নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯
‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠনতন্ত্রের জন্য কমিটি, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের আচরণ বিধি নিয়ন্ত্রণ নিয়েও একটি কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিতের জন্য তারা এখন পর্যন্ত কোন কমিটি গঠন করেনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের সহাবস্থান হচ্ছে অক্সিজেনের মতো। এ ব্যাপারে তারা এখনো গতিশীলতা আনতে পারেনি। এরপরও আমাদের ডাকসু নির্বাচন বর্জনের কোন সম্ভাবনা নেই।’
দীর্ঘ ২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। গতকাল ডাকসুর সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এই তারিখ নির্ধারণ করেন। নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে ক্যাম্পাসের ১৪টি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন। নির্বাচন উপলক্ষে ছাত্রদলের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদারের সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে আলাপচারিতার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তাঁর সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকারটি ডাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে নেয়া।
বাংলা ইনসাইডার: ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন, বিষয়টি আপনার সংগঠন কীভাবে দেখছে?
আল মেহেদী তালুকদার: দীর্ঘ ২৮ বছর পর হাইকোর্টের নির্দেশনার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে তৎপর হয়েছে। তাদের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। গত ১০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের বিন্দুমাত্র লেশ নেই। সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই যেন নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি। পরিবেশ পরিষদের বৈঠকে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন যখন বলবে ক্যাম্পাসে সকলের সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছে তারপরই তফসিল ঘোষিত হোক, এটাই আমাদের চাওয়া। কেননা সহাবস্থান নিশ্চিত হলেই ডাকসু নির্বাচনটা ফলপ্রসূ হবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।
দীর্ঘ সময় ধরে ডাকসু নির্বাচন কেন সংগঠিত হয়নি বলে আপনি মনে করেন?
’৯০ এর পর বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তারপর ৫ বার ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তখন মূল প্রতিকূলতা ছিল বিরোধী মতাদর্শের ছাত্র সংগঠনগুলোর আস্থার সংকট কিংবা তাদের অসহযোগিতা। এ কারণেই মূলত ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহাবস্থান না থাকা, হামলা-নির্যাতন সত্ত্বেও আমরা শুরু থেকেই ডাকসু নির্বাচনের কথা বলে আসছি। যতবারই বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন আমাদের নির্বাচনের ব্যাপারে মিটিং-এ ডেকেছে প্রতিবারই আমরা গিয়েছি। এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ডাকসু নির্বাচনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেখানেও আমাদের অংশগ্রহণ ছিল। সেখানে আমরা হামলার শিকার হয়েছিলাম, তারপরও ডাকসু নির্বাচনের দাবি থেকে সরে আসিনি। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছার কারণেই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সত্যিকার অর্থে ডাকসু নির্বাচন চায়, তাহলেই তা অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব।
বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এমন পরিস্থিতিতে ডাকসু নির্বাচনে আপনাদের না থাকার আশঙ্কা আছে কি?
ডাকসু নির্বাচন বর্জনের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। জাতীয় নির্বাচন ও ডাকসু নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহাবস্থান নিশ্চিত করুক, আমাদের দাবি শুধু এটাই। আর বিএনপি অন্যান্য নির্বাচন বর্জন করছে। এর সঙ্গে আমাদের ডাকসু নির্বাচন বর্জনের কোন সম্পর্কই নেই।
শুরু থেকেই আপনাদের সহাবস্থানের দাবি প্রশাসন কতটুকু আমলে নিয়েছে?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোন আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ নেয়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা গঠনতন্ত্রের জন্য কমিটি, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের আচরণ বিধি নিয়ন্ত্রণ নিয়েও একটি কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিতের জন্য তারা এখনো পর্যন্ত কোন কমিটি গঠন করেনি। কেননা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের সহাবস্থান হচ্ছে অক্সিজেনের মতো। এ ব্যাপারে তারা এখনো গতিশীলতা আনতে পারেনি।
কিছু কিছু ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ আছে আপনাদের অধিকাংশ নেতাদের ছাত্রত্ব নেই। এ ব্যাপারে কী বলবেন?
কেউ যদি ২ বছর আগে পাশ করে আবার কেউ যদি ৫ বছর আগে পাশ করে, দু’জনেরই কিন্তু ছাত্রত্ব থাকে না। যারা আমাদের ছাত্রত্বের ব্যাপারে অভিযোগ তোলে, তাদের নিজেদেরও কি বাস্তবিক অর্থে ছাত্রত্ব আছে? ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কেউই নিয়মিত ছাত্র নয়। সেই অর্থে তাদেরও ছাত্রত্ব নেই।
আপনারা তো অনেকদিনই ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আপনারা কিভাবে পূরণ করবেন?
