নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাইরে সখ্য রেখে হেফাজত নির্বাচনে বিএনপির পক্ষেই কাজ করবে। বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেতার সঙ্গে হেফাজতের বেশ ক’জন নেতার নিয়মিত বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। এরা হেফাজতের প্রধান নেতা আল্লামা শফীকে আড়াল করে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
একাধিক সূত্র বলছে, হেফাজতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং ইসলামিক ঐক্য জোটের নেতা মুফতি ইজহারুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হালিম বুখারী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বিএনপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি সূত্র বলছে, হেফাজতের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া কথা বলেছেন। ঐ নেতাকে ২০১৩ সালের ৫ মে’র ঘটনাবলী মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। হেফাজতকে বিএনপি কি কি সুযোগ সুবিধা দেবে, তারও ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের লোকজন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু হেফাজত নয়, কৌশলে ইসলামপন্থী দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। জামাত ছাড়াও এবার বেশ কিছু ইসলামপন্থী দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আওয়ামী লীগের পক্ষেই ছিল। কিন্তু অতি সম্প্রতি, তারা আওয়ামী লীগের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করছে। এদের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ হয়েছে। এই দুই দলকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আলাদা ভাবে নির্বাচন করছে। এদের মধ্যে খেলাফত আন্দোলন ২৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৯৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বলে জানা গেছে। বিএনপি এই দুটি রাজনৈতিক দলকে আওয়ামী লীগ এবং ভারত বিরোধী প্রচারণায় কাজে ব্যবহার করবে বলে জানা গেছে। বিএনপি যে কথাগুলো এখন বলতে পারে না, ভারত বিদ্বেষী সেই বক্তব্যগুলো তাঁরা ইসলামী দলগুলোকে দিয়ে বলাতে চায়। বিএনপি অতীতে যেভাবে আওয়ামী লীগকে ভারতের অনুগত কিংবা ইসলাম বিদ্বেষী বলে প্রচার করতো, সেই প্রচারে এবার এই সব ইসলামী দলগুলোকে ব্যবহার করতে চায়।
আর হেফাজতে ইসলামকে বিএনপি সামনে আনতে চায় ৫ মে’র ঘটনার স্মরণ করিয়ে দিতে। যদিও ২০১৩ সালের পর অনেক জল গড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এজন্য হেফাজতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঐ সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীকে হেফাজতের পক্ষ থেকে ‘কওমি জননী’ স্বীকৃতি দেয়। যদিও হেফাজতের অনেকে বলছেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের সাথে আওয়ামী লীগের মধুর সম্পর্ক থাকলেও নীচের সবাই আওয়ামী বিরোধী। তাদেরই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নামাতে চায় বিএনপি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।