নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮
যে কোনো নির্বাচনের বেশ কয়েকটি আগ্রহ জাগানিয়া বিষয় থাকে। হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বৈরথ তার মধ্যে অন্যতম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনেকগুলো আসনে দেশের দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা মুখোমুখি হবেন। হেভিওয়েট প্রার্থীদের জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকা এমনই একটি আসন জামালপুর-৩।
জামালপুর-৩ সংসদীয় আসনটি জাতীয় সংসদের ১৪০ নং আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৯৫০ জন ভোটারের এই নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দু হেভিওয়েট প্রার্থী মুখোমুখি হবেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান সরকারের পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের এবং বিএনপি থেকে দলটির সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত।
জামালপুর- ৩ আসনটি আওয়ামী লীগের, আরও স্পষ্টভাবে বললে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের ঘাঁটি। নব্বইয়ের পর যে পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সব কটিতেই বিজয়ী হয়েছেন মির্জা আজম। আগামী নির্বাচনেও যে তাঁকে হারানো সহজ হবে না সেকথা বলাই বাহুল্য। মির্জা আজম এরই মধ্যে এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে এ আসনে মির্জা আজমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ’৯০-এর কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাঁর। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে বাবুলের বদলে শফিকুল ইসলাম খোকাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার প্রায় সব নেতাকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পক্ষে অবস্থান নেন। কিন্তু নেতাকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থনের পরেও তিনি মির্জা আজমের কাছে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তাঁকে পরাজিত করেন মির্জা আজম। এবার এই পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে চাইছেন বাবুল। কিন্তু নির্বাচনী গণসংযোগে এবারও মির্জা আজমের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি।
অনেকটাই নির্ভার মির্জা আজমের সামনে বিএনপির বাবুল কিছুটা দুর্বল প্রার্থী হলেও দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যে কোনো সময় পাশার দান উলটে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে জামালপুর- ৩ আসনে মির্জা আজম ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের দ্বৈরথ দেখার জন্য। মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল তাঁর পুরনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবেন নাকি মির্জা আজম তাঁর জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়া বহিষ্কার বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিজেপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল ছিল দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দ্বিতীয় দফায় ১৫৯ টি উপজেলায় ২১ মে নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন দেখা গেছে, যে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তারা দলের নির্দেশ মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।