নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ০৮ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে আজ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। এর আগে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ১০বার সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ আসুন জেনে নেওয়া যাক এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাস:
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
স্বাধীন দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ। নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন পেয়ে লাভ করে জয়লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
মোট রাজনৈতিক দল – ১৫টি
প্রাপ্ত আসন – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (২৯৩), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (১), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ (১), স্বতন্ত্র (৫)।
সংসদ নেতা - শেখ মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ মনসুর আলী
সংসদের মেয়াদ - ২ বছর ৬ মাস
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০৭টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে।
মোট রাজনৈতিক দল – ৩০টি
প্রাপ্ত আসন – বিএনপি (২০৭), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-মালেক (৩৯), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-মিজান (২), জাসদ (৮), মুসলিম ও ডেমোক্র্যাটিক লীগ (২০), ন্যাপ (১), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ (২), বাংলাদেশ গণফ্রন্ট (২), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (১), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল (১), জাতীয় একতা পার্টি (১) ও স্বতন্ত্র (১৬)।
সংসদ নেতা: শাহ আজিজুর রহমান
বিরোধী দলীয় নেতা: আসাদুজ্জামান খান
সংসদের মেয়াদ: ৩ বছর।
তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন
তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৫৩টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে।
মোট রাজনৈতিক দল: ১৩টি।
প্রাপ্ত আসন: জাতীয় পার্টি (১৫৩), আওয়ামী লীগ (৭৬), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ (১০), কম্যুনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ (৫), ন্যাপ-মোজাফফর (২), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (৫), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (৩), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-রব (৪), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-সিরাজ (৩), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (৪), বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টি (৩) ও স্বতন্ত্র (৩২)।
সংসদ নেতা – মিজানুর রহমান চৌধুরী
বিরোধী দলীয় নেতা – শেখ হাসিনা
সংসদের মেয়াদ – ১৭ মাস।
চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ। নির্বাচনটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করায় জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসন পেয়ে এ নির্বাচনে জয়লাভ করে।
মোট রাজনৈতিক দল: ৬টি।
প্রাপ্ত আসন: জাতীয় পার্টি (২৫১), সম্মিলিত বিরোধী দল (১৯), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-সিরাজ (৩), ফ্রিডম পার্টি (২) ও স্বতন্ত্র (২৫)।
সংসদ নেতা: ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ, কাজী জাফর আহমেদ
বিরোধী দলীয় নেতা – আ. স. ম আবদুর রব
সংসদের মেয়াদ - ২ বছর ৭ মাস
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে দু’টি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে।
মোট রাজনৈতিক দল – ২১টি।
প্রাপ্ত আসন – বিএনপি (১৪০), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (৮৮), জাতীয় পার্টি (৩৫), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ (১৮), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল (৫), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ-সিরাজ (১), ইসলামী ঐক্য জোট (১), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি (৫), ওয়ার্কার্স পার্টি (১), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি (১), গণতন্ত্রী পার্টি (১), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ মো (১) ও অন্যান্য দল (৩)।
সংসদ নেতা – বেগম খালেদা জিয়া
বিরোধী দলীয় নেতা – শেখ হাসিনা
সংসদের মেয়াদ – ৪ বছর ৮ মাস।
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করায় বিএনপি ২৭৮টি আসন পেয়ে একতরফা জয়লাভ করে।
মোট রাজনৈতিক দল – ৩টি
প্রাপ্ত আসন – বিএনপি (২৭৮), ফ্রিডম পার্টি (১), স্বতন্ত্র (১০)
সংসদ নেতা – খালেদা জিয়া
সংসদের মেয়াদ – মাত্র ১১ দিন।
সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন। এটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে।
মোট রাজনৈতিক দল – ৮টি।
প্রাপ্ত আসন – আওয়ামী লীগ (১৪৬), বিএনপি (১১৬), জাতীয় পার্টি (৩২), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ (৩), ইসলামী ঐক্য জোট (১), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (১) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (১)।
সংসদ নেতা – শেখ হাসিনা
বিরোধী দলীয় নেতা – বেগম খালেদা জিয়া
সংসদের মেয়াদ – ৫ বছর
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন লতিফুর রহমান। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে।
মোট রাজনৈতিক দল – ১৯টি
প্রাপ্ত আসন – বিএনপি (১৯৩), আওয়ামী লীগ (৬২), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ (১৭), জাতীয় পার্টি-এ-ইসলামী ঐক্য ফ্রন্ট (১৪), জাতীয় পার্টি- না-ফি (৪), জাতীয় পার্টি-মঞ্জু (১), ইসলামিক ঐক্যজোট (২), কৃষক শ্রমিক জনতালীগ (১) ও স্বতন্ত্র (৬)।
সংসদ নেতা – বেগম খালেদা জিয়া
বিরোধী দলীয় নেতা – শেখ হাসিনা
সংসদের মেয়াদ – ৫ বছর
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে।
মোট রাজনৈতিক দল – ১০টি
প্রাপ্ত আসন – আওয়ামী লীগ (২৩০), বিএনপি (৩০), জাতীয় পার্টি (২৭), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (৩), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি (২), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি (১), জামায়াতে ইসলামী (২), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (১) ও স্বতন্ত্র (৪)।
সংসদ নেতা – শেখ হাসিনা
বিরোধী দলীয় নেতা – বেগম খালেদা জিয়া
সংসদের মেয়াদ – ৫ বছর (পূর্ণমেয়াদ)
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। এ নির্বাচনে মোট ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। মোট ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ।
মোট রাজনৈতিক দল – ১৭ টি।
প্রাপ্ত আসন – আওয়ামী লীগ (৯৬), জাতীয় পার্টি (১২), ওয়ার্কার্স পার্টি (৪), স্বতন্ত্র ১৪ ও জাসদ (২)
সংসদ নেতা – শেখ হাসিনা
বিরোধী দলের নেতা – রওশন এরশাদ
সংসদ মেয়াদ: চলমান
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।