নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০১৯
দশম জাতীয় সংসদে ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা। আর একাদশ জাতীয় সংসদে হলেন বিরোধী দলীয় উপনেতা! আর এসব নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। নির্বাচনের পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আকস্মিভাবেই এক পত্রের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অবহিত করেছিলেন, তিনি (এরশাদ) হবেন বিরোধী দলীয় নেতা এবং তার সহোদর জিএম কাদের হবেন বিরোধী দলীয় উপনেতা। যদিও বিষয়টি তখন জাতীয় পার্টির সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই স্পিকারকে অবহিত করেছিলেন এইচএম এরশাদ।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে আসন বিন্যাসও হয় সেভাবে। দুই ভাই-ই বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার জাপা চেয়ারম্যান তাঁর স্বভাবসিদ্ধ নিয়মে রং বদল করেন। পার্টির কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেন ছোট ভাই জিএম কাদেরকে। সে সময় থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় জিএম কাদেরকে উপনেতার পদ থেকেও অপসারণ করা হতে পারে। এসব নিয়ে জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল বাংলা ইনসাইডার শনিবার সকালেও একটি সংবাদ প্রকাশ করে। ঠিক ঠিক বিকেলে তাঁর প্রতিফলন ঘটান জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ।
এক চিঠিতে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে জানান, বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ থেকে জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদকে উপনেতার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য স্পিকারকে অনুরোধ জানান এরশাদ।
জাপার অভ্যন্তরে সবার ধারণা ছিল জিএম কাদেরকে সরিয়ে দিলেও সেখানে জ্যেষ্ঠ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ কিংবা ফখরুল ইমামকে দায়িত্ব দিতে পারেন। কিন্তু এরশাদ সব ফলাফল পাল্টে দিয়ে নিজ স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদকে করলেন বিরোধী দলীয় উপনেতা। আর এ ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সবার একই প্রশ্ন? দশম সংসদে যিনি বিরোধী দলীয় নেতা সেখানে একাদশ সংসদে এসে বিরোধী দলীয় উপনেতা!
জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা এবিষয়টি নিয়ে স্বয়ং পার্টি চেয়ারম্যানের উপর নাখোশ হয়েছেন। তবে তাদের ধারণা, নেপথ্যে এ খেলায় কেউ কলকাঠি নাড়ছেন। এদিকে, জিএম কাদেরকে এভাবে নাস্তানাবুদ করার জন্য জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।