নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০১৯
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার ঈদ উল ফিতর দেশে করবেন না। আগামী ২৮ মে তিনি জাপানে যাচ্ছেন একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে। জাপানের সফর শেষ করে তিনি ৩১মে সৌদি আরবে যাবেন। সেখানে তিনি রাষ্ট্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং ওমরাহ পালন করবেন। ওমরাহ পালন শেষে তিনি আবুধাবিতে যাবেন। সেখানে তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ঈদে না থাকায় তৃনমূলের নেতাকর্মীর মধ্যে হতাশা তৈরী হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী দেশে থাকলে তিনি সর্বস্তরের জনগনের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গণভবনের দরজা উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মূলত প্রতি বছর রোজা এবং ঈদ উপলক্ষ করেই তৃনমূলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্য পান এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করতে পারেন। এতে তারা উজ্জীবিত থাকেন। কিন্তু এবার রোজার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে অবস্থান করেছিলেন।
এবার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। প্রথম রমজান থেকেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশের বাইরে ছিলেন। চোখের অপারেশন করে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেও এখন পর্যন্ত তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তেমন দেখা সাক্ষাৎ করছেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আরও সপ্তাহখানেক কম পরিশ্রম করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। বেশী মানুষজনের সঙ্গে মেশা যাবে না, ধুলোবালি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। এজন্যই এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিগুলো সীমিত রয়েছে। আবার ২৮মে প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে চলে গেলে গণভবনে যে ইফতারের আয়োজন হয় সেই আয়োজনও তার জৌলুস হারাবে। যার ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যারা এই সময়টায় দেখা সাক্ষাত করেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তাঁরা এসব থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে নেতাকর্মীরা ঈদের দিন সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা লাইন দেন এবং দেখা যায় যে দীর্ঘ লাইন থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীও প্রত্যেককে সময় দেন। প্রত্যেকের কথা এবং বক্তব্য শোনেন। এটাই হলো তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতির যোগাযোগের একটা বড় মাধ্যম। কিন্তু এবারে সেই মাধ্যমটা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের সভাপতির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বা বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করবেন। কাউন্সিলের আগে একাধিক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই বর্ধিত সভাগুলোর মাধ্যমেও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।