নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৪ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় এক বছর ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি শারীরিকভাবে ক্রমশ অসুস্থ ও দূর্বল হয়ে পড়ছেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। তার ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত আছে এবং হাতের ব্যথা মাঝে মাঝে শীতজনিত কারণে তীব্র হয়। এছাড়া তার অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থেকেও নির্বাচনের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আর ফাঁক ফোকর দিয়ে টেলিভিশনে নির্বাচনী প্রচারণা দেখছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তাবিথ আউয়ালের চেয়ে তিনি ইশারাক হোসেনের প্রচারণায় মুগ্ধ হয়েছেন। ইশরাকের নির্বাচনী প্রচারণা তার বক্তব্য দেখে বেগম খালেদা জিয়া মৃদু হেঁসেছেন। তার মধ্যে তিনি খোকার ছায়া দেখছেন। কোনো কোনা জায়গায় তাকে খোকার চেয়েও পরিণত মনে করছেন বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জড়িত কয়েকজন নার্সকে তিনি বলেছেন , এই ছেলেটা পারবে। ইশরাকই আগামী দিনের নেতা।
বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন নিয়ে শুরুতে নেতিবাচক ছিলেন। তবে নির্বাচনে ইশরাকের প্রচারণা দেখে তার আগ্রহ হয়েছে বলেও কারাগারে যারা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখাশোনা করেন তাদের সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।