নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
গতকাল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই নিয়ে বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। তাঁর সই জালিয়াতির অভিযোগও ওঠে। মানিকগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জে তাঁর সই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে রিটার্নিং অফিসার কয়েকটি মনোনয়ন বাতিল করে দেন। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জরুরি চিঠি দিয়ে জানান সই তাঁর।
কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, মির্জা ফখরুলের সই দুরকম। অধিকাংশ মনোনয়ন পত্রে মির্জা ফখরুলের সই সংক্ষিপ্ত অদ্যাক্ষর দিয়ে। আবার কোথাও কোথাও পুরো নাম দিয়ে সই দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে, একই এলাকায় দুজন প্রার্থীকে দুইরকম স্বাক্ষরে চিঠি দিয়েছেন।
বিএনপিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একসঙ্গে এত চিঠিতে স্বাক্ষর করার মতো সময় ছিল না বিএনপি মহাসচিবের। দলের কার্যক্রম, ২০ দলের বৈঠক ইত্যাদি নানা কাজে ব্যস্ত মির্জা ফখরুল তাঁর দলের একজনকে স্বাক্ষরগুলো করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জানা গেছে, অধিকাংশ মনোনয়নের চিঠির স্বাক্ষরই মির্জা ফখরুলের নয়। তাঁর পক্ষে এবং তাঁর সম্মতিতেই এই স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।