ইনসাইড পলিটিক্স

হেভিওয়েট প্রার্থীদের লড়াই: জামালপুর- ৩ আসন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

যে কোনো নির্বাচনের বেশ কয়েকটি আগ্রহ জাগানিয়া বিষয় থাকে। হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বৈরথ তার মধ্যে অন্যতম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনেকগুলো আসনে দেশের দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা মুখোমুখি হবেন। হেভিওয়েট প্রার্থীদের জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকা এমনই একটি আসন জামালপুর-৩।

জামালপুর-৩ সংসদীয় আসনটি জাতীয় সংসদের ১৪০ নং আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৯৫০ জন ভোটারের এই নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দু হেভিওয়েট প্রার্থী মুখোমুখি হবেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান সরকারের পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের এবং বিএনপি থেকে দলটির সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত।

জামালপুর- ৩ আসনটি আওয়ামী লীগের, আরও স্পষ্টভাবে বললে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের ঘাঁটি। নব্বইয়ের পর যে পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সব কটিতেই বিজয়ী হয়েছেন মির্জা আজম। আগামী নির্বাচনেও যে তাঁকে হারানো সহজ হবে না সেকথা বলাই বাহুল্য। মির্জা আজম এরই মধ্যে এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে এ আসনে মির্জা আজমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ’৯০-এর কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাঁর। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে বাবুলের বদলে শফিকুল ইসলাম খোকাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার প্রায় সব নেতাকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পক্ষে অবস্থান নেন। কিন্তু নেতাকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থনের পরেও তিনি মির্জা আজমের কাছে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তাঁকে পরাজিত করেন মির্জা আজম। এবার এই পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে চাইছেন বাবুল। কিন্তু নির্বাচনী গণসংযোগে এবারও মির্জা আজমের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি।

অনেকটাই নির্ভার মির্জা আজমের সামনে বিএনপির বাবুল কিছুটা দুর্বল প্রার্থী হলেও দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যে কোনো সময় পাশার দান উলটে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে জামালপুর- ৩ আসনে মির্জা আজম ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের দ্বৈরথ দেখার জন্য। মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল তাঁর পুরনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবেন নাকি মির্জা আজম তাঁর জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আরও ৬৬ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার একযোগে ৬৬ জন নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দু–এক দিনের মধ্যেই তাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে দল থেকে নির্দেশনার পরও এ সব নেতারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। একই কারণে সম্প্রতি তৃণমূলের ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দুই ধাপে বিএনপির নেতাদের বহিষ্কারের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪১।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় বহিষ্কারের তালিকায় থাকা ৬৬ জনের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৯ জন। ২০ জন নেতা হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী; আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৭ জন। এর বাইরে দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া নেতাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের ২ জন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, এবার কমবেশি ৪৮০ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হবে। প্রথম ধাপে ভোট হবে ৮ মে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে সব ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বহিষ্কার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেকের উদ্ভট সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কারা?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে এখন তারেক জিয়া উদ্ভট সিদ্ধান্তের জন্য আলোচিত নাম। একের পর এক তিনি উদ্ভট অবাস্তব সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। বিএনপির নেতারাও এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচলিত। 

গতকাল বিএনপির সিনিয়র দু’জন নেতা তারেক জিয়ার সাথে কথা বলছিলেন এবং সে সময় তিনি অবহিত করছিলেন যে, বহিষ্কারাদেশের নির্দেশনা দেওয়ার পরও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বিএনপির বেশ কিছু নেতা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। দুই নেতার এই বক্তব্যের পর তারেক জিয়া তাদেরকে জানিয়ে দেয়, যারাই নির্বাচন করবে তাদেরকেই বহিষ্কার করতে হবে এটাই তার সাফ কথা। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা তারেককে বুঝানোর চেষ্টা করেন যে, এ বহিষ্কারাদেশ কোন সমাধান নয়। দলের নেতারা যদি এভাবে বহিষ্কার হতে থাকে তাহলে এক সময় স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠন শক্তিহীন হয়ে যাবে। তারেক জিয়া তাদেরকে বলে দেন যে, সংগঠন না থাকলেও তার কিছু যায় আসে না। কিন্তু শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কোন রকম ছাড় দেওয়া হবে না। এরপর বিএনপির দুই নেতা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। 

বিএনপিতে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হচ্ছে, তারেক জিয়া এই ধরনের উদ্ভট সিদ্ধান্তগুলো কেন নিচ্ছেন এবং কার পরামর্শে নিচ্ছেন। 

বিএনপি নেতারা মনে করেন যে, তারেক জিয়া এ ধরনের উদ্ভট এবং অবাস্তব সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন দূরত্বের কারণে। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারছেন না, নেতাকর্মীদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশ কিভাবে পরিচালনা করছে সে সম্পর্কেও কোন ন্যূনতম সঠিক ধারণাও তারেক জিয়ার নেই। যার কারণে তিনি একের পর এক উদ্ভট সিদ্ধান্তগুলো দিচ্ছেন। এবং তার এসমস্ত সিদ্ধান্তগুলোর মাশুল দিতে হচ্ছে দলকে। 

