নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছিল যখন, সেসময় তদন্তে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের নামটিও উঠে এসেছিল। কিন্তু তখন তিনি অজ্ঞাতসারে পালিয়ে গিয়েছিলেন। একাত্তরে জামাতের অপকীর্তি, নোংরামি এবং মানবতাবিরোধী অপরাধকে ঢেকে রাখতে বাংলাদেশে যে সমস্ত ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক তাদের মধ্যে অন্যতম। আজ তিনি যখন নতুন দল গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন প্রগতিশীল মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাকে হিরো বানানোর চেষ্টা করছে। তার অপরাধগুলো আড়াল করার প্রচেষ্টাও দৃশ্যমান হচ্ছে।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের অতীত ইতিহাস দেখলেই তার অপকীর্তিগুলো বেরিয়ে আসে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম যখন বাংলাদেশে আসলো এবং ৯১ সালে যখন সে নিজেকে জামাতের আমির ঘোষণা করলো, তখন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আন্দোলন শুরু করে। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বেই তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গণআদালত গঠিত হয়েছিল। এই গণআদালতের প্রেক্ষিতেই তৎকালীন বিএনপি সরকার গোলাম আজমকে গ্রেপ্তার করে। সে সময়ে তার নাগরিকত্ব মামলা শুরু হয়। তখন সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আমিনুল হক। আর যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের পক্ষে ছিলেন এই ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক।
আমরা সবসময়ই ইতিহাস বিভ্রমে পড়ি এবং অতীত ভুলে যাই। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক গোলাম আজমের আইনজীবী হিসেবে কী কী কথা বলেছিলেন সেটাও আজ অনেকের স্মৃতি থেকে মুছে গেছে হয়তো। সেসময় তিনি বলেছিলেন, একাত্তরে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি। গোলাম আজম বা জামাত কোন গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এখন আবদুর রাজ্জাক তার ভোল পাল্টে ফেলেছেন। কিন্তু ওইসময় তিনি যে অসত্য বলেছিলেন সেই কথাগুলোর জন্য তিনি নিজের কাছে কখনও ক্ষমা চেয়েছেন কি?
দ্বিতীয় বিষয় হলো যে, ২০১১ সালে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো, তখন সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান কৌশলী ছিলেন এই ব্যারিস্টার রাজ্জাক। গোলাম আজম, নিজামী, মুজাহিদ আর কাদের মোল্লার মতো নিকৃষ্ট যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় ব্যারিস্টার রাজ্জাক কী কী বলেছিলেন তার যদি সারসংক্ষেপ করা হয় তাহলে তার মূল বক্তব্য দাঁড়ায়, একাত্তরে বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধ, লুণ্ঠন, ধর্ষণ কিংবা গণহত্যা ঘটেই নি। তার ভাষ্যমতে, একাত্তরে জামাত ছিল পুতঃপবিত্র একটি রাজনৈতিক দল। এসব বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় যে, ব্যারিস্টার রাজ্জাক লোকটি সুযোগ সন্ধানী। যখন যেখানে যে সুযোগ দরকার হয় সে অনুযায়ীই তিনি তার ভোল পালটে ফেলেন।
জামাতে এখন দুরাবস্থা চলছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিএনপি আর কোনোভাবেই দলটিকে সঙ্গে রাখতে পারছে না। ঠিক এ সময়ে জামাতকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতেই ব্যারিস্টার রাজ্জাক যে মাঠে নেমেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, আমাদের কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যম, যারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে জাহির করেন, তারাই এখন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের জয়গান গাওয়া শুরু করেছেন। তাহলে কি ব্যারিস্টার রাজ্জাকের যুদ্ধাপরাধ মাফ হয়ে যাবে? তিনি গোলাম আজমের নাগরিকত্বের জন্য যে মিথ্যাচারগুলো করেছিলেন সেগুলো কি আমরা ভুলে যাব? যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য যে প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যারিস্টার রাজ্জাক করেছিলেন সেই অতীত কি একেবারেই হারিয়ে যাবে? ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে যে হিরো বানানোর চেষ্টা চলছে সেটার মধ্যেই ষড়যন্ত্র আছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।