ইনসাইড পলিটিক্স

জামাতের নেতৃত্বে মোনাজাতে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

লালমনিরহাটে জামাতকে সঙ্গে নিয়ে কবর জিয়ারত করলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ঐ কবর জিয়ারতে অবশ্য গণফেরামের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। গণফোরামের অনুপস্থিতি এবং জামাতের উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নতুন বিন্যাস হচ্ছে? ড. কামালকে বাদ দিয়েই কি তাহলে ঐক্যফ্রন্ট নতুন ভাবে পুন:গঠিত হচ্ছে? যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা, এসবকে রাজনৈতিক গসিপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব লালমনিরহাট সফরে ‘জামাত’ প্রসংগ এড়াতে বারবার ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের অনুরোধ করেছেন। ঐক্যফ্রন্টের একজন নেতা বলেন,‘ বিমান যাত্রায় মির্জা ফখরুল পুরো সময়েই ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ.স.ম আব্দুর রব এবং ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এখন জামাত নিয়ে কথা না বলার অনুরোধ করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো কথায় কথায় ‘জামাত জামাত’ করেন কেন?’

৩০ ডিসেম্বর লালমনিরহাটে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা যান স্থানীয় বিএনপি কর্মী তোজাম্মেল হক। আজ সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা তোফাজ্জল হকের বাড়ি চর ধোলাইঘাটে যান। সেখানে তাঁরা কবর জিয়ারত করেন। বেলা দুইটায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন। ঢাকা থেকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে যান জেসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবং গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরী। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তোজাম্মেলের কবরে দোয়া পাঠ ও মোনাজাত করেন স্থানীয় জামাত নেতা মওলানা আবদুল হামিদ। এই সফরে গণফোরামের কেউ ছিলেন না। সংক্ষিপ্ত সমাবেশেও স্থানীয় ছাত্রশিবির নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বক্তব্য রাখেন। গত সপ্তাহেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘জামাতের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। জামাতের সঙ্গ ছাড়তে বিএনপিকেও তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এর পরপরই গত বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভা বিএনপি বর্জন করে। জানা যায়, জামাত নিয়ে ড. কামাল হোসেনের আনুষ্ঠানিক অবস্থান ঘোষণার প্রেক্ষাপটেই বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দেয়নি। গতকাল ড. কামাল হোসেন সিঙ্গাপুর গেছেন। একাধিক সূত্র বলছে, যেভাবে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন প্রক্রিয়ায় শেষ মুহূর্তে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দিয়েছিল। ঠিক একইভাবে বিএনপি এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনায় এগুচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছেন,লালমনিরহাটের ঘটনা তারই একটি টেস্ট কেস।

বিএনপির একজন নেতা বলছেন বিএনপিকে বিব্রত করার জন্যই বারবার জামাত প্রসঙ্গ সামনে আনা হচ্ছে। এটা সরকারের প্রোপাগান্ডা। ড. কামাল হোসেন সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে বার বার জামাত জামাত করছেন।’ ঐ নেতা আরও বলেন যে, ‘গণফোরাম বাদ দিয়ে অন্য দলগুলো যেমন জেএসডি, নাগরিক ঐক্য কেউই এই মুহূর্তে জামাত প্রসঙ্গ আনছে না।’

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ড. কামালের নেতৃত্ব ও ভূমিকা নিয়ে বিএনপিতে এখন নানা প্রশ্ন। এ কারণেই ড. কামালকে হয়ত মাইনাস করতে চায় বিএনপি। বিএনপি তার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে চালাতে চায়। তারই একটি মহড়া হলো আজ লালমনিরহাটে- এমনটাই ধারণা অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা আজ সোমবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা ডাকা হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সৃভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আওয়ামী লীগ   সম্পাদকমণ্ডলী   সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

২৬ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। এরপর একই দিনে আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয়। তবে প্রকৃতির বৈরি আচরণের কারণে আপাতত পিছু হঠছে বিএনপি। চলমান তাপদাহ ও হিট অ্যালার্টের কারণে এই সমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে আবার সরকার পতন আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা ছিল দলটির। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

দলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান তাপদাহ কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থগিত হওয়া সমাবেশ কর্মসূচি করবে বিএনপি। একই সঙ্গে চলমান বিভিন্ন সংকট বিশেষ করে লোডশেডিং ইস্যুতে আন্দোলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচন বর্জনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। এভাবে ধীরে ধীরে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে দলটি। তবে অতীতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে স্বাগত জানানো হলেও এবার তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুতের দাম ইত্যাদি ইস্যুতে আন্দোলনে স্বাগত জানিয়েছিল সরকার। তবে এবার সরকার হয়তো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এমন ধারণা কারও কারও। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এ ধারণা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমি পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। অথচ ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদেরই মার খেতে হয়েছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তো আমার মনে হয় আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা চাইলে গ্রহণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে দেশের বাইরে বসেও আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করে করুক, তাতে আমরা বাধা দিচ্ছি না। এখন আন্দোলন দমাতে আমেরিকান স্টাইল ফলো করা যেতে পারে। আমেরিকান পুলিশ যেভাবে আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের দমন করে, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পুলিশ তা অনুসরণ করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে কিনা সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। এখন দেখার বিষয় বিরোধী দলগুলো সেরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে কিনা আর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সেক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কী হয়।

আন্দোলন   সরকার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  

রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ আহ্বান জানান।

বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।  

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এসব কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, কালকের (সোমবার) সমাবেশ বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ। পৃথিবীর সব স্বাধীনতাকামী রাষ্ট্রের পক্ষে ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কালকের সমাবেশ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, মারধর ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার কারণে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ এসব অব্যাহতি ও হেনস্তার বিরুদ্ধে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   ফিলিস্তিনের পতাকা   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মামলা গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-

১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন

২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল

৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   শাহদাত হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন