নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯
বিএনপিতে এখন চলছে টাল মাটাল অবস্থা। নেতারাও জানেন না, বিএনপি কোন পথে। বিএনপির সব নির্দেশনা আসছে লন্ডন থেকে। সকালে একরকম সিদ্ধান্ত রাতেই পাল্টে যাচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বিএনপির রাজনীতি শুধু কথামালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এরকম অবস্থার জন্য দায়ী করা হচ্ছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে। বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন,‘ তারেক জিয়ার ভুল সিদ্ধান্তে ডুবতে বসেছে বিএনপি। তিনি দলের স্বার্থ না দেখে, নিজের লাভ-ক্ষতি বিবেচনা করে দল চালাচ্ছেন।’
বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন,‘এভাবে দল চলছে, কয়েকদিনের মধ্যে গণপদত্যাগ শুরু হবে।’ বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচনের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের জন্য মির্জা ফখরুলকে দায়ী করা হলেও সব সিদ্ধান্তই এসেছে লন্ডন থেকে। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিলো বেগম জিয়ার মুক্তি ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এরপর সিদ্ধান্ত বদলে গেল বলা হলো; বেগম জিয়ার মুক্তির জন্যই নির্বাচনে যাবে বিএনপি। নির্বাচনে যাবার পর বলা হলো; নির্বাচন থেকে কোন অবস্থাতেই সরবে না বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের আগেই দেখা গেলো একের পর এক প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন। বিকেল নাগাদ বিএনপির ১৩৭ জন প্রার্থীই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালো। বিএনপি মহাসচিব বললেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত দলগতভাবে হয়নি, যারা সরে দাঁড়িয়েছেন, এটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু সরে দাঁড়ানোরা বলছেন, ভাইয়ার সিদ্ধান্তে তারা সরে দাঁড়িয়েছেন।’
নির্বাচনের পরও তারেক বিএনপি নিয়ে খেলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারেক জিয়া, ব্যরিষ্টার মওদুদসহ সিনিয়র কয়েকজনকে বলেছেন, দল পুন:গঠন করতে হবে, দলে নতুন মহাসচিব আনতে হবে। আবার মির্জা ফখরুলকে বলেছেন, এখন কোনো পরিবর্তন নয়। নির্বাচনের পর বললেন, ঐক্যফ্রন্ট রাখার দরকার নেই। পরদিন বললেন, ঐক্যফ্রন্ট থাকবে। তারেক জিয়ার নির্দেশেই আবার মির্জা ফখরুল ঐক্যফ্রন্টের সভা বর্জন করেন।
তারেক জিয়ার নির্দেশেই মির্জা ফখরুল ঘোষণা করেন যে, বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। আবার তারেক জিয়াই নতুন ফতোয়া দেন নির্বাচনে যেতে হবে।
বিএনপির নেতারাই এখন তারেকের উপর বিরক্ত। তারা বলছেন, লন্ডনে বসে এর ওর সঙ্গে কথা বলে তারেক জিয়া একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে যাচ্ছেন। তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল যে, দলের স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করার উদ্যোগ নিতে। কিন্তু টাকা পাননি জন্য এ পদে নিয়োগ দিচ্ছেন না তিনি। বিএনপি বলছে, উপজেলা নির্বাচন বর্জন করবে, কিন্তু মনোনয়ন দিয়ে কিছু উপার্জন করা যাবে এই আশায় সেখানে থেকেও সরে আসছেন তারেক। বলছেন, ‘উপজেলা নির্বাচন না করলে দল ভাঙবে।’
বিএনপি নেতারাই এখন তারেককে বাইরে রেখে দল চালানোর কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন, ‘তারেকের হাতে বিএনপি নিরাপদ নয়।’
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।