ছাত্রদলের জনপ্রিয়তার কারণেই কিন্তু ক্ষমতাসীনদের মাথাব্যথার কারণ। অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারলেও ছাত্রদল পারে না। কেননা ছাত্রদল তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। নেতৃত্বে আসলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া, প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম ঢাবি ছাত্রদল।
ছাত্রদলের হয়ে কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে?
যেহেতু সুনির্দিষ্টভাবে এখনো গঠনতন্ত্র প্রকাশিত হয়নি, তাই নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবে তা এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধীয় প্রতিটি বিষয়ই আমরা আমাদের ইশতেহারে তুলে ধরছি। আমরা প্রত্যাশা করি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ডাকসু থেকেই বের হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীর গণতান্ত্রিক চর্চা ও নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী যেন বিকশিত হয়, এই বিষয়গুলো কিভাবে সমৃদ্ধ করা যায় তা আমাদের ইশতেহারে গুরুত্ব পাবে।
ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচনে জয় পেয়েছিল ছাত্রদলের প্যানেল। এবারও তার পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা কতটুকু?
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং ঢাবি ছাত্রদলের ঐতিহ্য ও গৌরবের কারণেই তারা অতীতে জয়লাভ করেছে। ঢাবির ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সঙ্গে ঢাবি ছাত্রদল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে ডাকসু নির্বাচনে আবার আমাদের বিজয় হবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
এবার উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন এবং নিজস্ব
পছন্দের ব্যক্তিদেরকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন এবং তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার
করে তাদের মাই ম্যানদেরকে জয়ী করার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়
নেতৃত্বের নজর এড়ায়নি প্রসঙ্গটি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে
এ ব্যাপারে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মন্ত্রী-এমপিরা
এলাকায় তাদের আধিপত্য বজায় রাখা এবং নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য মাই ম্যানদের
প্রার্থী করেছেন। কেউ আত্মীয় স্বজনকে, কেউ নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী
করেছেন। আর এই প্রার্থী করার ফলে এলাকার মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অসন্তোষ, ক্ষোভ
এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
আর আওয়ামী লীগ দলগতভাবে যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দলীয় প্রতীক
ব্যবহার করবে না এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন নির্দেশনা দিয়েছেন যে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা
প্রার্থী হতে পারবেন না, তখন মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে একটি গণ প্রতিরোধ
গড়ে উঠেছে উপজেলার নির্বাচনগুলোতে।
একাধিক উপজেলায় দেখা গেছে, মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর
বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়েছে এবং স্থানীয় তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর
পক্ষে তারা কাজ শুরু করেছেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের নিজেদের প্রার্থী
দিয়েছেন তারা এখন নিজস্ব বলয়ের বাইরে মূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাচ্ছেন না।
অবশ্য কোন কোন উপজেলায় আগেই প্রভাব বিস্তার শেষ করে ফেলেছেন মন্ত্রী-এমপিদের
প্রার্থীরা। তারা কোথাও কোথাও একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু যে সমস্ত
এলাকায় এটা সম্ভব হয়নি, যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী সেই সমস্ত এলাকাগুলোতে আওয়ামী
লীগের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন উপজেলার প্রার্থীরা। ফলে শেষ পর্যন্ত যদি উপজেলা
নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ থাকে তাহলে বেশিরভাগ
উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের ভরাডুবি ঘটবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন উপজেলায় যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন,
যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য
নির্দেশনা দিয়েছেন, কাজেই মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা হল একেবারেই
দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন এবং এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ
করাটা নেতাকর্মীদের দায়িত্ব।
আর এ কারণেই নেতাকর্মীরা এখন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর
বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন এবং তারা তাদের বিকল্প প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর ফলে
উপজেলা নির্বাচন একটি নতুন মাত্রা এবং প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করেছে।
উপজেলা নির্বাচন গণ প্রতিরোধ মন্ত্রী-এমপি মাই ম্যান
মন্তব্য করুন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবার বেকায়দায়
পড়েছেন। ডিবিসি চ্যানেলের রাজকাহন অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতাদের তোপের
মুখে পড়েছেন তিনি। আর তোপের মুখে পড়ে যথারীতি ইউটার্ন নিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি এটি
বলেননি।
কিন্তু সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভুলে গেছেন যে, ডিবিসির রাজকাহনে
প্রচারিত তার বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে। সেখানে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যা বলেছেন
সেটি প্রচারিত হচ্ছে। সেটি বিকৃত করার কোন সুযোগ নেই। তিনি কোন সাক্ষাৎকার দেননি বা
তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে মৌখিকভাবে এ বক্তব্য দেননি। তিনি দিয়েছেন সরাসরি
টেলিভিশনে এবং এটি লাইভ প্রচারিত হয়েছে। শুধুমাত্র লাইভ প্রচারিতই নয়, বরং এই বক্তব্য
এখন ইউটিউবে ভাসছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রাজকাহনে কী বলেছেন তা একটু দেখে নেওয়া যাক।
তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি
