নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের বিভিন্ন জরিপ এবং তথ্য উপাত্ত থেকে সারাদেশের নির্বাচনী মনোনয়ন মোটামুটি চুড়ান্ত করেছে। মনোনয়ন চুড়ান্ত করলেও এখন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ভিন্ন চিন্তা এসেছে। আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, বিএনপি যেহেতু ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে নির্বাচন করছে। সে জন্য ২০ দলীয় জোট বিশেষ করে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীতা দেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতার মধ্যে বেশকিছু পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে, ঢাকা মহানগরীর আসনগুলোতে অনেক বড় চমক সৃষ্টি করতে পারেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ঢাকার আসনগুলোতে পরিচিত মুখ, সমাজের গণ্যমান্য এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সামিল করা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে। সে ক্ষেত্রে ঢাকার মোহাম্মদপুর আসন থেকে জাহাঙ্গীর কবির নানক মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। সেখানে একজন স্বনামধন্য পরিচ্ছন্ন চিন্তার ব্যবসায়ীর কথা চিন্তা করা হচ্ছে। একইভাবে ঢাকা-১৪ (মিরপুর-শাহআলী-দারুস সালাম-রূপনগর-সাভার আংশিক) আসনে আসলামুল হকের বদলে সামাজিক প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। ঢাকার গুলশান আসন অত্যান্ত স্পর্শকাতর। সেই আসনটি আওয়ামী লীগের কাছে অনেকে চাইলেও, দল তা ধরে রাখতে চায়। সেই আসনেও পরিচিত ব্যবসায়ী মুখকে আওেয়ামী লীগ বিবেচনা করছে। আওয়ামী লীগ মনে করছে যেহেতু ঐক্যফ্রন্টের হেভিওয়েট নেতারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ঢাকায় নির্বাচন করছে। সেজন্য আওয়ামী লীগও প্ল্যান পরিবর্তন করবে। সমাজে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচিত ও জনপ্রিয়, তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে। এমনকি নড়াইলের জন্য জনপ্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা আসন কিনলেও কৌশলগত কারণে তাকে ঢাকা মহানগরীর কোন একটি আসন দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকার তিনটি বিকল্প রয়েছে। বিরোধী দলের প্রার্থী দেখে এই বিকল্প পরিবর্তন করা হবে। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে , ঢাকাটা যেহেতু স্পর্শকাতর, সেহেতু আওয়ামী লীগ এমন প্রার্থীতা দিবে। যে প্রার্থী দেখে সাধারণ জনগনের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরী হয়। জনগনের মধ্যে এ সময়ে এসে যেন মনে হয় আওয়ামী লীগ যোগ্য প্রার্থী দিয়েছে। যে প্রার্থী সাধারণ জনগনের জন্য কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হচ্ছে, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক। রাজনীতির সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ তাকে মেয়র প্রার্থী করে চমক সৃষ্টি করে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছে, আনিসুল হকের মত আরও অনেক জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ আওয়ামী লীগের হাতে রয়েছেন। যাদের নির্বাচনের মাঠে নামাতে পারলে আওয়ামী লীগের জন্য ঢাকা বিজয় অনেক সহজ হবে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলেছেন, গত কয়েকদিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফল ব্যক্তিত্বদের ডাকছেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। শেষ পর্যন্ত ঢাকা দখলের জন্য আওয়ামী লীগের কি পরিবর্তন হয় তা বোঝা যাবে আর কয়েকদিন পরে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।
ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।
কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।
এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।
তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
কাগজে কলমে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছেন না। নৌকা প্রতীক ছাড়াই আওয়ামী লীগের এমপিরা যে যার মতো করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন। ১৫০ টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮ মে এই নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আজ মধ্যরাত থেকেই নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে।