নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৫ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একে দেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা বলে চিহ্নিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গঠন থেকে শুর করে আজকের সংলাপ পর্যন্ত আসার পথ পরিক্রমাটি খুব একটা সরল ছিল না।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গেল সেপ্টেম্বরের গোঁড়ার দিকেই সরকারবিরোধী একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যে তোড়জোড় শুরু হয়। প্রথমে এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় আগ্রহ দেখায় ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম এবং অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট। পরবর্তীতে এই ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল যুক্ত হয়। কিছু দিন পর আবার বিএনপি-জামাত প্রশ্নে জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা যুক্তফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত বিকল্পধারা ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যায়।
পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহের আলোচনা ও দরকষাকষির পর বিএনপিসহ চারটি রাজনৈতিক দল নিয়ে জোট গত ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা হিসেবে মনোনীত করা হয় গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে।
গঠিত হওয়ার দিনই ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে সর্বদলীয় গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, সকল রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিতকরণসহ ৭ দফা দাবির ঘোষণা দেয়। এছাড়া ক্ষমতায় গেলে ১১টি লক্ষ্য পূরণেরও ঘোষণাও দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রথম থেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারবিরোধী অবস্থান নেয়। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় তারা। এছাড়া কারণে-অকারণে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে থাকেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জনের চিন্তাভাবনাও শুরু করে দলটি।
এক পর্যায়ে ২৩ অক্টোবর সিলেটে জনসভা করার ঘোষণা দেয় নবগঠিত এই রাজনৈতিক জোট। কিন্তু প্রাথমিকভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে জনসভার অনুমতি দিতে অপারগতা জানায় প্রশাসন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর বিএনপির সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন । রিট করার প্রায় দুই ঘণ্টা পর সেদিনই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে ২৪ অক্টোবর সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের পরের সপ্তাহেই গত রোববার সংসদ ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে চিঠি পাঠায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চিঠিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়। ধারণা করা হয়েছিল এই সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেবে না আওয়ামী লীগ।
কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্য সংবিধানবিরোধী। এছাড়া জোটের দলগুলোর সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসূত্র থাকায় এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে জোটের অন্যতম দল বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। কিন্তু হঠাৎই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চিঠি পাওয়ার পরদিনই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের জন্য ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানান তিনি। গত মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের কাছে আমন্ত্রণের চিঠিটি পৌঁছে দেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ড. কামাল হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ ১৬ নেতাকে চূড়ান্ত করা হয়। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ২১ জন অংশ নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংলাপের আমন্ত্রণের চিঠি পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দকে নৈশভোজের আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ‘চাচা’ অর্থ্যাৎ ড. কামাল হোসেনের আপ্যায়নে ড. কামালের প্রিয় চিজকেকসহ নৈশভোজের জন্য ১৭টি পদ চূড়ান্তও করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকায় নৈশভোজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। বিএনপির এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নৈশভোজের আয়োজন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। এখন তাদের আপ্যায়নে গণভবনে চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে পিঠাসহ বিভিন্ন নাস্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সংলাপকে কেন্দ্র করে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়া ইতিমধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ফোনে তিনি সংলাপের ব্যাপারে নিরুৎসাহ দেখিয়ে বলেছেন সংলাপ করে কী হবে?
তবে বিএনপির একটি অংশ সংলাপের ফলাফল নিয়ে আশাবাদী না হলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা সংলাপের ইতিবাচক ফলাফল আসবে বলে মনে করছেন। ড. কামাল হোসেন, মোস্তফা মহসীন মন্টু এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো নেতারা সংলাপ নিয়ে খুবই আশাবাদী বলে জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের একাধিক সূত্র।
এভাবেই নানা ঘটনা-দুর্ঘটনার পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত সেই সংলাপ। নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের মধ্যকার সংলাপকে গণতন্ত্র চর্চার ধারায় আশা জাগানিয়া পদক্ষেপ বলে মনে করছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।