নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস, ভাসানটেক, বারিধারা ও শাহজাদপুর এলাকা) আসনের দিকে নজর অনেকের। সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই এই আসন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গুলশানে আওয়ামী লীগ থেকে বেশ কয়েকজন প্রার্থী হতে চান। তবে এই আসনে আওয়ামী লীগে ভালো প্রার্থী তেমন নেই। তাই এই আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন দেশসেরা ব্যবসায়ীর কথা ভাবা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের জোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নজরও গুলশানের দিকে। গত রোববার তিনি এই আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এরই মধ্যে কয়েকবার এই আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন এরশাদ।
ঐক্যফ্রন্ট থেকে বলা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত যদি ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তবে তাকে এই আসন দেওয়া যেতে পারে। তবে ঐক্যফ্রন্টের বড় শরিক বিএনপিরও নজর আছে গুলশানে। খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ জোবায়দা রহমান ও সৈয়দ শর্মিলা রহমান সিঁথির কোনো একজন এই আসন থেকে লড়তে পারেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে।
এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২০ দলের শরিক বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থও গুলশান আসনের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তিনিও এই আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে আশাবাদী।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কৌশল চূড়ান্ত। যে কোনো দিন এর ঘোষণা আসতে পারে। আর বিএনপিরও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষ পর্যায়ে। প্রধান দুই দলের ঘোষণার মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়ে যাবে গুলশানে কার ভাগ্যের শিঁকে ছিড়ছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।