একজন নেতাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো যে, তারেক জিয়া এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দলের নেতাদের পরমর্শ নেন কিনা? উত্তরে তিনি স্বীকার করেছেন যে, তারেক জিয়া আসলে কারো পরামর্শই গ্রহণ করেন না। তিনি লন্ডনে কিছু ব্যক্তি রয়েছেন, সেই ব্যক্তিদের পরমর্শেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ২০০১ সালের পর তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে অনেক স্তাবক সৃষ্টি করেছিলেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন সহ এই স্তাবকের দলই সে সময় তারেক জিয়াকে সে সময় তারেক জিয়াকে সব বিষয়ে পরামর্শ দিত এবং যে সমস্ত পরামর্শ ছিল দলের জন্য ক্ষতিকর। তারেক তখনো দলের অন্য সিনিয়র নেতাদের কথা না শুনে শুধুমাত্র তার কিছু চাটুকার, কিছু অপরিপক্ক দুর্নীতিবাজ দুর্বৃত্তদের পরামর্শে বিভিন্ন রকমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। এখন লন্ডনে সেসমস্ত দুর্নীতিবাজ, চাটুকার দুর্বৃত্ত যারা তারেক জিয়াকে ডুবিয়েছে, বিএনপিকে ডুবিয়েছে। তারা আবার জড়ো হয়েছে। তাদের সাথে পরামর্শ করেই এই ধরনের বাস্তবতা বিবর্জিত সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন তারেক জিয়া। 

বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন যে, তারেক জিয়ার সঙ্গগুলো অত্যন্ত বিপদজ্জনক এবং তারা শুধু দল না, দেশের জন্যও ক্ষতিকর। ঐ নেতা বলেন যে, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর হাওয়া ভবনে তারেক জিয়া একটি ছায়া সরকার গঠন করেছিল এবং এ ছায়া সরকারের মাধ্যমে দল এবং সরকার পরিচালিত হতো। সিনিয়র নেতারা ছিল পুতুল। এবারও সেই একইরকম ঘটনা ঘটেছে। তারেক জিয়াকে এখন ঘিরে রেখেছেন কিছু চাটুকার। যেসমস্ত চাটুকাররা হাওয়া ভবনে ছিলেন। তারাই এখন ঘুরে ফিরে আবার লন্ডনে গেছেন এবং লন্ডনে তারা নতুন করে হাওয়া ভবন করেছেন। আর এরাই এখন বিএনপির কফিনের শেষ পেরেক ঠুকছেন বলে মনে করেন বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা। 

তারেক জিয়া   বহিষ্কার   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

লোকসভা নির্বাচন দেখতে আওয়ামী লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাতটি ধাপে ভারতের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

বুধবার (১ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে, যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।

লোকসভা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিরা কেন দলের সিদ্ধান্ত মানছেন না

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম দফায় প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল ছিল দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দ্বিতীয় দফায় ১৫৯ টি উপজেলায় ২১ মে নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন দেখা গেছে, যে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তারা দলের নির্দেশ মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে দুইজন মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রীর স্বজন শেষ পর্যন্ত প্রার্থীতায় থাকলেন। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী থাকার বিষয়ে অটল রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। তিনি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই। 

রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সেখানকার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম। তিনি রেলমন্ত্রী এবং রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুর হাকিমের চাচাত ভাই। 

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ছেলে জামিল আহসান দূর্জয় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। 

এ তিনজন মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। 

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ এবং ছোট ভাই ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুজ্জামান আহমেদ প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের ভাই গোলাম সরোয়ার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায়। এভাবে দ্বিতীয় দফাতেও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ভীতিহীনভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর হুশিয়ারিকে তারা পাত্তাই দিচ্ছে না। 

প্রথম দফায় অনেকে বলেছেন যে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এবং সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হওয়ার জন্যই তিনি তার ছেলেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিতে পারেননি। কিন্তু ২১ মে যে উপজেলাগুলোতে নির্বাচন হবে এবং গতকাল যার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল সে উপজেলাগুলোতেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।
 
প্রশ্ন হলো যে, দলের মন্ত্রী-এমপিরা কেন দলের নির্দেশনা মানছেন না। এর পেছনে কি কারণ রয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একাধিক কারণের কথা উল্লেখ করছেন। 

১. দলের প্রতি আনুগত্যের অভাব: যারা মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন তাদের দলের প্রতি আনুগত্যের অভাব তীব্রভাবে দেখা যাচ্ছে। তারা দলের চেয়েও নিজের স্বার্থকে বেশী দেখছেন। দলে কি হলো না হলো তার চেয়ে তাঁর নিজের অবস্থান কতটা সংহত হলো সেটা তিনি বিবেচনা করছেন। এজন্য দলের নির্দেশনা তারা মানছেন না।  

২. এলাকায় অস্তিত্ব রক্ষা: এসমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তাদের শক্ত প্রতিপক্ষ রয়েছে। নিকট আত্মীয়দের এলাকার চেয়ারম্যান বানিয়ে তাদের অবস্থঅন শক্ত করতে চাই। এলাকায় তাদের অবস্থান সংহত করার জন্যই আসলে তারা দলের সিদ্ধান্ত তারা মানছেন না। 

৩. অতীত অভিজ্ঞতা: অতীতে দেখা গেছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে দলের প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তারা এবারও মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত সবকিছু ম্যানেজ করে নিবেন। আর এই কারণেই দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন এই মন্ত্রী-এমপিরা।         


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সস্ত্রীক সৌদি আরবে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail ফাইল ছবি

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে যাবেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। বৃহস্পতিবার তার সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আগামী ২ মে ওমরাহ পালন করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ৭৭ বছর বয়সি মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। 

সৌদি আরব   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন