নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
গতকাল শনিবার মহাসমাবেশের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল জাতীয় ঐক্য। মহানগর নাট্যমঞ্চের সমাবেশের মধ্যে দিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়া আত্মপ্রকাশ করল। কিন্তু এই সমাবেশ কার নেতৃত্বে হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন। দেড় ঘণ্টা পর সমাবেশস্থলে এসে তাতের সভাপতিত্ব করেন বিকল্পধারার নেতা অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সমাবেশে সমবেত শ্রোতার ৮০ ভাগই ছিল বিএনপি-জামাতের কর্মী। ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে এর সব টাকার যোগান দেন তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ আবদুল আউয়াল মিন্টু। আর সমাবেশের যে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়: তা লন্ডন থেকে তারেক জিয়া প্রণীত। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা কে? ড. কামাল হোসেন? অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী নাকি তারেক জিয়া?
বিএনপি তাদের স্থায়ী কমিটির সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া এবং লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া দুজনই অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দিয়ে শুধু ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যের পক্ষে ছিলেন। কিন্ত ড. কামাল হোসেন বিএনপিকে জানিয়ে দেন যে, বি চৌধুরীকেও ঐক্য প্রক্রিয়ায় লাগবে। এ ব্যাপারে কৌশলগত যুক্তিও বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বোঝান ড. কামাল হোসেন। মূলত বৃহস্পতিবার ড. কামাল হোসেনের ল চেম্বারে বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ড. কামালের বৈঠকে অধ্যাপক চৌধুরীকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ড. খন্দকার মোশাররফ বি. চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে বেগম জিয়া ও তারেকের আপত্তির কথা বলেন। পরে ড. কামাল হোসেন লন্ডনে তারেক জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। পরে তারেক জানিয়ে দেন যে ড. কামাল যেভাবে বলবে সেভাবেই যেন বিএনপি কাজ করে। ড. কামাল এরপর অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে টেলিফোন করে বলেন যে, বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে (অধ্যাপক বি. চৌধুরীর সঙ্গে) দেখা করতে যেতে চায়। ড. কামাল হোসেনের মধ্যস্থতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির তিন নেতা অধ্যাপক চৌধুরীর বাসায় যান। তারা সেখানে ‘অতীতে তাঁর প্রতি অন্যায়ের’ জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষমাও চান। এরপরই অধ্যাপক চৌধুরী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে যোগ দিতে সম্মত হন।
ড. কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী চেয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত জন সংযোগমূলক কর্মসূচি রাখতে। গত ২৮ আগস্ট ঐক্য প্রক্রিয়ার যে বৈঠক ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে সিদ্ধান্ত ছিল যে, ২৮ অক্টোবর যদি সংসদ ভেঙ্গে না দেয়া হয়, তাহলে আন্দোলন শুরু করবে। কিন্তু তারেক জিয়ার হস্তক্ষেপে এই সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। তারেক জিয়াই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়ার জন্য চাপ দেন ড. কামালকে। আগামী ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। তারেক তাঁর আগেই রাজপথ উত্তপ্ত করতেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। গতকালের সভায় এটা প্রমাণ হয়েছে, ড. কামাল বা বি. চৌধুরী নন; জাতীয় ঐক্যের আসল নেতা তারেক জিয়া।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।