কি না সে বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। তিনি জানান, প্রয়োজনে বেগম জিয়া এবং তারেক
রহমানের পক্ষ থেকে কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে। যারা তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেবে।
আলালের এই বক্তব্য বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এই বক্তব্য সম্পর্কে আলালের
কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বলেও জানা যায়। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও
জানতে চান যে, কেন আলাল এই ধরনের কথা বললেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন যে, বিএনপিতে
বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়ার বিকল্পের কোন ভাবনা নেই এবং এ ধরনের কোন আলোচনাও হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে
তারেক জিয়া যথেষ্ট যোগ্যতা এবং পরিপক্কতার সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের বাইরে বিএনপিতে
সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন না গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এই বক্তব্য যখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে
প্রকাশিত হয়েছে তখন আলাল তোপের মুখে পড়েছেন। আলালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে
কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও দলের ভিতর তিনি ব্যাপক তিরস্কার
এবং ভর্ৎসনার মুখোমুখি পড়ছেন।
এরকম পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজনীতিবিদরা যা করেন, আলাল সেই একই
কাণ্ড করেছেন। তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে এরকম বক্তব্য
তিনি দেননি। তার বক্তব্য, মিথ্যা এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও মোয়াজ্জেম হোসেন
আলাল তার এক প্রতিবাদ বার্তায় বলেছেন। অথচ বক্তব্যটি এখনও ডিবিসিতে রাজকাহন অনুষ্ঠানে
পাওয়া যাচ্ছে।
তাছাড়া বিএনপির নেতারাও এই বক্তব্যগুলো দেখেছেন। যে কারণে আলালের
এই প্রতিবাদ বা তিনি এ ধরনের কথা বলেননি বলে যে মন্তব্য করছেন তা তারেক জিয়া বা অন্য
নেতাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। এই বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ার কারণে বেকায়দায় পড়েছেন
বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সামনের দিনগুলোতে এখন বিএনপি আলালের ব্যাপারে কী
সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার বিষয়।
উল্লেখ্য, এর আগে বিতর্কিত বক্তব্য রেখে বিএনপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ
নেতাই দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। যাদের মধ্যে শওকত মাহমুদ অন্যতম। আলালকেও সেই পরিণতি
বরণ করতে হবে কী না সে নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর দলের তৃণমূলের
নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে কেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির
(জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সামনে তিনি বলেছেনে, ‘বিএনপির
আন্দোলন সফল হবে না তা আগেই বুঝেছিলাম। তাই দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে
অংশ নিয়েছিলাম। তবে ভোট ভালো হয়নি।’
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাপার
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গত বছরের ১২ নভেম্বর বর্ধিত সভায় জাপার নেতারা নির্বাচন বর্জনের
পক্ষে মতামত দেন। তবে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬ আসনে ছাড় পেয়ে নির্বাচনে অংশ
নেন জি এম কাদের।
নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় কমিটির
সভায় বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের
সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে
এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি
আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি
সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার
পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে
বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে
জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি। আপনারা আমার
ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ
করেছি।
মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিলেন।
আর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয়
শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে, এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০
লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম’।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে
জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে
গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়, যা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী
দল ছিল না। এবং জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি না।
জাতীয় পার্টি জাপা জি এম কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে শ্রমিক
সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী ১ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী
শ্রমিকদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান
এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া দলের অন্যান্য নেতারাও এই
সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, গতকাল খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
সমাবেশ ঘোষণা করেছিল বিএনপি। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে পরে সেই সমাবেশে স্থগিত করা
হয়।
মে দিবস নয়াপল্টন সমাবেশ বিএনপি
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ করার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ
করবেন। এ ব্যপারে তিনি প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিতে যাচ্ছেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল
সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই মন্ত্রী পরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন
সচিব এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে কথা বলবেন। উপজেলা
নির্বাচন নিয়ে যেন কোন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা না হয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেন কোনরকম পক্ষপাতের
