নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের দাওয়াত নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ঐক্যফ্রন্ট চা চক্রের দাওয়াত প্রত্যাখান করে দেয়ায় তিনি চটেছেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন। আজ রাতে তার দেশে ফেরার কথা।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের ২ ফেব্রুয়ারির চা চক্রের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চা চক্রের দাওয়াতকে নাকচ করে দেন। তারা বলেন যে, চা চক্রে তারা যাবেন না। সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক ড. কামাল আজ সকালেই এ বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হন। তাৎক্ষণিক প্রত্যাখানের বিষয়টি জেনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা সুব্রত চৌধুরীকে তিনি টেলিফোন করেন। টেলিফোনে কামাল হোসেন বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি হবে না, এটা তো কোন কথা হতে পারে না। এ রাজনীতি কোন ভাল ফল আনতে পারে না। এমন রাজনীতি আমি করি না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। সেখানে আমরা যদি, তার সঙ্গে কথা বলি, তাকে সংলাপের জন্য আহ্বান জানাই তাহলে কি আমরা ছোট হবো? তাছাড়া সেখানে গিয়ে যদি আমরা আমাদের কথাগুলো বলি, সেখান থেকেও আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে। কোথাও না কোথাও থেকে তো সূচনা করতে হবে।’
তবে তিনি আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি। দেশে ফেরার পরে এই চা চক্রের ব্যাপারে তিনি ভিন্ন অবস্থান নেবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।