নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০১৮
প্রশাসনের নিরপেক্ষতার জন্য দুই সচিবের বদলি চায় বিএনপি। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে একটি লিখিত সুপারিশ পাঠাচ্ছে তারা। বিএনপির দাবি, বিরোধী সরকারের আমলে যারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরকে নির্বাচনের সময় ওএসডি করে রাখতে হবে।
মন্ত্রী পরিষদের সচিব জনাব শফিউল আলম ও তথ্যসচিব আব্দুল মালেক সম্প্রতি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। ক্যাবিনেট সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যকর হচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর থেকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচনের কার্যক্রমে এ দুটি মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা এই সব দায়িত্বে রয়েছেন, তারা ক্ষমতাসীন সরকারের আজ্ঞাবহ হবে, এটা স্পষ্ট। কাজেই, আমরা চাই না নির্বাচনের সময়কালে তারা এই দায়িত্বগুলো পালন করুক।
একই সঙ্গে বিএনপি আওয়ামী লীগের আস্থাভাজনদের একটি তালিকা তৈরি করছে। এই তালিকা তারা খুব শিগগিরই নির্বাচন কমিশনে দেবে এবং তাদের বদলির জন্য সুপারিশ করবে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘তারা খুব শিগগিরই এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করবে। দলীয় প্রশাসন পাল্টে নির্বাচনের উপযোগী একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন করার জন্য তারা রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানাবে।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।