অভিযোগ না আসে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট অনুশাসন জারি করবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী
কার্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য,
আগামী ৮ মে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের উপজেলা
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। উপজেলা নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত
থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে প্রার্থী না করার
নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার
করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকে আশঙ্কা
করা হয়েছে যে, উপজেলা নির্বাচনকে মন্ত্রী-এমপিরা প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারেন, তাদের
পক্ষের প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য। আর এটি যেন না হয়, সেজন্যই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একদিকে
তিনি যেমন দলের নেতা-কর্মীদের বলেছেন যে, দলের নেতা-কর্মীরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে
পারবে না। দলীয় প্রতীক দেয়া হচ্ছে না উপজেলা নির্বাচনে। মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনদেরকে
না দাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবং মন্ত্রী এমপিরা যেন নির্বাচনে প্রত্যক্ষ
পরোক্ষভাবে কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে সেজন্য সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু
তারপরও আওয়ামী লীগের কিছু মন্ত্রী-এমপি তাদের নিজস্ব ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রার্থী
করানোর জন্য মাঠে নেমেছেন এবং নির্বাচনে তারা যেন জয়ী হয় এজন্য নানা রকমের প্রভাব বিস্তারের
চেষ্টা করছে। এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতির নজরে এসেছে বলেই জানা গেছে। আর একারনেই তিনি
প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পৃথক পৃথকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা
দিবেন।
বিভিন্ন
সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী যেসমস্ত নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনের জন্য দিতে যাচ্ছেন
তার মধ্যে রয়েছে..
১) মাঠ প্রশাসন উপজেলা নির্বাচনে নির্মোহ এবং
নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে
২) কোন প্রার্থীর পক্ষে মাঠ প্রশাসন কাজ করবে
না এবং কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না
৩) কোন মন্ত্রী-এমপিরা তাদের অন্যায় অনুরোধ করলে
তারা শুনবে না এবং সে ব্যাপারে তারা শুনবে না। এজন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে তারা তাৎক্ষণিকভাবে
অবহিত করবেন
৪) আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন সুষ্টু
করার জন্য কাজ করবেন এবং কোন ভাবেই যেন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা না হয়, সেজন্য
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।
৫) যাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠবে তাদের
ব্যাপারে আইনগত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নির্দেশনায় দেওয়া হবে।
আওয়ামী
লীগ সভাপতি চাচ্ছেন উপজেলা নির্বাচনকে একটি অবাধ সুষ্টু নিরপেক্ষ করতে। একটি ভোটের
পরিবেশ সৃষ্টি করাতে। যেন সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় এবং উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট
হয়।
উপজেলা নির্বাচন প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
এবার উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন এবং নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন এবং তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে তাদের মাই ম্যানদেরকে জয়ী করার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর এড়ায়নি প্রসঙ্গটি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে এ ব্যাপারে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের আধিপত্য বজায় রাখা এবং নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য মাই ম্যানদের প্রার্থী করেছেন। কেউ আত্মীয় স্বজনকে, কেউ নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। আর এই প্রার্থী করার ফলে এলাকার মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অসন্তোষ, ক্ষোভ এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবার বেকায়দায় পড়েছেন। ডিবিসি চ্যানেলের রাজকাহন অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। আর তোপের মুখে পড়ে যথারীতি ইউটার্ন নিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি এটি বলেননি। কিন্তু সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভুলে গেছেন যে, ডিবিসির রাজকাহনে প্রচারিত তার বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে। সেখানে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যা বলেছেন সেটি প্রচারিত হচ্ছে। সেটি বিকৃত করার কোন সুযোগ নেই। তিনি কোন সাক্ষাৎকার দেননি বা তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে মৌখিকভাবে এ বক্তব্য দেননি। তিনি দিয়েছেন সরাসরি টেলিভিশনে এবং এটি লাইভ প্রচারিত হয়েছে। শুধুমাত্র লাইভ প্রচারিতই নয়, বরং এই বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর দলের তৃণমূলের নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে কেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সামনে তিনি বলেছেনে, ‘বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না তা আগেই বুঝেছিলাম। তাই দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। তবে ভোট ভালো হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ করার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন। এ ব্যপারে তিনি প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিতে যাচ্ছেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই মন্ত্রী পরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে কথা বলবেন। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যেন কোন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা না হয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেন কোনরকম পক্ষপাতের অভিযোগ না আসে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট অনুশাসন জারি করবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।