নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০১৯
শেখ হাসিনার জন্যই শান্তির বাংলাদেশ। সারাবিশ্ব এখন সন্ত্রাসের আতংকে ভুগছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীলঙ্কায় হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটলো। ভয়াবহ নৃশংশতায় পুরো মানবতা আজ কাঁদছে। সারাবিশ্ব আজ আতংকপুরীতে পরিনত হয়েছে। আমরা এই বিশ্ববাসী জানিনা, আগামীকাল কোথায় বোমা হামলা ঘটবে। কোথায় নীরিহ প্রাণ বিপন্ন হবে! এই উপমহাদেশ এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভারতে বোমা হামলা, হত্যা, নৃশংসতা এখন একটা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে। পাকিস্তানে তো এটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছে। নেপালেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের কথা তো যতো কম বলা যায় ততই ভালো। সারাবিশ্বের কাছে আফগানিস্তান এক বিস্ফোরক দেশ হিসেবেই পরিচিত। শ্রীলঙ্কা ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশকে নিয়েও কম আতঙ্ক উৎকন্ঠা ছিল না। বাংলাদেশ বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে বারবার বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গিদের উথান হবে। বাংলাদেশ জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম ইত্যাদি নানা কলঙ্ক আর কথাবার্তা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে। কিন্তু একজন মানুষ ক্রমশ এই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। শুধু ধারণাই পাল্টে দিচ্ছেন না, তিনি বাংলাদেশকে এখন রোল মডেল রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করছেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ, সেখানে বাংলাদেশের মডেল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে আজ বিভিন্ন দেশে। আজ বাংলাদেশ শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজয়ী এক দেশ নয়, বরং শান্তি ও সাম্প্রদায়িকের রোল মডেল অনবদ্য এক দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এটা সবাই স্বীকার করে এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের উৎপাটনই করেননি, এদেশকে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবেও পরিনত করেছেন। পাশাপাশি তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য মেলবন্ধন রচনা করেছেন এদেশে। সেইজন্য আজকে যখন শ্রীলঙ্কা বা ক্রাইস্টচার্চে ধর্ম বা উগ্রবাদের নির্মম শিকার হন সাধারণ মানুষ, তখন বারবার ফিরে আসে বাংলাদেশের কথাই। বিশ্ব মানবতা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছে। তার শান্তির মডেল জনগনের ক্ষমতায়ন অনুসরণ করে সম্ভব বিশ্ব শান্তি অর্জন করা। বাংলাদেশে হলি আর্টিজনের পর বড় ধরনের কোন জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। এমনকি যে হলি আর্টিজনের ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনাকে সারা বিশ্বে বলা হচ্ছে যে, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রনে একটি অনবদ্য অপারেশন। যে অপারেশনে নূন্যতম ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে সমস্ত জঙ্গি এবং অপরাধীদেরকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এরপর থেকে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি। যদিও বারবার বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কোচিত বিচক্ষনতায় তার দুরদৃষ্টি এবং প্রজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ ক্রমশ একটি শান্তি ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে উদ্ভাসিত হচ্ছে। আজকে শ্রীলঙ্কার ঘটনার পর বারবার বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এসেছে। শ্রীলঙ্কায় যে ঘটনাটা ঘটেছে তা নি:সন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক, অনাকাঙ্খিত এবং মানবতার জন্য এক আর্তনাদ। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে ব্যার্থতাগুলোকেও আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলো বোমা নিয়ে সন্ত্রাসীরা আক্রমন করলো, কিন্তু কোন গোয়েন্দা তথ্য ছিলো না। এমনকি এই ঘটনার পর সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রনেও সেরকম কোন স্বস্তি পাওয়ার মতো তৎপরতা লক্ষ্য করিনি।
এই প্রেক্ষাপটে এ কথা বলা যায় যে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বিশ্বে অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার, সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়দিন পর পর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। বিশ্বে যখন কোনো রাষ্ট্রই সন্ত্রাসের আগ্রাসী থাবা থেকে নিরাপদ নয়, তখন আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় এবং নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কাজেই আমরা যদি এখন বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই, বিশ্বকে যদি আমরা সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে চাই তাহলে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার যে চিন্তা, দর্শন এবং আদর্শকে লালন করা জরুরি বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা আরও মনে করছেন, তার পদ্ধতি এবং মৌলিক ৬টি নীতি রয়েছে, সেই নীতিগুলো মেনে চলেই বিশ্বে শান্তি আনা সম্ভব।
মৌলিক ৬টি নীতিগুলো হলো-
এক- জনগনের ক্ষমতায়ন, জনগণকে মূল্যায়ন করা এবং জনগণের অভিপ্রায়ের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা।
দুই- সব ধর্মের মর্যাদা দেওয়া। কোনো ধর্মকে আঘাত না করার নীতি।
তিন- সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি
চার-একটি ভূখণ্ডে বিদেশী কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে স্থান না দেওয়া। সে ব্যাপারে কঠোর নীতি গ্রহণ করা।
পাঁচ-সন্ত্রাস দমনে তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোয়েন্দাব্যবস্থাকে উন্নত করা।
ছয়- জনগণকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সচেতন করে তোলা।
এই ছয়টি নীতি দিয়েই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন। শ্রীলংকার এই ঘটনাটির পর এই উপমহাদেশ শুধু নয়, সারাবিশ্বের সন্ত্রাস মোকাবেলায় শেখ হাসিনার মডেল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন