নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০
প্রায় ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রাস্ট্রনায়ক থেকে তিনি এখন বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তার প্রত্যেকটি কথাই মূল্যবান। তার প্রত্যেকটি কথার যেমন রাজনৈতিক মূল্য আছে তেমনি আছে দার্শনিক বিষয়বস্তুও। তিনি যখন যে কথাগুলো বলছেন, সেগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্ববাহী। তিনি যে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন তা বারবার প্রমাণ করেছেন। আওয়ামী লীগ ১১ বছর ক্ষমতায় থেকেও যে এত জনপ্রিয় তার প্রধান কারণ হলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বগুনে একাই তিনি দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গত দুইদিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৩টি নির্দেশনা তার উচ্চতাকে আবার নতুন করে চিনিয়ে দিলো। চিনিয়ে দিলো কেন শেখ হাসিনা অনন্য। এই তিন নির্দেশনা ছিলো;
১. আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধরত গুণীশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুর দূতাবাসকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, অ্যান্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। মানবতার এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। রাজনীতিবিদরা মাঝে মাঝে মানবিক বোধ শূন্য হয়ে পড়েন। দেশ পরিচালনা করতে গেলে তাদের কঠোর হতে হয়। আস্তে আস্তে তাদের মানবিক মূল্যবোধ ও আবেগগুলো লুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু শেখ হাসিনা এখানে অনন্য ব্যতিক্রম। তার মানবিক আবেগগুলো লুপ্ত হয়ে যায়নি। একজন গুনী শিল্পীর জন্য তিনি যে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা পৃথিবীতে একটি বিরল ঘটনা।
২. শেখ হাসিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ভারতের নাগরিকত্ব আইন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে তারা এটা না করলেও পারতো। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতে তোলপাড় চলছে। সেখানে এক অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। আর বাংলাদেশে যখন এটা নিয়ে নানা উৎকণ্ঠা, আশঙ্কা ও অস্বস্তি ঠিক তখন আওয়ামী লীগ সভাপতির এই পরিশীলিত, মার্জিত এবং সংযত বক্তব্য সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিলো যে তিনি কত বড় মাপের নেতা। তিনি ভারতের নাগরিকত্ব বিলটির পাশ করা নিয়ে কোনো সমালোচনা করেননি কিন্তু বিলটিকে তিনি উপেক্ষা করেছেন এবং এর অপ্রয়োজনীতার কথা অকপটে বলেছেন।
একজন রাষ্ট্রনায়ক কতটা দেশপ্রেমিক হলে এবং কতটা দায়িত্ববান হলে এমন মন্তব্য করতে পারেন তা যে কোনো কূটনৈতিক বিশ্লেষকরাই অনুমান করতে পারেন। তিনি ভারতের সমালোচনা করেন আবার তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাকও গলাননি। কিন্তু নির্ভয়ে ও নির্মোহভাবে তিনি তার দেশপ্রেম ও অবস্থানকে স্পষ্ট করেছেন। এ যেন ১৯৭২ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য যেমন ভাবে নির্মোহ ছিলেন তারই প্রতিধ্বনি।
৩. শেখ হাসিনা গতকাল শেয়ার মার্কেটের অস্থিরতা নিয়ে এক বৈঠক করেন এবং পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন। এরপরই আজ শেয়ার মার্কেট চাঙ্গা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি আবার প্রমাণ করলেন, একজন ভালো রাষ্ট্রনায়ক হতে গেলে অর্থনীতিবিদ হবার দরকার নেই, অর্থনীতিকে উন্নত করতে পণ্ডিত হবার দরকার নেই। প্রয়োজন শুধু দেশপ্রেম এবং জনসম্পৃক্ততা। জনগণের হৃদয়ের কথা বুঝতে পারা। আর হৃদয়ের কথা বুঝতে পারলে তিনি যেকোন পণ্ডিত এবং জ্ঞানী অভাজনের চেয়েও বিজ্ঞ হয়ে যান। জনগণের ক্ষমতায়নই যে তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন সেটা প্রমাণ করলেন শেয়ার মার্কেটে নির্দেশনা দানের মাধ্যমে। শেয়ার বাজার আবার হয়তো আগের অবস্থানে ফিরে আসবে তবে শেখ হাসিনা শেয়ার মার্কেটে বিপর্যস্ত বিনিয়োগকারীদের উদ্ধারে যে পদক্ষেপ নিলেন, তা কয়জন রাষ্ট্রনায়ক নেয়?
বারবার বলা হয় যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা একটি বিপ্লবের নাম, শেখ হাসিনা একটি অভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা প্রতিদিন নিজ কর্মকাণ্ডে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন এক জায়গায় তিনি উপনিত হয়েছেন, যেখানে দলমত নির্বিশেষে সকলেই তাঁর অস্তিত্বকে স্বীকার করে এবং বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। এই তিনটি ঘটনা তাঁর একটি ঝলক মাত্র।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া বিএনপি এভারকেয়ার হাসপাতাল তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।
আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।
বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।
জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।
এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।
শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।
আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।
কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।
বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ তৃণমূল উপজেলা নির্বাচন রাজনীতি ড. আব্দুর রাজ্জাক শাজাহান খান জাহিদ মালেক মোস্তফা কামাল
মন্তব্য করুন
এভারকেয়ার হাসপাতাল খালেদা জিয়া বিএনপি
মন্তব্য করুন