নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর রাজনীতি বিরোধী দলশুন্য হয়ে গেছে। সংসদে যেমন শক্তিশালী বিরোধী দল নেই, সংসদের বাইরেও শক্তিশালী বিরোধী দলের অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকমহল, দাতা দেশ ও সাহায্যকারী সংস্থা মনে করছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী দলশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। গণতন্ত্রে যদি বিরোধী দল বা গোষ্ঠী না থাকে তাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না এবং গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতির যে অবস্থা তাতে যে কোন একটি দলের পক্ষে বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সহজসাধ্য নয়।
আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহল এবং বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীনপ্রায়। বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের মতো সেরকম শক্তি এখন আর বিএনপির নেই। দলটিতে নেতৃত্বশূন্যতা তৈরি হয়েছে, নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্ত। রাজনৈতিকভাবেও তারা দিগভ্রান্ত। এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা বাস্তবসম্মত হবে না বলে মনে করেন তারা।
একইভাবে সংসদীয় বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকেও ক্ষয়িষ্ণু এবং বিলোপপ্রায় একটি দল হিসেবে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। তারা মনে করছে, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ। তারা ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত সে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা সেসময় ব্যর্থ হয়েছিল। নতুন সংসদেও তারা বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকলেও তারা ক্ষয়িষ্ণু ও অত্যন্ত দুর্বল এবং তাদের অস্তিত্ব বিপন্নপ্রায়। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পর এই দলের নেতৃত্ব কে নিবেন এবং তার নেতৃত্বে দলটি কতটুকু সফলতা পাবে তা নিয়েও কূটনীতিক মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্তর্জাতিক অনেক মহলই আশাবাদী ছিল এবং তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতাও দিয়েছিল। বিশেষ করে ড. কামাল হোসেনের উপস্থিতির কারণে ইউরোপ এবং আমেরিকা ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে অনেক বেশি আগ্রহী ছিল। কিন্তু নির্বাচন ও নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল হতাশ। ঐক্যফ্রন্টের মূল সমস্যা-নীতি ও আদর্শগত কোন ঐক্য নয় এটি ছিল একটি নির্বাচনী ঐক্য। তাছাড়াও এই ফ্রন্টের মধ্যে নানা রকম মতপার্থক্যের কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে আত্মপ্রকাশ করা এই মোর্চার জন্য প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এছাড়াও বাম ফ্রন্ট ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি যারা আছে তারা একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আপাতত চটজলদি কোন বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা তাদের জন্য অসম্ভব ব্যাপার।
আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে দাতা দেশ এবং কূটনীতিকরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে একটি শক্তি হিসেবে দেখছিল। যেন গণমাধ্যম বিরোধী শক্তি হিসেবে সরকারের সমালোচনা করে সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনগত কারণে গণমাধ্যমও সরকারের সমালোচনা করা ও সরকারকে জবাবদিহিকতার আওয়তায় আনার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।
এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল একটি সিভিল সোসাইটি অ্যালায়েন্স বা সুশীল সমাজের একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাচ্ছে যেটা সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখে সমালোচনার প্ল্যাটফর্ম হবে। তারা মনে করে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী সুশীল সমাজ রয়েছে যাদেরকে একটু ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই বিরোধী দলের ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুশীল সমাজের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাদের কথায় মানুষ আলোড়িত হয় এবং বিশ্বাস করে। সেজন্যই গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের সুশীল সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নানা রকম বক্তব্য বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এটা বিক্ষিপ্তভাবে না করে তারা যেন একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম থেকে করে সেজন্য তাদেরকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনার কাজ চলছে।
বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অনেকের সঙ্গে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, টিআইবির চেয়ারপার্সন ড. সুলতানা কামাল, সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানসহ আরও কয়েকজন। তারা বলেছেন যে, বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি অ্যালায়েন্স করা অবশ্যই জরুরি যাদের রাজনৈতিক কোন অভিপ্রায় নেই। যেহেতু সুশীল সমাজ নিজেরা ক্ষমতায় আসতে চায় না কাজেই তাদের বক্তব্য এবং সমালোচনাগুলো তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হবে। কাজেই তাদের কথাগুলো মানুষ শুনবে। এজন্য তারাও এ ব্যাপারে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করছেন।
তবে তারা মনে করছেন এই প্ল্যাটফর্মের জন্য একজন নেতা দরকার। এক্ষেত্রে সুশীল সমাজের যাদের সঙ্গে কূটনীতিকরা কথা বলেছেন তাদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, এটা নেতা হতে পারেন ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। কিন্তু অনেকে মনে করছেন ড. ইউনূসের সঙ্গে সরকাররে সম্পর্ক খুবই শীতল এবং নাজুক পর্যায়ে। তাকে নেতৃত্বে নেয়া হলে সরকার তাতে প্রতিক্রিয়া করতে পারে এবং অ্যালায়েন্সটা গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না। তারা মনে করছে এমন একটি অ্যালায়েন্স করা উচিৎ যাদের প্রতি সরকারের কোন নেতিবাচক মনোভাব থাকবে না, কিন্তু তাদের সমালোচনা ও উপদেশ সরকারের গ্রহণের মানসিকতা থাকবে। এরকম বিবেচনায় তারা স্যার ফজলে হোসেন আবেদের নাম প্রস্তাব করছেন। কিন্তু ফজলে হোসেন আবেদ এ ধরনের কর্মতৎপরতা থেকে সবসময় নিজেকে দূরে রাখেন। অনেকে সুলতানা কামালকে প্ল্যাটফর্মের প্রধান করার চিন্তাভাবনা করছে। তবে কূটনীতিকরা মনে করছেন এই প্ল্যাটফর্মের কোন নেতা দরকার নেই। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, দারিদ্র বিমোচন, সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান হবে এই প্ল্যাটফর্ম যেখানে তারা নিজেরা আলোচনা করবেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত আসবে।
তবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধরা বলছেন বাংলাদেশে নেতৃত্ব ছাড়া কোন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা বাস্তবসম্মত নয়। সেটা টেকসই হয় না এবং ভবিষ্যতে তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অনেকে অ্যালায়েন্সের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক রেহমান সোবহানের নাম প্রস্তাব করছেন। তবে এসবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কূটনীতিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই তৎপরতা আরও দৃশ্যমান হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। এই প্ল্যাটফর্মই সরকারের সবচেয়ে বড় সমালোচক এবং সরকারক জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।