১৪টি দেশের কূটনীতিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মূলত: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিয়েই এই ডিপ্লোম্যাটিক ব্রিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকের মধ্যেই কারাগারে বেগম জিয়ার বিচার বসার খবরটি এলে, বিএনপি নেতারা দ্রুত বৈঠক শেষ করেন। বৈঠকের পর প্রেস বিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কূটনীতিকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তাঁরা তারেক জিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা জানতে চান, তারেক জিয়া দেশে নেই, তিনি দু’টি মামলায় দণ্ডিত। এরকম প্রেক্ষাপটে, তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা কতটা জরুরি। ভারতের প্রতিনিধি জানতে চান, যদি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক জিয়া দণ্ডিত হন, তাহলেও কি তিনি নেতৃত্বে থাকবেন। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত একজন ব্যক্তির দলের নেতৃত্বে থাকা কতটা যৌক্তিক- এ প্রশ্নও তোলেন ঐ কূটনীতিক। বিএনপি অবশ্য জানায়, তারেক জিয়া বিএনপির নামমাত্র প্রধান। আমরা যৌথ নেতৃত্বে দল চালাচ্ছি। কূটনীতিক কারনেই তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাখা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ‘তারেক জিয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান না হলে, বিএনপি ভাঙতো।’
যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের সঙ্গে ঐক্য নিয়েও প্রশ্ন করেন কূটনীতিকরা। তাঁরা জানতে চান, ঐ ঐক্যে বিএনপির যোগদানের সম্ভাবনা কতটুকু। বিএনপির নেতা জানান, ঐক্যের সম্ভাবনা আছে। একটি দেশের কূটনীতিক জানতে চায় যুক্তফ্রন্ট বলেছে, তাঁরা জামাতকে বাইরে রাখতে চায়। এ ব্যপারে আপনাদের অবস্থান কি? জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি আলাদাভাবে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে আন্দোলন করবে। এই মুহুর্তে জামাত বা ২০ দল ত্যাগের কোনো সম্ভাবনা নেই।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।