নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট দু’টি জোট থেকেই বিএনপি এবার আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এই জোট দু’টির একটিতেও আসন ভাগাগাগি নিয়ে কোনো মীমাংসা হয়নি। প্রথমেই যদি ২০ দলীয় জোটের প্রসঙ্গে আসা হয়, দলটি থেকে কে কতোটা আসন পাবে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমনকি বিজেপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো কে কয়টি আসন পাবে তা নিয়ে কোন মীমাংসা হয়নি। যে যার মতো করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে এবার। একইভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যেও আসন ভাগাভাগি নিয়েও নিজেদের মধ্যে কোন মীমাংসা হয়নি। সেখানেও গণফোরাম ও জেএসডি’র আসনগুলোর বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। কিন্তু চমকপ্রদ বিষয়টি হচ্ছে, জোটের বাইরে গিয়ে দু’টি দল বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে আসন ভাগাভাগি করে ফেলেছে। এদের মধ্যে একটি হচ্ছে ২০ দলীয় জোটের অন্তর্গত জামাত। ইতিমধ্যেই জামাত ২৫ টি আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে। যদিও জামাতের নীতি নির্ধারকরা বলাবলি করছে আরও ১১ টি আসন চায় তারা। কিন্তু জামাতের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের এমন বিপদগ্রস্ত পরিস্থিতিতেও ২৫ টি আসনে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া তাদের জন্য অনেক বড় অর্জন, এতেই খুশি তারা। কিন্তু দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জামাত ২০ দলের বাইরে গিয়ে বিএনপির নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে সমঝোতা করে আসনগুলো নিয়েছে। যদিও ২০ দলের অন্যান্য দলগুলোর আসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তেই আসেনি বিএনপি কিন্তু জামাতের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়েছে দলটি। কারণ ভোটের মাঠে জামাতের কিছু ভোট আছে বলে মনে করে দলটি।
একইভাবে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গণফোরাম ও জেএসডি সঙ্গে কোনো সমঝোতা না করলেও মাহমুদুর রহমান মান্না স্বয়ং লন্ডনে যোগাযোগ করে নাগরিক ঐক্যের জন্য ৯ টি নিশ্চিত করেছেন। গণফোরাম ও জেএসডি নিজেদের প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও একমাত্র মাহমুদুর রহমান মান্নাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকে। এ ঘটনায় খোদ বিএনপি নেতারাই বলাবলি করছে, মান্না ও জামাত দু’টিই সুবিধাবাদীদের দলে। বরাবরই তারা নিজেদের পাল্লা ভারি করেছে। কেননা আসন্ন নির্বাচনে শুধুমাত্র নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকই থাকবে। সেক্ষেত্রে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে তা স্পষ্ট। সুতরাং মাহমুদুর রহমান মান্না ও জামাত দু’টিই সবচেয়ে বড় বেইমান, কেননা কেননা এরা জোটকে ভুলে গিয়ে স্বার্থের লোভে শুধুমাত্র প্রতীকের জন্যই বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।