নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩০ এএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
পথসভা শেষ করে জনসংযোগ করছিলেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। এর মধ্যে একজন চাদর গায়ে দেওয়া বৃদ্ধ সামনে এসে দাঁড়ালেন। ঘৃণা ভরে আবু সাইয়িদকে মারতে গেলেন। কিন্তু অধ্যাপক সাইয়িদের কর্মীরা তাকে থামালো। চিৎকার করে বৃদ্ধ বলতে থাকলো ‘তুমি তো ইবলিশের চেয়েও ভয়ংকর। তোমার জন্য আমার ছেলের জীবন গেলো এখন তুমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের সঙ্গে ঘুরছো।’ আবু সাইয়িদ বিব্রত। কর্মীরা বৃদ্ধকে টেনেহিচড়ে সরিয়ে নিয়ে গেল।
জানা গেছে বৃদ্ধের নাম আবুল বারেক। মুক্তিযোদ্ধা। ২০০১ এর নির্বাচনের পর তাঁর ছেলেকে জামাত-বিএনপির ক্যাডাররা ধরে নিয়ে হত্যা করে। আবু সাইয়িদ আশ্বাস দিয়েছিলেন বারেকের হত্যাকারীর বিচার করবেন। কিন্তু এবার নির্বাচনে ঐ হত্যাকারীদের নিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা করছেন আবু সাইয়িদ। পাবনা-১ আসনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সারা জীবন নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। ২০০৮ সালে সংস্কারপন্থী হবার কারণে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। ২০১৪ সালে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করে তিনি আওয়ামী লীগের শামসুল হক টুকুর কাছে পরাজিত হন। এই আসনে জামাত অত্যন্ত শক্তিশালী। যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী এই আসনে দুবার এমপি হয়েছিলেন। এখন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে নির্বাচন করছেন। এজন্য এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা তার নাম দিয়েছে ‘নব্য রাজাকার’। কেউ তাকে ভণ্ড হিসেবে ভাবছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।