নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
যে কোনো দেশের নির্বাচনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংশ্লিষ্ট দেশের সুশীল সমাজ। সে কথা মাথায় রেখেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি একটি নাগরিক কমিটি তৈরি করবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির নেতারা। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে যে কজন বুদ্ধিজীবী বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই করবেন তাঁদের মধ্যে শীর্ষ ছয়জনের পরিচিতি তুলে ধরা হলো।
ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ
অধ্যাপক ড.এমাজউদ্দিন আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। বিএনপির নাগরিক কমিটিতে অনিবার্য ভাবে ড. এমাজউদ্দিন আহমেদই নেতৃত্ব দেবেন। এর আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি যে শত নাগরিক কমিটি করেছিল সেই নাগরিক কমিটিতেও ড. এমাজউদ্দিনকেই আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে জনমত তৈরির ক্ষেত্রে তিনি ধানের শীষের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
ড. আলী রীয়াজ
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ দেশের বাইরে থাকেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি তাঁর আসল রঙ প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি বিএনপি পক্ষে লেখালেখি শুরু করেছেন এবং জনমত তৈরি করছেন। পরবর্তীতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ড. আসিফ নজরুল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বরাবরই বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। যে কোনো ইস্যুতে তিনি বিএনপি-জামাতের পক্ষেই কথা বলেন। অতীতে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলেও তীব্র সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আসিফ নজরুল সরাসরি বিএনপির পক্ষে কাজ করবেন বলে জানা গেছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য একসময় আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ’৯৬ সালের নির্বাচনে তাঁর মাকে আওয়ামী লীগ থেকে মহিলা আসনে মনোনয়নও দেওয়া হয়। কিন্তু ড. দেবপ্রিয় এখন আর আওয়ামী লীগ ঘরানার বুদ্ধিজীবী নেই। তিনি এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনদের সঙ্গে মিলে তরুণদেরকে ভোটে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করছেন, যার ফসল বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের ঘরে উঠবে বলেই ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক হিসেবেও পরিচিত।
ড. মাহবুব উল্লাহ
অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃত। বিএনপির এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে অর্থনৈতিক নীতি-কৌশল ইত্যাদি তৈরি করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে জানা গেছে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার
সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবেই প্রচার করতে ভালোবাসে। কিন্তু নির্বাচনের আগে আগে তাঁর নিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে গেছে। জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় সুজন যে প্রশিক্ষণ ও কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনা করছে সেগুলো বিএনপির পক্ষে এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনামুখর। এবারের নির্বাচনে তিনি স্পষ্টতই বিএনপির পক্ষে কাজ করবেন এমনটাই প্রতীয়মান হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।