নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ ছাড়তে নারাজ বেগম রওশন এরশাদ। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে দিনভর তিনি কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির নির্বাচিত বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে। এ ব্যাপারে সহসাই বেগম রওশন এরশাদ কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।
জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবারও নেতৃত্ব দিতে চান সংসদে। এরশাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়টি বিবেচনা করেই জাপা সদস্যরাও সম্মতি দেন রওশনের প্রতি। হঠাৎ করে এরশাদের ঘোষণা নিয়ে জাপার অভ্যন্তরে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। সূত্রগুলোর দাবী, জিএম কাদেরের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মহল এরশাদকে মাইনাস করে সব দায়িত্ব জিএম কাদেরের হাতে রাখার জন্য এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। আর এসব পরিকল্পনার পেছনে রওশন বিরোধীরা নেপথ্যে কাজ করছে বলে জানা গেছে। বিরোধী দলীয় নেতা হওয়া নিয়ে এরশাদ-রওশন গৃহবিবাদ এখন তুঙ্গে। নতুন সংসদ সদস্যদের একটি গ্রুপ সরাসরি রওশন এরশাদের প্রতি আস্থাশীল। আর একটি গ্রুপ মনে প্রাণে চায় তাদের নেতা এরশাদ-ই হোক সর্বেসর্বা।
রওশনপন্থী এক সংসদ সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে জানান, এরশাদের কথার ঠিক ঠিকানা নাই। কখনোই তিনি এক কথার মধ্যে থাকতে পারেননি। তিনি কোথায় থাকবেন এটা সময়ই বলে দেবে। তার মতে, দশম জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ।
আর এদিকে, এরশাদপন্থীদের দাবী, জাপাকে সত্যিকারের বিরোধী দল হতে হলে সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে এরশাদই যোগ্য। কারণ তিনিই জাতীয় পার্টির সর্বময় ক্ষমতার মালিক। পার্টির সকল সিদ্ধান্ত তার মতেই হয়। তাদের দাবী, স্যারের (এরশাদের) অবর্তমানে জিএম কাদের হবেন পার্টির নেতা। অন্য কারো এখানে কোন সুযোগ নেই।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।