নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে তিনজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নিলেন তাদের প্রত্যেকের পেছনেই ড. কামাল হোসেনের হাত রয়েছে বলে বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করছেন। এ ব্যপারে ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আজ ড. কামাল হোসেন এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বাকিদেরও শপথ গ্রহণের অনুরোধ করেছেন। যদিও গণফোরামের নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেছেন, ড. কামাল হোসেন এরকম মত দিতেই পারেন না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ ব্যাপারে মতামত খুব সুস্পষ্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনে করে যে, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন একটি ভোট ডাকাতির নির্বাচন। প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। কাজেই এই সংসদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কারো যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যারা গেছে, তারা স্বেচ্ছায় গেছেন। তাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন ভূমিকা নেই। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রের প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বহিস্কৃত নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং মোকাব্বির খানকে বের করে দিলেও তার সঙ্গেও এখন নিয়মিত কথাবার্তা হচ্ছে। ড. কামাল হোসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলেছেন যে, সংসদে গিয়ে কথা বলাই উত্তম। অন্যদিকে একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপির সঙ্গে সরাসরি সমঝোতার বদলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সমঝোতা করছেন এবং সেই সমঝোতার প্রধান বিষয় হলো বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদে যাবেন এবং বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে তিনি প্যারোল বা জামিনে মুক্তি পাবেন। এই রকম সমঝোতার কথা বিএনপির এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রত্যেকে অস্বীকার করলেও সরকার বলছে ৩০ এপ্রিলের আগে নাটকীয় পরির্বতন হবে এবং বিএনপির সব এমপিরাই এর মধ্যে শপথ গ্রহণ করবে বলে তারা অভিমত জানিয়েছেন। সরকারী সূত্রগুলো বলছে, সরকার একটা নতুন বিএনপি চাইছে। যেখানে বিএনপির নীতি এবং আদর্শের পরিবর্তন হবে। এমন একটি বিএনপি চাইছে, যে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করবে, জাতির পিতাকে বিশ্বাস করবে, ১৫ আগষ্ট শোক দিবস পালন করবে এবং স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়। বিএনপির এমন বহু নেতার সঙ্গে সরকার দ্বিপাক্ষিক এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলাপ আলোচনা করছে এবং আলাপ আলোচনার ফল ইতিবাচক বলে জানা গেছে। মূলত বিএনপি ভাঙ্গনে কলকাঠি নাড়ছেন সাবেক দুই নেতা। যারা অতীতে বিএনপির নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে ছিলেন, তারা হলেন; অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা। তাদেরকেও বিএনপির মেরুকরণের বিষয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অধ্যাপক অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার মাধ্যমেই সরকার বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং বিএনপিকে এই শর্তগুলো দিচ্ছে। এর মাধ্যমে রাজনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণ হতে পারে এবং নাটকীয়ভাবে এমনও হতে পারে যে, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও নাজমুল হুদার সঙ্গে বিএনপির একটি বড় অংশ যোগ দিয়ে একটি নতুন বিএনপিও করতে পারে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, কোন কিছুই অসম্ভব নয়। অপেক্ষা করুণ সামনে কি হয়?
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।
ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।
কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।
এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।
তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
কাগজে কলমে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছেন না। নৌকা প্রতীক ছাড়াই আওয়ামী লীগের এমপিরা যে যার মতো করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন। ১৫০ টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮ মে এই নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আজ মধ্যরাত থেকেই নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে।